বাংলাদেশ সবই জানে, শুধু পারছে না
>
• আরও একটি অসহায় আত্মসমর্পণ বাংলাদেশ দলের।
• কেন এই হার, ব্যাখ্যা দিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ।
• মাহমুদউল্লাহ জানালেন, ভুল থেকে বেরোতে হবে, না হলে সামনেও একই ফল পেতে হবে!
সাকিব আল হাসান চোটে পড়ায় বড় দায়িত্ব উঠেছিল তাঁর কাঁধে। ১১ বছরের ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো জাতীয় দলের নেতৃত্ব পেলেন। প্রায় শূন্য হাতেই অধিনায়কত্বের প্রথম পর্ব শেষ করতে যাচ্ছেন মাহমুদউল্লাহ। দল হারছে আর ম্যাচ শেষে ম্লান বদনে সেই পরাজয়ের ব্যাখ্যা দিতে হচ্ছে—একজন অধিনায়কের কতটা যাতনাময় অভিজ্ঞতা! কিন্তু কেন ধারাবাহিক ব্যর্থ বাংলাদেশ, সেটিও আবার দেশের মাঠে!
কেন পারছে না, কোথায় ভুল হচ্ছে সবই জানা বাংলাদেশের। ম্লান হাসিতে মাহমুদউল্লাহ বলছেন, ‘যে ভুলগুলো প্রতিনিয়ত করেছি, সেটারই মাশুল দিতে হচ্ছে। এখান থেকে বেরোতে হবে। না হলে সামনেও একই ফল পেতে হবে। নির্দিষ্ট যে পরিকল্পনা হয় মাঠে সেটা কাজে লাগাতে হবে। বোলিংয়ে উইকেট না নিতে পারলে খুব কঠিন। কিছু একটা আপনাকে করতেই হবে। আপনি রান দিতে পারেন কিন্তু উইকেট নিতে হবে। তখন সুযোগ থাকে ঘুরে দাঁড়ানোর। ব্যাটিংয়ে বড় জুটি গড়তে পারিনি। ২০০-এর বেশি তাড়া করতে নামলে পাওয়ার প্লেতে ৬০-৭০ তুলতে হবে। যেটা গত ম্যাচে হয়েছে, এই ম্যাচে হয়নি। আমি খুবই হতাশ।’
উপায় জানা আছে। প্রতিপক্ষের শক্তি-দুর্বলতা ভেবে গেমপ্ল্যানও হচ্ছে। তবুও বাংলাদেশ কেন পারেনি, সেটিও জানা মাহমুদউল্লাহর, ‘আমাদের ভুল বলতে পরিকল্পনা কাজে না লাগাতে পারা। এর বাইরে কোনো ভুল দেখছি না। নিজস্ব কিছু পরিকল্পনাও থাকতে হবে, সাহসী হতে হবে। না হলে টি-টোয়েন্টি ভালো করা যাবে না। ঝুঁকি নিতে হবে। প্রতি ওভারে ১২-১৩ রান উঠছে, আবার আপনি বাড়তি কিছু করছেনও না। তাহলে কিছুই হবে না। ওদের দেখেন, পাওয়ার প্লেতে রান উঠেছে, উইকেটও তুলে নিয়েছে। আমরা পাওয়ার প্লেতে ৩ উইকেট হারিয়েছি। টি-টোয়েন্টিতে প্রথম ৫-৬ ওভার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। টপ অর্ডারের ব্যাটসম্যানদের রান তুলতে হবে, বোলারদের উইকেট নিতে হবে।’
সবই জানে বাংলাদেশ, আপাতত জানা নেই শুধু কীভাবে জয়ের ধারায় ফিরতে হবে!