টুর্নামেন্ট শেষ বাংলাদেশের শেষ প্রতিনিধিদেরও

সেমিতেই থামল চট্টগ্রাম আবাহনীর লড়াই। ছবি: সৌরভ দাশ।
সেমিতেই থামল চট্টগ্রাম আবাহনীর লড়াই। ছবি: সৌরভ দাশ।

ঢাকার দুই দল তো আগেই চট্টগ্রাম থেকে বিদায় নিয়েছে। ঢাকা আবাহনী ও ঢাকা মোহামেডান দুটি দলই বাদ পড়েছিল গ্রুপপর্বে। শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপে বাংলাদেশের ফুটবল নামের ‘হারাধনে’র আর ‘একটি ছেলে’ই টিকে ছিল—চট্টগ্রাম আবাহনী। 

আজ তারাও বাদ পড়ল সেমিফাইনাল থেকে। দক্ষিণ কোরিয়ার ক্লাব পোচন এফসির কাছে ২-১ গোলে হেরে ফাইনালে ওঠা হলো না বাংলাদেশের ফুটবলের শেষ প্রতিনিধিদেরও।
টুর্নামেন্টের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন তারা। টুর্নামেন্টটা হচ্ছেও ঘরের মাঠ চট্টগ্রামে। আজ সেমিফাইনাল দেখতে মাঠে দর্শকও হয়েছিল অনেক। অগাস্টিন ওয়ালসন, মামুনুল, জামাল ভুঁইয়া, জাহিদ, রুবেল মিয়াদের নিয়ে চট্টগ্রাম আবাহনীর দলটাও ছিল অনেক শক্তিশালী। কিন্তু দক্ষিণ কোরিয়ার চতুর্থ স্তরের পোচন এফসির সামনে আজ কিছুই কাজে এল না।
গ্যালারি অনেকটা ভরে ওঠা দর্শকদের খুশি করে ম্যাচে প্রথমে এগিয়ে গিয়েছিল চট্টগ্রাম আবাহনীই। কর্নার থেকে বল এল পোচন বক্সে, দ্বিতীয় পোস্টে ফাঁকায় দাঁড়িয়ে থাকা জামাল ভুঁইয়া সেটিকে জড়িয়ে দেন জালে। কিন্তু এগিয়ে থাকার সুবিধাটা ধরে রাখতে পারল বিশ মিনিট। বক্সে পোচনের এক খেলোয়াড়কে ফেলে দেওয়ায় পেনাল্টি পায় তারা, তা থেকে গোল করেন জাং ইয়ং-ইক!
প্রথমার্ধ শেষের তিন মিনিট আগে গোল খাওয়ার ধাক্কাটা বিরতিতেও মনে হয় ঠিকমতো সামলাতে পারেনি চট্টগ্রাম আবাহনী। দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম মিনিটেই খেল গোল! বক্সে ভিড়ের মধ্যে বল পেয়ে সেটিকে জালে জড়িয়ে দেন পার্ক সিউং রিওল। এরপর দুই দলই একের পর এক আক্রমণ চালিয়েছে। কিন্তু গোল হয়নি। দ্বিতীয়ার্ধে বক্সে পোচনের এক ডিফেন্ডারের হাতে বল লাগায় একটা পেনাল্টি দাবি করেছিল চট্টগ্রাম আবাহনী, কিন্তু রেফারির চোখ এড়িয়ে যাওয়ায় পেনাল্টিটা আর পাওয়া হয়নি।
ম্যাচ শেষের পাঁচ মিনিট আগে পোচনের এক খেলোয়াড় লাল কার্ড দেখেন। শেষ পাঁচ মিনিট ও যোগ করা সময়ের পাঁচ মিনিট—মোট ১০ মিনিট ‘১১ বনাম ১০’ খেলেও আর গোল বের করে নিতে পারেনি চট্টগ্রাম আবাহনী। টুর্নামেন্টের ফাইনালে তাই বাংলাদেশের তিন ক্লাবই এখন দর্শক!