পাকিস্তান জ্বলে উঠল ভিজে যাওয়ার পর

পাকিস্তান আজ জ্বলে উঠলেও টুর্নামেন্ট আগেই শেষ হয়ে গেছে তাদের। ছবি: সৌজন্য
পাকিস্তান আজ জ্বলে উঠলেও টুর্নামেন্ট আগেই শেষ হয়ে গেছে তাদের। ছবি: সৌজন্য

ম্যাচ শেষে ঘুরেফিরে একটিই প্রশ্ন, কোথায় ছিল এই পাকিস্তান? যারা বল দখলে রাখতে পারে, ‘ডিজগাইজড’ পাস খেলে প্রতিপক্ষ চতুর রক্ষণভাগকে ধোঁকা দিতে পারে। যে পাকিস্তানকে তো আগে দেখা যায়নি। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ কোরিয়াকে দুমড়ে-মুচড়ে পাকিস্তান জিতল ৬-৩ গোলে। হ্যাটট্রিক করেছেন পাকিস্তানি ফরোয়ার্ড এজাজ আহমেদ। 

অবশ্য এত দেরিতে জ্বলে উঠে লাভ হলো না। সব আশার বারুদ আগেই ভিজে একসা। এই জয়ে তৃতীয় স্থান নিয়ে শেষ হলো পাকিস্তানের এশিয়া কাপ। আর কোরিয়া চতুর্থ।
কোরিয়া কাল রাতে সুপার ফোরে মালয়েশিয়ার বিপক্ষে ড্র করায় ফাইনালেই উঠতে পারেনি। তাই আজ নামতে হয়েছিল তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে। কাল রাতের ম্যাচের পর কোরিয়ানদের ১৫ ঘণ্টাও বিশ্রাম না নিতে পারার ধকলটাই ফুটে উঠেছে মাঠে। আর ভারতের বিপক্ষে হালি গোল হজমের পর পাকিস্তানিরাও ছিল তেতে।
পুরো ম্যাচেই প্রায় একচ্ছত্র আধিপত্য দেখিয়েছে পাকিস্তানিরা। ছোট ছোট পাসে বিল্ডআপ আক্রমণেই জোর ছিল তাদের। ১০ মিনিটে গোলের খাতা খোলেন এজাজ। ইরফানের হিট থেকে কানেক্ট করে ১-০ করেছেন পাকিস্তানি এই ফরোয়ার্ড। দলীয় তিন ও পাঁচ নম্বর গোলটিও এসেছে তাঁর স্টিকে থেকে। এর মধ্যে তাঁর দ্বিতীয় গোলটি তো ম্যাচের সেরা মুভের ফল বলা যায়। স্টিকের জাদুতে মাঝমাঠ থেকে একক প্রচেষ্টায় তিন কোরিয়ান ডিফেন্ডারকে ছিটকে আতিকের সঙ্গে ওয়ান টু ওয়ান খেলে পুশে গোল ৩-১।
এর আগে ২০ মিনিটে চু সুক হুনের রিভার্স হিটে কোরিয়া ফিরেছিল সমতায় (১-১)। ২৬ মিনিটে ২-১ করেছিলেন রশিদ মেহমুদ। মাঝখানে এজাজের গোলটির পর ৩২ মিনিটে পেনাল্টি কর্নার থেকে ৪-১ করেছেন আবু মাহমুদ। চার গোলের পর ম্যাচ চলে যায় পাকিস্তানের পকেটে। পরে কোরিয়ার হয়ে দুই গোল পরিশোধ করেছেন লি নামইয়ং ও সিওইনো। ৪-৩...না আর রোমাঞ্চ জমল না। এজাজ ও মোহাম্মদ ইয়াকুব আধডজন গোলে ম্যাচটার সমাপ্তি টানলেন।
সুপার ফোরে গ্রুপ পর্বের ম্যাচেই দুই দলের ফলাফল ছিল ১-১ গোলে ড্র। স্থান নির্ধারণী ম্যাচে একলাফে ৬-৩ গোলের জয়ে তৃতীয় স্থান পাকিস্তানের। মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত এশিয়া কাপের সর্বশেষ আসরেও তৃতীয় হয়েছিল পাকিস্তান।