ফুটবল ভালোবাসলে মেসিকে ভালোবাসতেই হবে!

আবারও মেসির খেলায় মুগ্ধ ওয়েঙ্গার। ছবি: এএফপি
আবারও মেসির খেলায় মুগ্ধ ওয়েঙ্গার। ছবি: এএফপি

ইউরোপীয় ক্লাবগুলোর মধ্যে লিওনেল মেসির ভয়ংকর সুন্দর ফুটবলের শিকার হওয়া শীর্ষ দলগুলোর একটি আর্সেনাল। চ্যাম্পিয়নস লিগে শুধু মেসির কাছ থেকেই ৯ গোল হজম করেছে উত্তর লন্ডনের দলটি। অথচ ম্যানেজার আর্সেন ওয়েঙ্গার কিন্তু মেসির খেলার ভীষণ ভক্ত। এতটাই যে মেসির খেলা উপভোগ করতে গিয়ে তিনি আর্জেন্টিনারও ভক্ত বনে গেছেন।

বাছাইপর্বের শেষ ম্যাচে চোখধাঁধানো এক হ্যাটট্রিক করে জাতীয় দলকে চূড়ান্ত পর্বে তুলেছেন বার্সেলোনা ফরোয়ার্ড। অথচ পুরো পর্বেই হতশ্রী এক দলের মতো খেলেছে তারা। জিততেই হবে—এমনই যখন সমীকরণ, তখনই জ্বলে উঠেছিলেন মেসি। শেষ পর্যন্ত আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপে খেলা নিশ্চিত করায় স্বস্তি পেয়েছেন বর্ষীয়ান কোচ ওয়েঙ্গার।

‘আর্সেনাল প্লেয়ার’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আর্সেন বলেছেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে আমি খুবই খুশি (মেসি বিশ্বকাপে খেলায়)। আপনি যদি ফুটবল ভালোবাসেন, তবে আপনি অবশ্যই মেসির খেলা দেখে আনন্দ পাবেন। যদি ফুটবল ভালোবাসেন, আপনি আর্জেন্টিনার খেলা দেখেও আনন্দ পাবেন।’ বিশ্বের অন্যতম সেরা আক্রমণভাগ রয়েছে লাতিন আমেরিকার দলটির। কিন্তু এক মেসি ছাড়া সবাই জ্বলে উঠতে ব্যর্থ হয়েছেন।

২০১০ সালে চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোর ম্যাচে মেসি একাই চার গোল দিয়েছেন আর্সেনালকে। প্রথম লেগ ২-১ গোল হেরে পরের লেগে যেন আর্সেনালকে একাই হারিয়ে দিয়েছিলেন মেসি। সেই ম্যাচের পর মেসিকে প্লে-স্টেশনের খেলোয়াড়ের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন ওয়েঙ্গার। এরপর থেকে সুযোগ পেলেই মেসির প্রশংসা করেছেন ওয়েঙ্গার। চ্যাম্পিয়নস লিগে কোনো দলের বিপক্ষে কোনো খেলোয়াড়ের সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড এটি (৯ গোল)।

মেসির খেলার মাহাত্ম্য বোঝাতে ইউরোপ আর লাতিন আমেরিকার বাছাইপর্বের মূল পার্থক্যটাও তুলে ধরেছেন। তিনি বলেছেন, ‘ইউরোপ থেকে জায়গা পাওয়াটা সহজ। আমাদের ১৩টি স্থান থাকে। এবারে হল্যান্ডের গ্রুপটি বাদ দিলে বাকি গ্রুপগুলো তুলনামূলক সহজ ছিল...অন্যদিকে লাতিন আমেরিকায় মোটে ১০টি দল এবং ৪টি দল সরাসরি খেলতে পারে। ওখানে গ্রুপের সুযোগ নেই, তাই উঠতে পারাটা কঠিন।’

মেসি সেরা? নাকি রোনালদো? এই তর্কে পুরো দুনিয়া ভাগ হয়ে যায়। আড্ডায় প্রিয় তারকাকে জয়ী করতে অনেকেই রোনালদো কিংবা মেসিকে নিয়ে অপমানসূচক কথা বলেন। অথচ নিজে প্রতিপক্ষ হয়েও মেসির খেলায় দারুণ মুগ্ধ হয়েছেন আর্সেন। ফরাসি হয়েও আর্জেন্টিনার সমর্থকদের সঙ্গে গলা মিলিয়েছেন আর্সেন। অবস্থাদৃষ্টে বোঝা যাচ্ছে, ফ্রান্সের পর হয়তো আর্জেন্টিনাকেই সমর্থন করবেন তিনি। সূত্র: গোল।