মাথা ঠান্ডাই রাখতে পারছেন না কোহলি
সেঞ্চুরিয়ন টেস্টে গতকাল শেষ বিকেলে লুঙ্গি এনগিডির বলে এলবিডব্লু হয়ে ফিরেছেন ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি। ২৮৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৩৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেললে এমনিতেই পথটা কঠিন হয়ে যায়। অধিনায়ককে হারিয়ে এখন আরও কঠিন ভারতের মিশন। পঞ্চম দিনের প্রথম সেশনে ভারত আরও একটি উইকেট হারিয়েছে। এই প্রতিবেদন লেখার সময় তাদের রান ৪ উইকেটে ৫৫। এখনো ৮০-৮৫ ওভার পার করে দেওয়ার কঠিন চ্যালেঞ্জ। রোহিত শর্মাকে নিয়ে ব্যাট করছেন পার্থিব প্যাটেল।
প্রথম ইনিংসে প্রায় একাই দলকে টেনেছেন কোহলি। দ্বিতীয় ইনিংসে দলের আরও কঠিন পরিস্থিতিতে তাঁর কাছে চাওয়াটা বড় ছিল। কিন্তু ৫ রান করে কাল শেষ বিকেলে এলবিডব্লুর ফাঁদে পড়েন। দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য কোহলির উইকেটটি কতটা আরাধ্য ছিল, সেটি বোঝা যায় এনগিডির উদ্যাপন দেখেই। আবেদনে সাড়া দিয়ে আম্পায়ার আঙুল তুললেও কোহলি রিভিউ নিয়েছিলেন সঙ্গে সঙ্গেই।
টিভি আম্পায়ার সেই রিভিউ বাতিল করে মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত বহাল রাখার পরপরই কিছুটা উদ্দাম উল্লাসে মেতে ওঠেন এনগিডি। একটু গলাও চড়িয়েছিলেন। ব্যাপারটা একেবারেই ভালো লাগেনি কোহলির।
এনগিডির উল্লাসটা উদ্দাম হলেও সেটি তিনি কোহলিকে উদ্দেশ্য করে করেছেন—এমন কোনো প্রমাণ নেই। টিভি আম্পায়ার যখন রিভিউ দেখছিলেন, তখন অন্য সব প্রোটিয়া ক্রিকেটারের মতোই বড় স্ক্রিনের দিকে চোখ রেখেছিলেন এনগিডি। রিভিউ বাতিল হয়ে যাওয়ার পরপরই দক্ষিণ আফ্রিকার ড্রেসিংরুমের দিকে তাকিয়ে শূন্যে একটা ঘুষি ছুড়েছিলেন এই তরুণ ফাস্ট বোলার।
কিন্তু ড্রেসিংরুমে ফেরার সময় এনগিডির উল্লাসটা অসহ্য ঠেকল কোহলির। পেছনে ফিরে কড়া চোখে তাকিয়ে রইলেন কয়েক মুহূর্ত। প্রথম ইনিংসে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি করলেও সেঞ্চুরিয়নে আম্পায়ার ও ম্যাচ রেফারির সঙ্গে তর্ক করে ম্যাচ ফির ২৫ শতাংশ জরিমানা গুনতে হয়েছে কোহলিকে। কোহলিকে এ জন্য লেভেল ওয়ান ধারায় দোষী সাব্যস্ত করেছে আইসিসি। ‘খেলার চেতনার বিপক্ষে যায় এমন আচরণ’ করায় তাঁর নামের পাশে যোগ হয়েছে একটি ডিমেরিট পয়েন্ট। কোহলি অবশ্য নিজ আচরণে অনুতপ্ত। ম্যাচ রেফারি ক্রিস ব্রডের কাছে নিজের দোষ স্বীকারও করেছেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসের ২৫তম ওভার শেষে বল পানিতে নষ্ট হয়ে গেছে বলে আম্পায়ার গফের কাছে বারবার অভিযোগ তুলছিলেন কোহলি। কিন্তু আম্পায়ার তাঁর কথায় কান না দেওয়ায় ভারতের অধিনায়ক নিজেকে আর ধরে রাখতে পারেননি। একপর্যায়ে মাটিতে বল ছুড়ে মারেন, আইসিসির চোখে যা অপরাধের পর্যায়েই পড়ে।