তিনের সাকিবে মুগ্ধ তামিমও

তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে ভালোই করছেন সাকিব। ছবি: প্রথম আলো
তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে ভালোই করছেন সাকিব। ছবি: প্রথম আলো

সাকিব আল হাসানের প্রায় ১২ বছরের ওয়ানডে ক্যারিয়ার। বাংলাদেশ দলের জার্সিতে এক যুগের এই পথ চলায় লোয়ার মিডল অর্ডারেই ব্যাট নিয়ে নামতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। কিন্তু ঘরের মাঠে ত্রিদেশীয় সিরিজে দৃশ্যটা বদলে গিয়েছে। দলের প্রয়োজনে সাকিব এখন ব্যাট করছেন তিন নম্বরে।

ত্রিদেশীয় সিরিজে দুটি ম্যাচেই নতুন পজিশনে সাকিব কিন্তু বেশ সফল। প্রথম ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৩৭ রানের পর আজ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে করেছেন ৬৭। খেলোয়াড়টির নাম সাকিব বলেই হয়তো নতুন দায়িত্বে মানিয়ে নিয়েছেন খুব দ্রুতই। শুধু তা-ই নয়, তিনে ব্যাট হাতে পদোন্নতি পাওয়ার সুফল পাচ্ছেন বোলিংয়েও।

আজ টানা দ্বিতীয় ম্যাচ ৩ উইকেট তুলে নিলেন। এর সঙ্গে সরাসরি থ্রোয়ে শ্রীলঙ্কার সবচেয়ে বড় অস্ত্র চান্ডিমালকেও ফিরিয়েছেন। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে সাকিব ম্যাচ সেরাও। টানা দুই ম্যাচে ম্যাচ সেরা সাকিব নিজে এর আগে হয়েছিলেন কি? একটু ঘেঁটে দেখতে হবে।

উজ্জীবিত সাকিবকে দেখে রোমাঞ্চিত তামিম ইকবাল। বাংলাদেশের ইনিংস বিরতিতে তামিম বললেন, ‘সাকিবের জন্য তিনে ব্যাট করার চ্যালেঞ্জটা নতুন। তবে সে তার মেধা দিয়ে এই পজিশনেও ভালো করছে। আগের ম্যাচেও সে ভালো করেছে। সাকিবের এই পরিবর্তনটা দলেও ভালো প্রভাব রাখবে।’

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৯৯ রান তুলেছেন সাকিব-তামিম। এ ম্যাচে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৮৪ রানের ইনিংসটি তামিমের। আগের ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৮৩ রানে অপরাজিত ছিলেন। কিন্তু শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সেঞ্চুরির সুযোগ পেয়েও তা কাজে লাগাতে না পারার আফসোসটা তামিমের রয়েই যাচ্ছে।

বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে তিন নম্বর পজিশন নিয়ে উদ্বেগটা পুরোনো। সাকিব আল হাসানকে দিয়ে সেই পুরোনো সমস্যার নতুন সমাধান বের করার চেষ্টা করছে টিম ম্যানেজমেন্ট। আজ নিয়ে মোট চারবার তিনে ব্যাট করলেন সাকিব। এর মধ্যে তিন নম্বর পজিশনে তাঁর আজকের স্কোরটাই সর্বোচ্চ।

ব্যাটে-বলে সেরা অলরাউন্ডার সাকিবকে ফিরে পাওয়া বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য সবচেয়ে বড় সুখবর। এই সিরিজের আগে তাঁর বোলিং নিয়ে একটা প্রশ্ন উঠে যাচ্ছিলই। ত্রিদেশীয় সিরিজের আগের ১৪ ম্যাচে ৩ উইকেট ছিল না। সে সময় ২৮ ইনিংসে ১৪ বার উইকেটশূন্য ছিলেন। টানা দুই ম্যাচে ৩ উইকেট নিয়ে সাকিব যেন বিপিএলের ফর্মটাই ধরে রাখলেন।

আগের চেয়ে আরও বেশি ভূমিকা রাখার সুযোগ পাচ্ছেন। সাকিবের মতো চ্যাম্পিয়নরা দায়িত্ব পেলেই যে আরও বেশি জ্বলে ওঠেন, তা আরও একবার প্রমাণ হলো। সবচেয়ে বড় কথা, এদিন ম্যাচ শেষে নিজে কোনো কৃতিত্বই যেন নিতে চাইলেন না। বললেন তামিমের ৮৪ রানের ইনিংসটার কথা। মুশফিকের ফিফটি, বল হাতে সবার ভূমিকা রাখা; মাশরাফির সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া...।

এই না হলে নাম্বার ওয়ান!

আরও পড়ুন
তিনের সাকিব