এখন পাকিস্তানের অপমান গিলতে হচ্ছে ভারতকে

পাকিস্তানিদের কাছ থেকে এখন পাল্টা জবাব পাচ্ছে ভারতীয়রা। ছবি: ফাইল ছবি
পাকিস্তানিদের কাছ থেকে এখন পাল্টা জবাব পাচ্ছে ভারতীয়রা। ছবি: ফাইল ছবি

‘বাবা দিবসে ছেলের সঙ্গে খেলা মন্দ হবে না। মজাটাকে সিরিয়াস ভেবে নিয়ো, বাবা।’ এটাই ছিল বীরেন্দর শেবাগের টুইট। ১৮ জুন বাবা দিবসে খেলা পড়েছিল বলে ভারতীয়দের তরফে এই বাবা-তত্ত্ব দিয়ে পাকিস্তানকে খোঁচানো হয়েছে খুব। সাধারণ ক্রিকেট সমর্থকেরা তো ছিলেনই, শেবাগ-ঋষি কাপুরদের মতো তারকারাও এ নিয়ে মজা করেছেন। এখন সেই অপমানের তির ছুটে আসছে তাঁদের দিকেই।

আইসিসির ওয়ানডে র‍্যাঙ্কিংয়ের ৮ নম্বর দল হিসেবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলতে এসেছিল পাকিস্তান। প্রথম ম্যাচে ভারতের কাছে হেরে গিয়েছিল ১২৪ রানের বড় ব্যবধানে। ভারত হয়তো ধরেই নিয়েছিল, চ্যাম্পিয়ন হওয়া সময়ের ব্যাপার। সামাজিক মাধ্যমেও ভারতীয় সমর্থকদের উল্লম্ফন এতটাই তীব্র ছিল, কিছু ভারতীয়ই এ নিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন। বাড়াবাড়ি করতে বারণ করেছিলেন।
সুযোগ পেয়ে এখন পাকিস্তানের সমর্থকেরা পাল্টা নিচ্ছেন। পাকিস্তানের এক টেলিভিশন সাংবাদিক রীতিমতো অপমানই করলেন শেবাগদের কাছ থেকে ধার করে নেওয়া ভাষায়। আমির লিয়াকত নামের সেই সাংবাদিক বলেছেন, ‘ভারত এখন বুঝেছে কে বাপ কে ব্যাটা।’
লিয়াকত তাঁর ‘অ্যায়সা নেহি চালেগা’ (এটা চলবে না) অনুষ্ঠানে বলেছেন, ‘চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালের পর ভারতের প্রতিটি মা তাদের বাচ্চাদের পাকিস্তানকে নিয়ে গল্প শোনাবে। সেই গল্পে থাকবে কীভাবে পাকিস্তান এসে তাদের দেশকে ১৮০ রানে হারিয়ে গিয়েছিল।’

পাকিস্তানকে খোঁচাতে গিয়ে কিছু ভারতীয় সমর্থক বাংলাদেশকেও অপমান করেছেন। এই ট্রল এর উদাহরণ। ছবি: টুইটার
পাকিস্তানকে খোঁচাতে গিয়ে কিছু ভারতীয় সমর্থক বাংলাদেশকেও অপমান করেছেন। এই ট্রল এর উদাহরণ। ছবি: টুইটার

লিয়াকত আরও বলেন, ‘ভারত ও এই “কাপুর”রা এখন বুঝেছে কে বাবা। আমরা ভারত ও কাপুরদের বুঝিয়ে দিয়েছি পাকিস্তানের জন্ম ১৪ আগস্ট আর বাবা দিবসটা আমাদেরই।’
আর তাঁর এই অনুষ্ঠানের কথাগুলো ভিডিওসহ প্রকাশ করেছে ভারতেরই মিডিয়া। ভাইরাল হচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে। সেই সঙ্গে একই প্রশ্ন উঠে আসছে, খেলা নিয়ে অশালীন আক্রমণ আর কত? এভাবে জবাব-পাল্টা জবাব দেওয়া কি চলতেই থাকবে?