বাটলার-ওকসের ব্যাটে সিরিজ ইংল্যান্ডের

সেঞ্চুরির পর বাটলারের উদ্‌যাপন। ছবি: এএফপি
সেঞ্চুরির পর বাটলারের উদ্‌যাপন। ছবি: এএফপি

অ্যাশেজ হারের জ্বলুনি এত দ্রুত মিটবে না। কিন্তু ক্ষতস্থানে দেওয়ার মলম জোগাড় হয়ে গেছে ইংলিশদের। দুই ম্যাচ হাতে রেখেই ওয়ানডে সিরিজ জিতে নিয়েছে ইংল্যান্ড। সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়াকে ১৬ রানে হারিয়েছে মরগানের দল। পাঁচ ম্যাচ সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল তারা।

২০১৫ বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ পড়ার পর আর অস্ট্রেলিয়ায় ওয়ানডে খেলা হয়নি ইংল্যান্ডের। প্রায় তিন বছর পর ফিরে মধুর বদলাটাই নিল ইংলিশরা। অস্ট্রেলিয়াকে অস্ট্রেলিয়ারই মাটিতে টানা তিন ম্যাচে হারিয়ে দিল। সেটাও কী দাপুটে জয়। তিন ম্যাচেই প্রায় পুরোটা সময় ব্যাকফুটে ছিল টেস্ট সিরিজে অপ্রতিরোধ্য অস্ট্রেলিয়া।
এর পেছনে গত বিশ্বকাপেরই অবদান। বাংলাদেশের কাছে হেরে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেওয়াটা এমনই ধাক্কা দিয়েছিল ইংলিশদের, নিজেদের চিন্তাভাবনাই বদলে ফেলেছে তারা। এর ফলেই দলে নিয়মিত হয়েছেন জেসন রয় কিংবা জস বাটলারদের মতো আক্রমণাত্মক ক্রিকেটাররা। আজীবন বিরক্তিকর ওয়ানডে দলের সমার্থক হয়ে যাওয়া ইংল্যান্ড দলে এখন ঝড় তুলতে পারাই দলে টেকার প্রথম শর্ত। আজ তেমনই একজন হারিয়ে দিলেন অস্ট্রেলিয়াকে—বাটলার।
এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান যে ঝড় তুলতে জানেন, এটা সবাই জানেন। ইংল্যান্ডের সবচেয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরির প্রথম চারটিতেই ঘুরে ফিরে তিনবার তাঁর নাম। আজ অমন প্রলয়ংকরী ঝড় তোলেননি, ৮৩ বলে পেয়েছেন সেঞ্চুরি। কিন্তু এটাই যথেষ্ট হয়েছে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে দিতে। বাটলারের ঝড়টা যে উঠেছিল আসল সময়েই।
ইদানীং ওয়ানডেতে ৪০ ওভারের পর রান তোলাটা একটু কঠিন ভাবা হয়। নতুন নিয়মে ৫ ফিল্ডার সামলানোটা সবার পক্ষে সম্ভব হয় না। কিন্তু বাটলার ঝড় তুললেন তখনই। শেষ ১০ ওভারে ক্রিস ওকসকে সঙ্গী করে ১০২ রান তুলেছেন। এতেই ১৮৯ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলা ইংলিশরা ইনিংস শেষ করল ৩০২ রানে। ইনিংসের শেষ বলে সেঞ্চুরি ছোঁয়া বাটলার ইনিংস গড়তে মেরেছেন ৬ চার ও ৪ ছক্কা। আর শেষ ওভারেই ফিফটি (৫৩*) করা ওকস ৩৬ বলের ইনিংসে মেরেছেন ৫ চার ও ২ ছক্কা।

তাড়া করতে নেমে চতুর্থ ওভারেই আউট ওয়ার্নার। বহুদিন পর দলে ফেরা ক্যামেরন হোয়াইটও বিদায় নবম ওভারে। আগের দুই ম্যাচে সেঞ্চুরি করা ফিঞ্চ আজও ফর্মে ছিলেন। কিন্তু ৫৩ বলে ৩ ছক্কা ও ৩ চার মেরেই আজ থেমেছেন ফিঞ্চ। ৬২ রানে ফিঞ্চ যখন আউট হলেন, দলের রান তক্ষণ ১১৩। প্রশ্নবিদ্ধ এক ক্যাচে স্মিথ দলকে ১৮১ রানে রেখেই বিদায় নিয়েছেন। মার্ক উডের বলে বাটলারের নেওয়া ক্যাচে বল মাটি ছুঁয়েছিল কি না, সেটা বারবার রিপ্লে দেখেও বোঝা যায়নি। তাই মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্তই রেখে দিতে হয়েছে।
মিচেল মার্শ (৫৫) ও মার্কাস স্টয়নিচের (৫৬) দুটি ফিফটি শুধু ব্যবধানই কমিয়েছে, জয়ের কোনো সম্ভাবনা জাগাতে পারেনি অস্ট্রেলিয়ার।