বোমা হামলা সামলে ফিরলেন বার্ত্রা, জিতল ডর্টমুন্ড

এক মাস পরে ফিরেই নিজের উপস্থিতির জানান দিয়েছেন বার্ত্রা। ছবি: এএফপি
এক মাস পরে ফিরেই নিজের উপস্থিতির জানান দিয়েছেন বার্ত্রা। ছবি: এএফপি

মহাগুরুত্বপূর্ণ এক ম্যাচ। ম্যাচের ফলে এদিক-ওদিক হলেই সরাসরি চ্যাম্পিয়নস লিগে যাওয়া হবে না বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের। কিন্তু ম্যাচের আগে সেটা যেন কারও মনেই নেই। আজকের সব মনোযোগ যে কেড়ে নিয়েছেন মার্ক বার্ত্রা। বোমা হামলায় আহত হওয়ার পর আজই প্রথম মাঠে নেমেছেন এই ডিফেন্ডার। তাঁর ফেরার দিনটা ৪-৩ গোলের জয় ও আগামী মৌসুমের চ্যাম্পিয়নস লিগে জায়গা নিশ্চিত করেই উদ্‌যাপন করল ডর্টমুন্ড।

গত ১১ এপ্রিল চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে নিজেদের মাঠে মোনাকোর বিপক্ষে খেলতে যাচ্ছিল ডর্টমুন্ড। স্টেডিয়ামে যাওয়ার পথেই হলো সন্ত্রাসী হামলা। বাসের জানালার কাচ ভেঙে যায় তাতে, কবজিতে আঘাত পান বার্ত্রা। অস্ত্রোপচারও করতে হয়েছে। এরপর এক মাসের দীর্ঘ পুনর্বাসনপ্রক্রিয়া পেরিয়ে আজই প্রথম মাঠে ফিরেছেন বার্ত্রা। সেখানে নিজেকে উজাড় করে দিয়ে মুগ্ধ করেছেন সবাইকে।
ওয়ের্ডার ব্রেমেনের বিপক্ষে মৌসুমের শেষ ম্যাচ, মহাগুরুত্বপূর্ণ এক ম্যাচ। ম্যাচ জিতলেই লিগে তৃতীয় স্থান নিশ্চিত ডর্টমুন্ডের। আর হারলেই, প্লে-অফের অনিশ্চয়তা। আবার ব্রেমেন জিতলেও ইউরোপা লিগের প্লে-অফ খেলার সূক্ষ্ম একটা সুযোগ!
এমন ম্যাচ জমজমাট হবে না তো কোন ম্যাচ হবে! টানটান উত্তেজনাপূর্ণ এক ম্যাচে ৯০ মিনিট ধরে দর্শকদের মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখল দুই দল। ৭ মিনিটেই এগিয়ে গেল ব্রেমেন। ৪২ মিনিটেই উল্টো ২-১ গোলে এগিয়ে গেল ডর্টমুন্ড। দুটো গোলই দলের দুই সেরা তারকার পা থেকে। ৩২ মিনিটে সমতা ফেরালেন মার্কো রয়েস। ৪২ মিনিটে পিয়েরে অবামেয়াং। কিন্তু প্রথমার্ধে শেষ হতেই সে আনন্দ উবে গেল ডর্টমুন্ডের। দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম মিনিটেই সমতা ফেরাল ব্রেমেন। ম্যাক্স ক্রুজ একেবারে থালায় সাজিয়ে গোল করালেন ফিন বার্টেলসকে দিয়ে। ২২ মিনিট পরে ওই ক্রুজই ব্যবধানটা ৩-২ গোল করে দিলেন বাঁ প্রান্ত দিয়ে দারুণ এক পাল্টা আক্রমণে।
একের পর এক আক্রমণেও ব্রেমেন ডিফেন্সে চিড় ধরাতে পারছিল না ডর্টমুন্ড। আর মাঝেমধ্যে ফাঁক গলে ঢুকে পড়লেও ব্রেমেন গোলরক্ষক তো ছিলেনই। অবিশ্বাস্য সব সেভে ডর্টমুন্ডকে হারানোর সব ব্যবস্থাই করছিলেন তিনি। শেষ ভরসা হিসেবে পেনাল্টিরই আশ্রয় নিল ডর্টমুন্ড। ৭৫ মিনিটে নিজের আদায় করা পেনাল্টি থেকে সমতা ফেরালেন রয়েস (৩-৩)। ৮৯ মিনিটে প্রশ্নবিদ্ধ এক পেনাল্টিতে ডর্টমুন্ডের চ্যাম্পিয়নস লিগে ওঠা নিশ্চিত করলেন অবামেয়াং (৪-৩)। এ গোলে ব্যক্তিগত এক অর্জনও হয়ে গেল তাঁর। রবার্ট লেবানডফস্কিকে (৩০) বুন্দেসলিগার সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়েছেন অবামেয়াং (৩১), সেটাও এক ম্যাচ কম খেলেই।