সাকিবের প্রত্যাশা টপ অর্ডারের কাছে

দক্ষিণ আফ্রিকার কন্ডিশনে জেতাটাকে বড় চ্যালেঞ্জ মনে করেন সাকিব। ছবি: প্রথম আলো
দক্ষিণ আফ্রিকার কন্ডিশনে জেতাটাকে বড় চ্যালেঞ্জ মনে করেন সাকিব। ছবি: প্রথম আলো

অন্যরা তিন সপ্তাহ থেকেও রান পেতে হিমশিম খাচ্ছেন। আর সাকিব আল হাসান কিনা এসেই ফিফটি মেরে দিলেন! কন্ডিশনের সঙ্গে কীভাবে দ্রুত মানিয়ে নিতে হয়, সেটা কেউ তাঁর কাছ থেকে শিখুক। কিন্তু প্রশংসাটা নিলেন না সাকিব। ডায়মন্ড ওভালে আজ অনুশীলন শেষে তাঁর মন্তব্য, ‘মূল ম্যাচে কে কেমন করে, সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। প্রস্তুতি ম্যাচে কেউ এক শ করে মূল ম্যাচে যদি রান না করে, সেটা কাজে আসবে না।’ 

সাকিবের আশা, টেস্টের যন্ত্রণা ভুলে সবাই এখন ওয়ানডে নিয়েই বেশি মনোযোগী হবে। ব্যাটিংয়ে তাঁর বেশি প্রত্যাশা টপ অর্ডারের কাছ থেকে, ‘ওপরের দিকে তিন-চারজন যদি ভালো করে, তাহলে পরের ব্যাটসম্যানদের জন্য রান করা অনেক সহজ হয়ে যায়। আমাদের ওপরের ব্যাটসম্যানরা যত ভালো করবে, পরের ব্যাটসম্যানদের জন্য তত সহজ হবে।’

বাংলাদেশ দলে বিশ্বমানের খেলোয়াড় আছে। বড় দলের বিপক্ষে বড় বড় জায়গায় ম্যাচ জেতার অভিজ্ঞতা আছে দলটার। সাকিবের বিশ্বাস, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে আবারও আসবে সে রকম উপলক্ষ। এর জন্য ম্যাচ জয়ের ফর্মুলাটাও বলে দিলেন তিনি, ‘আমরা জেতার জন্যই খেলব। আমাদের চেষ্টা থাকবে মৌলিক কাজগুলো ঠিকভাবে করার। ভালো ব্যাটিং করা, শুরুটা ভালো করা। বোলিং ভালো করা। ভালো জায়গায় বেশি বোলিং করা। এই মৌলিক কাজগুলো যদি ভালোভাবে করতে পারি, আমাদের জেতার সম্ভাবনা বেশি থাকবে।’

তার আগে দক্ষিণ আফ্রিকার কন্ডিশনে জেতাটাকে বড় চ্যালেঞ্জ মনে করেন সাকিব। দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটাররা এখানে জন্মেছেন, শৈশব থেকে বড় হয়েছেন। এখানে মাত্র সপ্তাহ তিনেক থেকে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের পক্ষে তাদের চেয়ে ভালো কন্ডিশন বোঝা সম্ভব নয় বলেই মনে করেন তিনি, ‘দুই মাসের ক্যাম্প আর ২০ বছরের খেলার অভিজ্ঞতা তো এক নয়। ওরা আমাদের দেশে এক মাস, দেড় মাস অনুশীলন করে খেলুক, দেখবেন তারপরও হারবে। এখন অমাদের যে দল, আমি এটা বিশ্বাস করি।’

টেস্ট সিরিজটা ভালো না কাটায় ওয়ানডেতে ভালো কিছু করে দেখানোর প্রতিজ্ঞা দলের ভেতর। তাতে বাংলাদেশ দল যে উন্নতির সিঁড়িতেই আছে, সেটা নিয়ে অন্তত কেউ প্রশ্ন তুলতে পারবে না। সাকিবও জানালেন, ‘সবাই এখন ওয়ানডে সিরিজে অনেক বেশি মনোযোগ দিচ্ছে। যেহেতু আমরা টেস্ট ভালো খেলিনি, এটাই আমাদের প্রমাণ করার জায়গা যে আমরা উন্নতি করছি।’

শেষ পর্যন্ত সেটাও না হলে মানুষ হয়তো অনেক কথাই বলবে। তার মানে এই নয় যে বাংলাদেশের সব অর্জন ধূলিসাৎ হয়ে গেল। দিন শেষে সাকিবের কাছে ক্রিকেটটা একটা খেলাই, ‘ক্রিকেট তো একটা খেলাই, তাই না? দক্ষিণ আফ্রিকা যখন শেষবার বাংলাদেশে গেছে ওরা হেরেছে। কেউ অনুমান করেনি, ওরা হারবে। তাতে কি ওদের সব অর্জন ম্লান হয়ে গেছে? অবশ্যই হয়নি।’