এত এত সুযোগ তবু গোল নেই

শুরুটা দারুণ ছিল মোহামেডানের। একের পর এক আক্রমণে পর্যুদস্ত করে রেখেছিল স্বাগতিক চট্টগ্রাম আবাহনীর রক্ষণভাগ। গোলের সুযোগও পেয়ে গিয়েছিল কয়েকবার। কিন্তু ভাগ্যদোষে গোল হয়নি। দ্বিতীয়ার্ধে আবার দাপিয়ে খেলেছে আবাহনী। কিন্তু কোনো দলই শেষ পর্যন্ত গোল করতে পারেনি।
ম্যাচের তৃতীয় মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারত সাদা-কালো শিবির। তৌহিদের শট গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানা কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন। ১৯ মিনিটে তৌহিদের কর্নার থেকে উড়ে আসা বল দাউদা চিসের মাথা ছুঁয়ে বাইরে যায় বার ঘেঁষে।
তৌহিদ-দাউদা জুটিকে রোখাই দায় হয়ে পড়েছিল আবাহনীর। একসময় তাদের সাতজনকে ব্যস্ত থাকতে দেখা যায় রক্ষণ সামলাতে।
২৮ মিনিটে ডান প্রান্ত থেকে তৌহিদের পাস পেয়ে দ্বিতীয় পোস্টে দাঁড়ানো দাউদা ভলি করেছিলেন। কিন্তু গোলরক্ষক আশরাফুলের মুখে লেগে কর্নার হয়ে যায়। এর তিন মিনিট পর দাউদার শট গোলরক্ষক ঝাঁপিয়ে পড়ে বাঁচান কর্নারের বিনিময়ে। এবার তাঁকে বলটি জোগান দিয়েছিলেন মুস্তাফা। গোটা ম্যাচে অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকায় থাকা গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলামই পেয়েছেন ম্যাচসেরার স্বীকৃতি।
ম্যাচ শেষে আবাহনী কোচ সাইফুল বারী শ্রেয়তর দল হিসেবে স্বীকৃতি দিলেন মোহামেডানকে, ‘মোহামেডান ম্যাচটি জিততে পারত। আমরা ভাগ্যক্রমে হারিনি। বিশেষ করে প্রথমার্ধে দুর্দান্ত ছিল ওরা।’
প্রথম ম্যাচে শাহিন এফসিকে উড়িয়ে দেওয়া আবাহনীও দুটি সুযোগ পেয়েছিল। ২৫ মিনিটে বাঁ প্রান্ত দিয়ে ছোট বক্সে ঢুকে শট নিয়েছিলেন। কিন্তু গোলরক্ষক মামুন খান তা তালুবন্দী করেন। ৩৬ মিনিটে বক্সের ১০ গজ বাইরে থেকে নেওয়া ওয়ালসনের ফ্রিকিক ডান দিকে ঝাঁপিয়ে রক্ষা করেন মামুন খান।
দল দুর্দান্ত খেলেও জিততে পারেনি। মোহামেডান কোচ আবদুল কাইয়ুম তাতে হতাশ, ‘৪-৩-৩ ছকে খেলেছি। ফলও পেয়েছি। কিন্তু ভাগ্য সহায় ছিল না।’ ম্যাচের আগে মাঠে পানি দেওয়ার কারণে মাঠও পিচ্ছিল হয়ে পড়ে বলে অনুযোগ করেছেন মোহামেডান কোচ।
তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে ভালোই চাপ সৃষ্টি করেছিল আবাহনী। ৫৮ মিনিটে জাহিদের বাড়ানো বলে বক্সের মাথা থেকে বাঁ পায়ে দুর্দান্ত শট নিয়েছিলেন মামুন। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়ায় ক্রসবার। ৮২ মিনিটে আরেকটি সহজ সুযোগ নষ্ট করেন মুফতা লয়াল। মামুনের ফ্রিকিক থেকে বক্সে জটলার মধ্যে বলের নাগাল পেয়েও পায়ে লাগাতে পারেননি।
দুই ম্যাচ শেষে ১ পয়েন্ট নিয়ে ‘বি’ গ্রুপের তলানিতে রয়েছে মোহামেডান। সেমিফাইনালে ওঠার আশাটা বেশ ফিকে। আর কালকের ড্রয়ে গতবারের চ্যাম্পিয়ন চট্টগ্রাম আবাহনী ৪ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের শীর্ষে।
মোহামেডান: মামুন খান, বেঞ্জামিন, কামারা, মাসুক, ওমর ফারুক, আমিনুর (শাহদাত), তৌহিদ, দাউদা, মুস্তাফা (বিপলু), সুশান্ত ও বিশ্বনাথ।
চট্টগ্রাম আবাহনী: আশরাফুল, ইয়ামিন, মুফতা লয়াল, নাসির, জাহিদ (রাব্বি), মামুনুল, কিংসলে, ওয়ালসন, টাইসন (ইব্রাহিম), জামাল ভূঁইয়া ও রায়হান।