মেসির পেনাল্টি মিস, বার্সার হার

পেনাল্টি মিস করার পর বিমর্ষ মেসি। ছবি: এএফপি
পেনাল্টি মিস করার পর বিমর্ষ মেসি। ছবি: এএফপি

এই মৌসুমে প্রথম হারের তেতো স্বাদ পেয়েছে বার্সেলোনা। টানা ২৯ ম্যাচ অপরাজিত থাকার পর কোপা ডেল রের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে তারা হেরেছে এসপানিওলের কাছে। নির্দিষ্ট করে বললে আগস্টের পর এটি বার্সেলোনার প্রথম হার। ২০০৯ সালের পর এই প্রথম বার্সাকে হারিয়ে বাজিমাত এসপানিওলের।

দারুণ ছন্দে থাকা মেসিকে এই খেলায় খুঁজেই পাওয়া যায়নি। মিস করেছেন পেনাল্টি। খুব বেশি গোলের সুযোগ তৈরি না হওয়া এই ম্যাচে ৬২ মিনিটে বার্সেলোনার পক্ষে আসা পেনাল্টিকেই ফলনির্ধারণী মনে হয়েছিল। কিন্তু মেসির শট ডান দিকে ঝাঁপিয়ে ব্যর্থ করে দেন এসপানিওল গোলরক্ষক ডিয়েগো লোপেজ।

ম্যাচের প্রায় পুরোটা সময়জুড়েই ছিল বার্সার রাজত্ব। গোল করার সুযোগ পেয়েছিলেন মেসি, সার্জিও বুসকেটস। জেরার্ড পিকের একটি হেডের গোল অফসাইডের কারণে বাতিল করে দেন রেফারি। মেসি তো একবার এসপানিওল গোলরক্ষককে একা পেয়েও গোল করতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ম্যাচের ৮৮ মিনিটের সময় অস্কার মেলেন্দোর গোলে হারই সঙ্গী হয় এবারের লা লিগায় বড় ব্যবধানে এগিয়ে লিগ শিরোপার অপেক্ষায় থাকা বার্সেলোনার।

লুইস সুয়ারেজকে ছাড়াই বার্সেলোনার একাদশ সাজিয়েছিলেন কোচ আর্নেস্তো ভেলভার্দে। দুই তারকা ফিলিপে কুতিনহো ও ওউসমান ডেম্বেলেকে মাঠে নামানোর সুযোগই পাননি। কিন্তু ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতার কারণে ৬০ মিনিটের সময় সুয়ারজকে বাধ্য হয়েই মাঠে নামিয়েছিলেন কোচ। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।

ম্যাচ শেষে বুসকেটস নিজের প্রতিক্রিয়ায় কিছুটা দার্শনিকই হয়ে উঠেছিলেন, ‘আমরা জানতাম এমন একটা দিন আসবে। কিন্তু এই দিনটা যেন দেরিতে আসে, সে লক্ষ্যেই আমরা চেষ্টা চালিয়েছি। কিন্তু আজ আর পারলাম না।’

কোপা ডেল রের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগেই হার। বুসকেটস অবশ্য এখনই হতোদ্যম হতে চান না, ‘আশার কথা হচ্ছে, আমাদের হাতে এখনো দ্বিতীয় লেগটা আছে। আমরা সে ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানো সর্বাত্মক চেষ্টা করব। যেভাবেই হোক আমরা ম্যাচটা জিততে চাই।’