হরভজন 'সিংস'

তাহলে গানেই নতুন ক্যারিয়ার বেছে নিয়েছেন হরভজন? ছবি: ডেকান ক্রনিকলস।
তাহলে গানেই নতুন ক্যারিয়ার বেছে নিয়েছেন হরভজন? ছবি: ডেকান ক্রনিকলস।

ব্যাটে ঝড় তোলা কিংবা ব্যাটসম্যানদের নাভিশ্বাস তোলা তাঁদের কাজ। অবসর নেওয়ার পরও অনেকে থেকে যান ক্রিকেটে। কিন্তু সবাই তো এই পথ বেছে নেন না। ধারাভাষ্য কিংবা বিশেষজ্ঞ মতামত দিয়ে আর কতটা সময়ই-বা ব্যয় করা যায়। বাড়তি সময় কীভাবে কাজে লাগান ক্রিকেটাররা? উদাহরণ হতে পারেন হরভজন সিং। অবসরজীবনের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতেই বোধ হয় গলা সাধার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এই অফ স্পিনার।

কাগজে-কলমে এখনো সাবেক ক্রিকেটার বলা যাচ্ছে না হরভজনকে। কিছুদিন আগেও সংক্ষিপ্ত সংস্করণে ভারতীয় দলে দেখা গেছে। তবে নিজেকে সেই অবধারিত গন্তব্যের জন্য প্রস্তুত করছেন ‘ভাজ্জি’। খবরে প্রকাশ পেয়েছে, সুরকার মিঠুনের এক গানে কণ্ঠ দিয়েছেন হরভজন। যে গানে ভারতের সত্যিকারের নায়কদের অবদানের কথা বলা হয়েছে।

হরভজন একা নন, আইপিএলে তাঁর ‘চড়-কাণ্ডে’র শিকার শ্রীশান্তও নিজের লুক্কায়িত প্রতিভা প্রকাশে ব্যস্ত। এক টিভি রিয়ালিটি শোতে নেচে প্রতিভা দেখিয়েছিলেন। এবার অভিনয়েও নিজের ঝলক দেখাতে চাইছে শ্রীশান্ত। তেলেগু ও মালয়ালাম ভাষার এক চলচ্চিত্রে নায়কের চরিত্রে নাকি দেখা যাবে তাঁকে! এর আগে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিল শ্রীশান্তের মতোই ম্যাচ পাতানোয় অভিযুক্ত অজয় জাদেজাকেও।
শুধু ভারত নয়, আরও অনেক দেশে অনেক ক্রিকেটারের মধ্যেই একেবারে বিপরীত মেরুর প্রতিভা খুঁজে পাওয়া যায়। যার সঙ্গে খেলাটার ধরন ঠিক মেলে না।
ক্রিকেটারদের এমন ‘বহু’ প্রতিভাবান হওয়ার রহস্য কী?

মনোবিজ্ঞানী শ্রীকান্ত আচার্য্যের দাবি মানলে এটি অবশ্য কোনো রহস্য নয়, ‘সব খেলোয়াড়ই একাধিক ক্ষমতার অধিকারী। একবার খেলা ছেড়ে দিলে তাঁরা অন্য প্রতিভা বিকাশের সুযোগ পান। আমার ক্যারিয়ারে অনেক খেলোয়াড়ই পেয়েছি, যাঁরা বহু প্রতিভার অধিকারী, তাঁরা শেখেনও দ্রুত। একবার কোনো কিছু ধরলে তাঁরা খুব দ্রুত উন্নতি করেন।’

শুধু গান বা অভিনয় নয়, অন্য জগতেও আছেন ক্রিকেটাররা। নভোজ্যত সিং সিধু এখন কমেডি শোর চেয়ারে বসে টিভি অনুষ্ঠান মাতাচ্ছেন। ব্রেট লি তো গান গেয়েছেন, একটি চলচ্চিত্রে নায়কও হয়েছেন! ভিভিএস লক্ষ্মণের কাছ এসব নতুন কিছু নয়, ‘সবারই লুকানো প্রতিভা আছে, সময় ও সুযোগ পেলে সেটা বের হয়ে আসে। আমরা তো সবাই জানি ভাজ্জি গান গায়। সে ড্রেসিংরুমে গান গাইত। শেবাগও গান গাইতে পারে। যুবরাজ ও বিরাট ভালো নাচে।’
তো, লক্ষ্মণের লুকানো প্রতিভা কী? মুখ চালানো! ‘আমি ভালো কথা বলি আর এ কারণেই ধারাভাষ্য দিই, অনুপ্রেরণামূলক অনুষ্ঠানে কথা বলি।’ সূত্র: ডেকান ক্রনিকলস।