এনামুলের সেঞ্চুরি, মাশরাফির ৫ উইকেট

>
এবার প্রিমিয়ার লিগে প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পেলেন এনামুল। ফাইল ছবি
এবার প্রিমিয়ার লিগে প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পেলেন এনামুল। ফাইল ছবি
• আবাহনীর হয়ে সেঞ্চুরি করলেন এনামুল হক 
• শেখ জামালকে ৪৭ রানে হারিয়েছে আবাহনী 
• দেবব্রত দাস সেঞ্চুরি পেলেও জেতেনি তাঁর দল ব্রাদার্স 
• ৫ বল হাতে রেখে ব্রাদার্সকে ২ উইকেটে হারিয়েছে গাজী 
• প্রাইম দোলেশ্বরকে ৫৫ রানে হারিয়েছে রূপগঞ্জ

জাতীয় দলে ধারাবাহিকতার অভাবে আসা-যাওয়া করলেও ঘরোয়া ক্রিকেটে এনামুল হক বরাবরই প্রথম সারির পারফরমার। এবার ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে খেলাঘরের বিপক্ষে আবাহনীর প্রথম ম্যাচে অপরাজিত ছিলেন ৮৬ রানে। খেলাঘর দেড় শর ওপাশে গিয়ে গুটিয়ে যাওয়ায় দলের জয় এনে দিলেও সেঞ্চুরিটা পাননি এনামুল। এর দুই ম্যাচ পর রূপগঞ্জের বিপক্ষে খেলেছিলেন ৭৭ রানের ইনিংস। কিন্তু আজ সেঞ্চুরিটা পেয়েই গেলেন এনামুল। বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে আজ শেখ জামালের বিপক্ষে ১১৬ রানের ইনিংস খেলেছেন আবাহনীর এ ওপেনার।
আগে ব্যাটিংয়ে নেমে এনামুলের সেঞ্চুরি এবং শেষ দিকে মোসাদ্দেক হোসেনের (৪৯) ব্যাটে ৭ উইকেটে ২৭০ রান তুলেছিল আবাহনী। জবাবে ৪৫.৩ ওভারে ২২৩ রানেই গুটিয়ে যায় শেখ জামাল। অধিনায়ক নুরুল হাসানের ব্যাট থেকে এসেছে সর্বোচ্চ ৮৩ রান। আবাহনীর ৪৭ রানের এ জয়ে এনামুলের ব্যাটিং যদি ‘নিউক্লিয়াস’ হয় মাশরাফি বিন মুর্তজা তাহলে বোলিংয়ের ‘নায়ক’। একাই ৫ উইকেট নিয়ে শেখ জামালের ইনিংস ধসিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক। ২ উইকেটে মেহেদী হাসান মিরাজের।
এনামুলের সেঞ্চুরি আবাহনীকে জেতালেও ব্রাদার্স ইউনিয়নকে জেতাতে পারেনি দেবব্রত দাসের সেঞ্চুরি। বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে আগে ব্যাটিংয়ে নামা ব্রাদার্সের হয়ে ১১২ রানের ইনিংস খেলেন ভারতের এ ক্রিকেটার। তাঁর সেঞ্চুরি এবং ইয়াসির আলীর ফিফটিতে (৫৪) ৫ উইকেটে ২৭৩ রানের স্কোর দাঁড় করায় ব্রাদার্স। জবাবে ম্যাচটা শেষ ওভার পর্যন্ত টেনে নিয়ে জিতেছে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। ফিফটি তুলে নেন গাজীর দুই জাতীয় দলের খেলোয়াড় ইমরুল কায়েস ও মুমিনুল হক। তবে ভারতীয় রিক্রুট গুরক্রিত সিংয়ের ৮৮ বলে অপরাজিত ৭১ রানের ইনিংসে ৫ বল হাতে রেখে ২ উইকেটের জয় পেয়েছে গাজী।
শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে প্রাইম দোলেশ্বরকে ৫৫ রানে হারিয়েছে লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। নাঈম ইসলাম, মুশফিকুর রহিম ও আবদুল মাজিদের ফিফটিতে ৭ উইকেটে ২৭২ রান তুলেছিল রূপগঞ্জ। জবাবে ৪৭.৫ ওভারেই ২১৭ রানে গুটিয়ে যায় দোলেশ্বর। মোশাররফ হোসেন (৪/৪০) ও আসিফ হোসেনের (৩/৪৬) বোলিংয়ে দোলেশ্বরের কোনো ব্যাটসম্যান ফিফটি পর্যন্ত পাননি!