গোল নিয়ে গোলমাল নয়

গোল নিয়ে গোলমাল নয়। ছবি: সংগৃহীত
গোল নিয়ে গোলমাল নয়। ছবি: সংগৃহীত

গোল নিয়ে গোলমাল তো কম দেখেনি বিশ্ব ফুটবল। শুধু কি গোল? পেনাল্টি, অফসাইড কিংবা বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়ে হয়েছে গন্ডগোলও। তবে এসব নিয়ে ‘গোল’ বাধার দিন বুঝি ফুরিয়ে এল। সে লক্ষ্যেই রাশিয়া ফুটবল বিশ্বকাপ থেকে চালু হতে যাচ্ছে ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারিং (ভিএআর) পদ্ধতি। যদিও এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত আসেনি; তবে ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনোর কণ্ঠে কিন্তু সেই সুরই বাজছে, ‘এখনকার দিনে ভিডিও রেফারিং ফুটবলেরই অংশ। এই পদ্ধতি নিয়ে আমরা আশাবাদী।’ ১৬ মার্চ এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে বলে বিবিসেকে জানান ফিফার এই কর্তাব্যক্তি।

এর মধ্যেই ইংলিশ ঘরোয়া কাপের বেশ কয়েকটি ম্যাচে পরীক্ষামূলকভাবে টেলিভিশন রেফারি রাখা হয়েছিল। ইংলিশ কাপ ছাড়াও জার্মানি ও ইতালিতেও এই প্রযুক্তির ব্যবহার হয়েছে। সুফলও পাওয়া গেছে। সে জন্যই ফুটবলের আইনপ্রণেতারা সুইজারল্যান্ডের জুরিখে এক সভায় ভিএআর পদ্ধতির পক্ষে ভোট দেন। সব ঠিক থাকলে রাশিয়া ফুটবল বিশ্বকাপ ২০১৮–তেই এই পদ্ধতি প্রয়োগ করা হবে। শনিবার দ্য ইন্টারন্যাশনাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন বোর্ডের (আইএফএবি) ওই সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়। ফিফার গভর্নিং বডি, ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, ওয়েলস এবং উত্তর আয়ারল্যান্ডের ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনগুলোর সমন্বয়ে আইএফএবি গঠিত হয়েছে। 

হুট করেই এমন সিদ্ধান্ত নেয়নি আইএফএবি। রীতিমতো গবেষণা চালিয়েছে এর ওপর। বেলজিয়ামের দ্য ক্যাথোলিক ইউনিভার্সিটি লিউবেনের গবেষণার পর এই সিদ্ধান্ত নেয় তারা।

ফুটবল–ভক্তরা এই সিদ্ধান্তে হতাশ হবেন না—এমনটি মনে করছেন জিয়ান্নি ইনফান্তিনো, ‘প্রায় এক হাজার ম্যাচের ভিডিও রেফারিং নিয়ে গবেষণা করা হয়। নির্ভুলতার মাত্রা ৯৩ শতাংশ থেকে ৯৯ শতাংশে গিয়ে দাঁড়ায়, যা প্রায় নিখুঁতই।’   

রেফারির চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের পর মাঠে থাকা বড় পর্দায় ফুটেজটি আবারও দেখানো হবে। যেটি দেখে কিংবা যার মাধ্যমে মাঠের রেফারি এবং ভিডিও রেফারি সিদ্ধান্ত নিবেন। মাঠের রেফারির সিদ্ধান্ত, মাঠের বাইরে টেলিভিশন রেফারির সিদ্ধান্ত—এসব নিয়ে দর্শকেরা বিভ্রান্ত হতে পারেন। সে জন্যই এর এমন ব্যাখ্যা দিয়েছেন ফিফার প্রযুক্তিবিষয়ক প্রধান কর্মকর্তা জোহানেস হজমুলার।