অশ্বিন-গিবস টুইট-যুদ্ধ

>
ফিক্সিং নিয়ে টুইটার গরম অশ্বিন-গিবসের। ফাইল ছবি
ফিক্সিং নিয়ে টুইটার গরম অশ্বিন-গিবসের। ফাইল ছবি
• টুইটারে হঠাৎ মুখোমুখি রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও হার্শেল গিবস।
• রানিং শু নিয়ে অশ্বিনের একটি টুইট থেকেই এই বিতর্কের সূত্রপাত।
• গিবস খোঁচা দিয়েছিলেন অশ্বিনকে মাঠে তাঁর ধীরগতি নিয়ে।
• জবাবে ম্যাচ ফিক্সিং নিয়ে গিবসের অতীত টেনে আনেন ভারতীয় অফ স্পিনার।

লড়াইয়ের কোনো পূর্বাভাস ছিল না। হঠাৎ করেই টুইটারে মুখোমুখি রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও হার্শেল গিবস। ভারতীয় অফ স্পিনারের একটা পোস্টে মন্তব্য করেই ‘ক্যারম বলে’র মুখে গিবস। সাবেক প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান বোধ হয় ভাবতেও পারেননি অশ্বিনের একটা নিরীহ টুইটে মন্তব্যের এমন ‘পাল্টা’ তাঁকে নিতে হবে। এরপর দুজন দুজনকে লক্ষ্য করে একের পর এক টুইট ঝাড়তে থাকেন। বেশ জমে উঠেছিল দুজনের টুইট-যুদ্ধ। পরে দুই তরফে অবশ্য তোলা হয়েছে সাদা পতাকা।

ঘটনার শুরু টুইটারে অশ্বিনের একটা পোস্ট দিয়ে। ক্রীড়াসামগ্রী প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান নাইকির নতুন একটি রানিং শুর ভিডিও দিয়ে এর গুণাগুণ বর্ণনা করেছিলেন অশ্বিন। বলেছিলেন, এটি তাঁর ব্যবহার করা সেরা রানিং শু। এর সূত্র ধরে গিবসের মন্তব্যে ছিল খোঁচা, ‘আশা করছি, এখন থেকে আরও জোরে দৌড়াতে পারবে তুমি।’

অশ্বিন গিবসের এই মন্তব্য ‘নিছক রসিকতা’ হিসেবে নিতে পারেননি। কে না জানে, মাঠে গদাই লস্করি চালে দৌড়ানোর জন্য সমালোচিত অশ্বিন। গিবসের মন্তব্যটা তাঁর দুর্বল জায়গায় আঘাত মনে করেই বোমাটা ফাটিয়েছেন। জবাবে টেনে এনেছেন প্রোটিয়া ক্রিকেটারের অন্ধকার অতীত, ‘অবশ্যই আমি তোমার মতো এত দ্রুত কিছু করতে পারি না। দুর্ভাগ্যক্রমে আমি তোমার মতো আশীর্বাদধন্যও নই। তবে আমি নিজেকে আশীর্বাদধন্য মনে করি এই কারণে যে আমার একটা নীতিমান মন আছে, যেটি শিক্ষা দেয় ম্যাচ গড়াপেটা না করতে। ক্রিকেট আমার রুটিরুজি।’

এমন জবাব পেয়ে কিছুটা ভড়কে গিয়েই গিবস জবাব দেন, ‘ভাই, তুমি তো দেখি রসিকতাও বোঝো না।’ অবস্থা গুরুতর হয়ে দাঁড়াচ্ছে দেখেই হয়তো অশ্বিন একটু অন্যভাবেই পরের জবাবটি লেখেন, ‘আমার জবাবটাও পুরোপুরি রসিকতা ছিল। কিন্তু তুমি তো এটা অন্যভাবে নিলে। যা-ই হোক, এ ধরনের রসিকতায় আমার কোনো আপত্তি নেই। চলো একদিন একসঙ্গে ডিনার করি।’