কোহলির রাগ এবার সাংবাদিকদের ওপর!

কোহলির রাগ কমছেই না! ফাইল ছবি
কোহলির রাগ কমছেই না! ফাইল ছবি

ইতালি থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার দূরত্ব অন্তত ৮ হাজার কিলোমিটার। কিন্তু সেঞ্চুরিয়নে সিরিজ হারের পর, বিরাট কোহলিকে দেখে মনে হয়, ভয়ানক জীবন্ত ভিসুভিয়াস যেন মাথায় করে বসেছেন সংবাদ সম্মেলনে। যেন ৭৯ সালের পম্পেইকে গ্রাস করা লাভাস্রোত বয়ে গেল গণমাধ্যমের ওপর দিয়ে। এর আগে আম্পায়ারের সঙ্গে বাদানুবাদ করে ম্যাচ ফির ২৫ শতাংশ গুণেছেন। লুঙ্গি এনগিডির দিকে আগুনচোখে তাকিয়ে ছিলেন আউট হয়ে ফেরার পর। এবার কোহলির রাগ সাংবাদিকদের ওপর!

২৫ বছরের বদলা নিতে এসে রীতিমতো নাকানিচুবানি। ম্যাচ-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনের প্রশ্নগুলো একটু যেন বেশিই ঝাঁজালো হয়ে আসছিল ভারত অধিনায়কের দিকে। প্রথমটা একটু দেখে ‘খেললেন’ বটে, কিন্তু একাদশ নির্বাচন প্রসঙ্গ আসতেই দেখা গেল অগ্নিগর্ভ, আক্রমণাত্মক কোহলিকে, ‘সেরা একাদশ কোনটি? আমরা জিতলেই কি সেরা একাদশ হয়ে যেত এই দলটা? আমরা ম্যাচের ফল দিয়ে সেরা একাদশ নির্বাচন করি না।’ চড়াও হলেন প্রশ্নকর্তার ওপরও, ‘আপনি বলছেন, আমরা আমাদের সেরা একাদশ খেলাতে পারতাম...তাহলে আপনিই বলে দিন কোনটা সেরা একাদশ, আমরা সেটাই খেলাব।’

অজিঙ্কা রাহানেকে বাইরে রেখে রোহিত শর্মার অন্তর্ভুক্তি নিয়ে সমালোচনা চলছিল সিরিজের প্রথম টেস্ট থেকেই। কোহলি অবশ্য জোরালোভাবে সমর্থন করছেন এই দলটিকেই, ‘একটা ম্যাচ খারাপ খেললেই কাউকে আমরা বলতে পারি না, সে এই পর্যায়ে খেলার উপযুক্ত না। এমন তো নয় যে, সেরা একাদশ নিয়েও আমরা ভারতে হারিনি।’

এই সেঞ্চুরিয়নেই আম্পায়ার মিশেল গফের সঙ্গে অখেলোয়াড়সুলভ আচরণের কারণে ম্যাচ ফির ২৫ শতাংশ জরিমানা গুনতে হয়েছে কোহলিকে। কাজে আসেনি ভারতের সবেধন নীলমণি তাঁর সেঞ্চুরিটাও। পরিস্থিতির বিচারে দক্ষিণ আফ্রিকায় এখন পর্যন্ত কোহলি যেন বিধ্বস্ত আর পরাজিত এক সেনাপতিই। তাঁর নেতৃত্বে আসার পর একাদশে পরিবর্তনই যেন একমাত্র ‘অপরিবর্তনীয়’ ঘটনা। ঘন ঘন বদলের কারণেই কি দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে দলের নতজানু পারফরম্যান্স?

এমন প্রশ্নে আবারও ক্ষুব্ধ কোহলি। উত্তর দিতে গিয়ে তাঁর অধীনে ভারতের জয়-পরাজয়ের খতিয়ানটাও দিয়ে দিলেন, ‘৩৪ ম্যাচে কয়টি জিতেছি আমরা? কয়টি? বলুন কয়টি? ২১টি (আসলে ২০ টি), আর হার? ড্র? এসবে কিছু আসে-যায় না। যেখানেই আমরা খেলি, সামর্থ্যের সবটুকু উজাড় করে দিতে চেষ্টা করি। দেখুন, আমি এখানে আপনাদের প্রশ্নের উত্তর দিতে এসেছি, লড়াই করতে নয়।’

নিজেদের কি বিশ্বসেরা ভাবার এখনো সাহস আছে ভারতের?-ছুটে এল এমন প্রশ্নও। এবার যেন আহত, শ্রান্ত কোহলি, ‘এখানে আমরা শুধু খেলার জন্যই আসিনি। আচ্ছা, ভারতের মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার অবস্থাটা কী হয়, একবার ভাবুন তো।’ জি নিউজ।