এত সুন্দর গোল!

গোল উৎসবে মেতেছিলেন নেইমার, এমবাপ্পে ও ডি মারিয়া। ছবি: এএফপি
গোল উৎসবে মেতেছিলেন নেইমার, এমবাপ্পে ও ডি মারিয়া। ছবি: এএফপি

বেচারা এডিনসন কাভানি! শীতকালীন ছুটি পেয়ে গিয়েছিলেন পরিবারের কাছে। উরুগুয়েতে নববর্ষ উদ্‌যাপন সেরে আর যথাসময়ে ফিরতে পারেননি প্যারিসে। কোচ উনাই এমেরেও কোনো রকম ছাড় দেননি। ফ্রেঞ্চ কাপে রেঁনের বিপক্ষে দল গড়েছিলেন উরুগুয়ে স্ট্রাইকারটি ছাড়াই। কাভানির নিশ্চয়ই দারুণ অনুশোচনা হচ্ছে! মাঠে নামলে যে তাঁরও অবদান থাকত মৌসুমের অন্যতম সেরা গোলে!

‘কাউন্টার অ্যাটাক’ থেকে সব দল গোল আদায় করে নিতে পারে না। এ জন্য চাই দ্রুতলয়ের পাস আর ‘স্প্রিন্টার’ ফুটবলার। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, গ্যারেথ বেলের মতো দ্রুতগামী ফুটবলার থাকায় রিয়াল মাদ্রিদ এ কাজে সিদ্ধহস্ত। তবে রেঁনের বিপক্ষে পিএসজিও বুঝিয়ে দিয়েছে ‘কাউন্টার অ্যাটাক’-এ তারাও কম যায় না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকের মতেই এটা মৌসুমের সেরা গোল। এ নিয়ে তর্কের অবকাশ থাকলেও গোলটা যে মৌসুমের ‘অন্যতম সেরা’, সে ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই।

প্রথমার্ধে নির্ধারিত সময়ের ২ মিনিট আগে নিজেদের বক্স থেকে দারুণ বোঝাপড়ায় আক্রমণে ওঠে পিএসজি। সেখান থেকে নেইমার বল পান মাঝমাঠে থাকতে। দুরন্ত গতিতে রেঁনের বিপৎসীমায় ঢুকে পাস দেন অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়াকে। সেখান থেকে কিলিয়ান এমবাপ্পের পা হয়ে বল নেইমারের কাছে এবং গোল! নিজেদের বক্স থেকে পিএসজি এ গোল করেছে মাত্র ১৭ সেকেন্ডের ব্যবধানে।

সেই গোলটির মতো নেইমার-এমবাপ্পেরাও খেলেছেন চোখধাঁধানো ফুটবল। রেঁনেকে ৬-১ গোলে বিধ্বস্ত করে শেষ ষোলোয় উঠেছেন উনাই এমেরের শিষ্যরা। জোড়া গোল করেছেন নেইমার, এমবাপ্পে এবং ডি মারিয়া। এ মৌসুমে ২২ ম্যাচে নিজে ১৪ গোল করার সঙ্গে সতীর্থদের দিয়ে আরও ১৪ গোল করিয়েছেন এমবাপ্পে। নেইমারও আছেন দুর্দান্ত ফর্মে। এ পর্যন্ত ২১ ম্যাচে তাঁর গোলসংখ্যা ১৯, সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন আরও ১২ গোল।

দেখুন সেই গোলের ভিডিও (৪৩ মিনিট):