সেরাটা দিতে পারবেন না জেনেই চিলিসের কান্না

কাঁদছেন মারিন চিলিচ l এএফপি
কাঁদছেন মারিন চিলিচ l এএফপি

হার-জিত খেলায় থাকেই। কিন্তু আপনি যদি খেলতে নামার আগেই বুঝতে পারেন, লড়ার মতো অবস্থা নেই আপনার—তাহলে কেমন লাগবে? নিশ্চিত হার জেনেও খেলতে হলে কতটা অসহায় লাগার কথা?

পরশু উইম্বলডনের ফাইনালে এটি ভালোই বুঝেছেন মারিন চিলিচ। সেমিফাইনালেই বাঁ পায়ের পাতায় ফোসকার মতো পড়েছিল। সেটা থেকে পুঁজ বেরিয়েছে। ফিজিওরা অনেক চেষ্টা করেও ফাইনালের আগে সুস্থ করে তুলতে পারেননি চিলিচকে। রজার ফেদেরারের বিপক্ষে ফাইনালে নামার আগেই চিলিচ তাই বুঝতে পেরেছিলেন, সেরাটা দেওয়ার মতো অবস্থায় তিনি নেই। প্রথম সেটটা হারার পর বুঝে গেলেন, এ ম্যাচে লড়ার মতো অবস্থায়ও নেই। এত অসহায় বোধ করছিলেন যে ম্যাচের সময়ই বেশ কয়েকবার কেঁদেছেন। কেঁদেছেন ম্যাচ শেষেও।

ম্যাচ শেষে এ নিয়ে কথা বলতে গিয়েও আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন চিলিচ, ‘ফিজিওরা যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন। কিন্তু আমার পায়ের ব্যথা যাচ্ছিল না। আমি একটু দ্রুত নড়তে গেলেই ব্যথা পাচ্ছিলাম। আসলে কিছুই করতে পারছিলাম না।’

কিন্তু কোর্টে তাঁর কান্নাটা ঠিক ব্যথার কারণে নয়, ‘আমি বুঝতে পারছিলাম যে কোর্টে সেরাটা দিতে পারছি না। ব্যথা কিন্তু আমার চোখে পানি আনেনি। আমি যে সেরাটা দিতে পারছি না, এটা ভেবেই আমি কাঁদছিলাম। ভাবছিলাম, ক্যারিয়ারের এই পর্যায়ে এসে, এত বড় একটা ম্যাচে আমি কিছুই করতে পারছি না! আমি ম্যাচেই মনোযোগ দিতে পারছিলাম না, ব্যথা সেখানেও বাধা তৈরি করছিল।’

এত পরিশ্রম করে ফাইনাল পর্যন্ত এসে এভাবে হার! মেনে নেওয়া কষ্টকর। তাই বলে উইম্বলডন থেকে একেবারে খালি হাতে ফিরে যাচ্ছেন না চিলিচ, ‘আমি তো বলব, এখন পর্যন্ত সম্ভবত ক্যারিয়ারের সেরা টেনিসটা খেলেছি এই টুর্নামেন্টে। ওটাই আমার প্রাপ্তি। আত্মবিশ্বাস পেয়েছি যে আমি আরও ভালো খেলতে পারব। এটা ভেবেও আমি খুশি।’ এএফপি।