টি-টোয়েন্টিতেও পাকিস্তানের ব্যাটিং-লজ্জা

* ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হওয়া পাকিস্তান টি-টোয়েন্টি সিরিজও শুরু করেছে হার দিয়ে
* ব্যাটিং ব্যর্থতায় পাকিস্তানে প্রথমে গুটিয়ে যায় ১০৫ রানে
* বাবর আজমের ৪১ আর হাসান আলীর ২৭ মান বাঁচায় পাকিস্তানের
* শুরুর বিপর্যয়ের পরেও নিউজিল্যান্ড জয় তুলে নিয়েছে ৭ উইকেট। মানরো ৪৯ রানে অপরাজিত থাকেন।

মানরো জিতিয়ে ফিরেছেন নিউজিল্যান্ডকে। ছবি: এএফপি
মানরো জিতিয়ে ফিরেছেন নিউজিল্যান্ডকে। ছবি: এএফপি

ওয়ানডে সিরিজে ধবলধোলাই হওয়ার পর টি-টোয়েন্টি সিরিজের শুরুতেও সেই একই ধারা বজায় রাখল পাকিস্তান। গোটা নিউজিল্যান্ড সফরেই ব্যাটিংটা যেভাবে ভুগিয়েছে পাকিস্তানকে, আজও তাঁর ব্যতিক্রম হয়নি। ওয়েলিংটনে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে মাত্র ১০৫ রানে অলআউট হয়েছে। ঘরের মাঠে এমন লক্ষ্যমাত্রা পেয়ে নিউজিল্যান্ড ম্যাচটা জিতেছ খুব সহজেই, ৭ উইকেটে।

ওয়েলিংটনের উইকেট ছিল পুরোপুরিই ব্যাটিং উপযোগী। কিন্তু পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানরা সেই সুবিধা নিতে পারেননি। নির্দিষ্ট করে বললে দুই নতুন বলের বোলার সেথ রেন্স ও টিম সাউদি দাঁড়াতেই দেননি পাকিস্তানের টপ অর্ডারকে। সাউদি তুলে নেন মোহাম্মদ নওয়াজ ও ফখর জামানকে, রেন্স ফেরান উমর আমিনকে। ১৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে কাঁপতে থাকা পাকিস্তান আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি। নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট হারিয়েছে তারা। পাকিস্তানের ‘সম্ভ্রম’ হয়ে ছিলেন বাবর আজম। পাশাপাশি বলতেই হচ্ছে ‘বোলার’ হাসান আলীর কথা। বাবরের ৪১ আর হাসানের ২৩ রানে বড় ধরনের লজ্জার শঙ্কায় থাকা পাকিস্তান নিজেদের সংগ্রহ ১০০ পার করায়। এই দুইয়ের বাইরে আর কেউই দুই অঙ্ক পেরোতে পারেননি।

কেন উইলিয়ামসনের জায়গায় আজ কিউইদের নেতৃত্বে দিয়েছেন টিম সাউদি। দিনটাকে তিনি স্মরণীয় করে রেখেছেন দারুণ বোলিং পারফরম্যান্সে—আগেই বলা হয়েছে সাউদি তরুণ রেন্সকে সঙ্গে নিয়ে পাকিস্তানকে শুরুর ধাক্কাটা দিয়েছেন। দুজনেই ভাগ করে নেন পাকিস্তানের ৬ উইকেট (রেন্স পেয়েছেন ৩টি, সাউদি ৩টি)। স্যান্টনার পেয়েছেন ২ উইকেট। বাকি দুই উইকেট আনারে কিচেন ও কলিন মানরোর। 

নিউজিল্যান্ডের জবাবটা অবশ্য বেশ বাজেই হয়েছে। ৫৭ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে বসেছিল তারা। পাকিস্তানি বোলাররা লড়াইয়ের আভাস দিয়েছিলেন। কিন্তু কলিন মানরো ও রস টেলরের ৪৯ রানের জুটিতে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় নিউজিল্যান্ড। পাকিস্তানের বাঁ হাতি পেসার রুম্মান রইস শুরুতেই মার্টিন গাপটিল ও গ্লেস ফিলিপসকে ফিরিয়ে লড়াই জমিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু মানরো প্রথমে টম ব্রুস ও পরে টেলরকে নিয়ে নিজেদের জয় নিশ্চিত করেন। মানরে ৪৯ ও টেলর ২২ রানে অপরাজিত ছিলেন। ব্রুস করেন ২৬। রুম্মানের ২ উইকেটের পাশাপাশি শাদাব খান নিয়েছেন ১ উইকেট।