বিপিএলে ঝড় তোলা ইনিংসগুলো

তিন আসর মিলিয়ে প্রথমবারের মতো দুই শ ছাড়ানো ইনিংস দেখল বিপিএল। ছবি শামসুল হক।
তিন আসর মিলিয়ে প্রথমবারের মতো দুই শ ছাড়ানো ইনিংস দেখল বিপিএল। ছবি শামসুল হক।

অবশেষে দুই শ রানের দেখা মিলল বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল)। গতকাল সন্ধ্যায় খুলনা টাইটানসের বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করে ২০২ রানের বিরাট সংগ্রহ গড়ে ঢাকা ডায়নামাইটস। এটি সর্বশেষ তিন আসরেই বিপিএলের সর্বোচ্চ রান। যদিও বিপিএলের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ বিলুপ্ত ফ্র্যাঞ্চাইজি দুরন্ত রাজশাহীর—২০১২-১৩ মৌসুমে চট্টগ্রামে বরিশাল বার্নার্সের বিপক্ষে ২১৩ রানের পাহাড় গড়েছিল তারা।

এবারের আসরে গতকালের ২০২ রানকে কেউ ছাপিয়ে যেতে পারবে কি না, সেটি সময়ই বলে দেবে। যদিও গত সর্বোচ্চ রানও এসেছিল সাকিবদের হাত ধরেই; কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করে ১৯৪ রান করেছিল তারা। ২০১৫-১৬ মৌসুমে প্রথম ম্যাচে রান তাড়া করে সর্বোচ্চ দলীয় স্কোর ১৮৮ রান করেছিল রংপুর রাইডার্স।
বিপিএলের প্রথম দুই আসরে বড় স্কোর হয়েছে নিয়মিতই। দুই শ রানের ইনিংস আছে বেশ কয়েকটি। সর্বোচ্চ দলীয় স্কোরের তালিকায় দাপট ঢাকারই। বিপিএলের পাঁচ আসর মিলিয়ে সর্বোচ্চ ৫ দলীয় ইনিংসের দুটিই ঢাকার। তবে ম্যাচ পাতানো কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়ায় সেই দুই ইনিংসের মালিক ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস নামের ফ্র্যাঞ্চাইজিকেই বিলুপ্ত করে দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।

বিপিএলের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের তালিকা করতে বসলে সর্বশেষ দুই আসরের কোনো ইনিংসই জায়গা পাবে না শীর্ষ পাঁচে। মজার ব্যাপার হচ্ছে, বিপিএলে সর্বোচ্চ সংগ্রহকারী ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর একটিও এখন আর বিপিএলে নেই। ইনিংসগুলোর দিকে একবার চোখ ফেরানো যাক...

দুরন্ত রাজশাহী ২১৩/৬
২০১২-১৩ মৌসুমে বিপিএলের দ্বিতীয় আসরে চট্টগ্রাম পর্বে রানের পাহাড় গড়েছিল দুরন্ত রাজশাহী। প্রতিপক্ষ ছিল বরিশাল বার্নার্স। টস জিতে রাজশাহীর অধিনায়ক জহুরুল ইসলাম ব্যাট করেছিলেন। তামিম ইকবালের ৬৬ আর চার্লস কভেন্ট্রির ৬২ রানে ভর করে রান পাহাড়ের চূড়ায় ওঠে রাজশাহী। শন আরভিন অপরাজিত ছিলেন ৩০ রানে।

বরিশাল বার্নার্স ২০৯/৭
একই ম্যাচের ঘটনা এটি। রাজশাহীর দেওয়া ২১৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ফিল মাস্টার্ডের উইকেট হারিয়েছিল বরিশাল বার্নার্স। কিন্তু অধিনায়ক ব্র্যাড হজ থেকে শুরু করে আট নম্বরে ব্যাট করতে নামা শফিউল ইসলাম পর্যন্ত সবাই চালিয়ে খেলায় ২০৯ রান পর্যন্ত করতে পেরেছিল বরিশাল। সর্বোচ্চ ৫৪ (২৮ বল) রান করেছিলেন আজহার মেহমুদ। ৪ রানে ম্যাচ হেরেছিল বরিশাল বার্নার্স।

ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস ২০৮/৫
বিপিএলের প্রথম আসরের ঘটনা এটি। টস জিতে ফিল্ডিং নিয়েছিলেন বরিশাল বার্নার্সের অধিনায়ক শাহরিয়ার নাফীস। দুই পাকিস্তানি ক্রিকেটার ইমরান নাজির আর আজহার মেহমুদের ফিফটিতে ২০৮ রান করেছিল মাশরাফি মুর্তজার দল। জবাবে ক্রিস গেইল সেঞ্চুরি করলেও ম্যাচ জিততে পারেননি নাফীসরা। ঢাকা জিতেছিল ২১ রানে।

চিটাগাং কিংস ২০৬/৪
দুরন্ত রাজশাহীর বিপক্ষে টস জিতে ব্যাট করছিলেন চিটাগাং কিংসের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। নাসির জামশেদের ৫৬ আর জেসন রয় ও মাহমুদউল্লাহর চল্লিশোর্ধ্ব দুই ইনিংসে ২০৬ রান তোলে কিংস। ডোয়াইন ব্রাভো আর এনামুল জুনিয়রের বোলিংয়ে ১৫৩ রানে আটকে যায় রাজশাহী।

ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটরস ২০৪/৪
দ্বিতীয় আসরের প্রথম ম্যাচে উড়ন্ত সূচনা করেছিল মাশরাফির দল। এনামুল বিজয়ের ৫০ আর ওয়াইজ শাহের ৮৪ রানে ভর করে ২০৪ রান তুলেছিল তারা। জবাবে ১৪২ রানে গুটিয়ে যায় খুলনা রয়েল বেঙ্গল। মোশাররফ হোসেন ৯ রানে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন।