অনেক অর্জনের এক জয়!

শততম টেস্ট জয়ের সেই ঐতিহাসিক মুহূর্ত। ছবি: এএফপি
শততম টেস্ট জয়ের সেই ঐতিহাসিক মুহূর্ত। ছবি: এএফপি

২৬ ডিসেম্বর ২০০৪। নিজেদের শততম ওয়ানডেটা জয় দিয়েই উদ্‌যাপন করেছিল বাংলাদেশ। ঢাকার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের কাছে ভারত হেরেছিল ১৫ রানে।

সেই বাংলাদেশ নিজেদের শততম টেস্টটাকেও রাঙালো জয় দিয়ে। কলম্বো পি সারা ওভালে শ্রীলঙ্কাকে ৪ উইকেটে হারিয়ে চতুর্থ দল হিসেবে শততম টেস্টে জয় পেল বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের আগে নিজেদের শততম ম্যাচে জয় পেয়েছিল অস্ট্রেলিয়া, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও পাকিস্তান। মজার ব্যাপার, বাংলাদেশের মতো এই তিনটি দলও নিজেদের শততম ওয়ানডেতেও জয় পেয়েছিল। তবে অস্ট্রেলিয়া, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও পাকিস্তান আগে জিতেছিল শততম টেস্ট, পরে শততম ওয়ানডে।
মাইলফলক টেস্টের জয় বাংলাদেশকে কী কী উপহার দিল, তা এক নজরে জেনে নেওয়া যাক।
১—১৮তম টেস্টে এসে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম জয় পেল বাংলাদেশ।
৪—জিম্বাবুয়ে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ইংল্যান্ডের পর চতুর্থ দল হিসেবে বাংলাদেশের কাছে হারল শ্রীলঙ্কা। দেশের বাইরে বাংলাদেশের চতুর্থ জয়ও এটা।
৯—বাংলাদেশের নবম টেস্ট জয় এটি। প্রথম ১০০ টেস্টে বাংলাদেশের চেয়ে কম জয় ছিল শুধু নিউজিল্যান্ডের (৭)।
৩—রান তাড়া করে তৃতীয়বারের মতো টেস্ট জিতল বাংলাদেশ। ২০০৯ সালে গ্রেনাডা টেস্টে ২১৫ রানের লক্ষ্য পেরিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ও ২০১৪ সালে মিরপুরে ১০১ রানের লক্ষ্য ছুঁয়ে জিম্বাবুয়েকে হারায় বাংলাদেশ।
৮—বাংলাদেশের শেষ আটটি টেস্ট জয়েই দলে ছিলেন সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিম। এই ত্রয়ী ছিলেন না শুধু ২০০৫ সালে বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট জয়ে।
৮২—তামিমের ৮২, রান তাড়ায় বাংলাদেশ জিতেছে, এমন ম্যাচের চতুর্থ ইনিংসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ২০০৯ সালে গ্রেনাডা টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে ৯৬ রানে অপরাজিত ছিলেন সাকিব।
৩০০—এই প্রথম বাংলাদেশের বিপক্ষে দুই ইনিংসেই ৩০০ রানের বেশি করেও হারল কোনো দল।