রাজার পর ক্রেমার

মাত্র ৩ রান দূরে থেকে আগের দিনটা শেষ করেছিলেন। সিকান্দার রাজার সেঞ্চুরি তাই অনুমেয়ই ছিল। কিন্তু কলম্বোয় শুধু কালকের দিনটাতে যদি কাউকে জিম্বাবুয়ের নায়ক বলতে হয়, সেটি রাজা নন, গ্রায়েম ক্রেমার! নয় নম্বরে ব্যাট করতে নেমে তাঁর ৯৪ বলে ৪৮ রানের ইনিংসটি শ্রীলঙ্কার জয়ের লক্ষ্যটা নিয়ে গেছে ৩৮৮ রানে। তারপর বোলিংয়েও দুটি উইকেট নিয়ে জিম্বাবুয়েকে অসাধারণ এক জয়ের স্বপ্ন দেখাচ্ছেন ক্রেমার।

শ্রীলঙ্কা চতুর্থ দিনটা শেষ করেছে ৩ উইকেটে ১৭০ রান নিয়ে। শ্রীলঙ্কার মাটিতে চতুর্থ ইনিংসে সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ডটা পাকিস্তানের। ২০১৫ সালে পাল্লেকেলেতে স্বাগতিকদের দেওয়া ৩৭৭ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে পাকিস্তান করেছিল ৩ উইকেটে ৩৮২। শ্রীলঙ্কা সর্বোচ্চ ৩৫২ রান তাড়া করে জিতেছে ২০০৬ সালে, পি সারা ওভালে। তবে হাতে পুরো একটা দিন আর ৭ উইকেট। জেতার জন্য বাকি ২১৮ রানকে অসম্ভব মনে না-ই করতে পারে শ্রীলঙ্কা।

চতুর্থ দিন শেষে দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যানই লঙ্কানদের বেশি সাহস দিচ্ছেন। স্বচ্ছন্দে খেলে ৮৫ বলে ৬০ রান করে ফেলেছেন কুশল মেন্ডিস। সঙ্গী অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস চতুর্থ ইনিংসে ব্যাটিং গড়ের হিসেবে শ্রীলঙ্কার ইতিহাসে সবচেয়ে সফল (অন্তত ৬৫০ রান করেছেন এমন ব্যাটসম্যানদের মধ্যে)। তবে এই জুটি ভেঙে গেলে অনভিজ্ঞ নিরোশান ডিকভেলা আর চোটাক্রান্ত আসেলা গুনারত্নের কাঁধে তখন সব দায়িত্ব চেপে বসবে।

লঙ্কানদের এই চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দেওয়ার মূল কাজটা আগের দিনই করেছেন সিকান্দার রাজা। ৯৭ রান নিয়ে দিন শুরু করেছিলেন, কাল ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরির পর যোগ করেছেন আরও ২৭ রান। আগের দিনই হাফ সেঞ্চুরি পেয়ে যাওয়া ম্যালকম ওয়ালার কাল বেশিক্ষণ টেকেননি। আউট হয়ে গেছেন ৬৮ রানে। ওদিকে রাজাকে ফিরিয়ে দিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসেও ৫ উইকেট হয়ে যায় রঙ্গনা হেরাথের। হেরাথ পরে তাঁর ষষ্ঠ শিকার বানিয়েছেন ক্রেমারকে।

তার আগেই ডোনাল্ড তিরিপানোকে নিয়ে নবম উইকেটে ৫৫ রানের জুটি গড়েছেন ক্রেমার, শেষ উইকেটে পোফুকে নিয়ে যোগ করেছেন আরও ১৬ রান। শ্রীলঙ্কার ওপর রানের পাহাড় চাপিয়ে দিয়ে পরে বল হাতেও শেষ সেশনে ফিরিয়ে দিয়েছেন থারাঙ্গা ও চান্ডিমালকে। অধিনায়ক হয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া বোধ হয় একেই বলে! ক্রিকইনফো।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

জিম্বাবুয়ে: ৩৫৬ ও ১০৭.১ ওভারে ৩৭৭ (রাজা ১২৭, ওয়ালার ৬৮, ক্রেমার ৪৮, তিরিপানো ১৯, পোফু ৯*; লাকমল ০/৪৩, হেরাথ ৬/১৩৩, পেরেরা ৩/৯৫, কুমারা ১/৭২, মেন্ডিস ০/১৬)।

শ্রীলঙ্কা: ৩৪৬ ও ১৭০/৩ (করুনারত্নে ৪৯, থারাঙ্গা ২৭, মেন্ডিস ৬০*, চান্ডিমাল ১৫, ম্যাথুস ১৭*; রাজা ০/২৯, উইলিয়ামস ১/৬২, ক্রেমার ২/৬৭, ওয়ালার ০/১০)।