সোনাজয়ী মা-বাবার ছেলের রুপা জয়

বাবা-মায়ের মাঝখানে ছেলে রওনক চৌধুরী। সঙ্গে আছে ছোট ছেলে রাফকাত চৌধুরীও।
বাবা-মায়ের মাঝখানে ছেলে রওনক চৌধুরী। সঙ্গে আছে ছোট ছেলে রাফকাত চৌধুরীও।
>
  •  সাবরিনা সুলতানা ও সাইফুল আলম চৌধুরী রিংকি দেশের নামকরা শুটার।
  •  তাঁদের বড় ছেলে আজ যুব গেমসে সোনা জয় করেছে।

যুব গেমস শুটিংয়ে এয়ার পিস্তলে রুপা জিতেছে রওনক চৌধুরী। অনূর্ধ্ব-১৭ ক্যাটাগরিতে ১৪ বছরের কারও রুপা জয় এমনিতেও আলোচনার দাবি রাখে। আর শুটারের নাম যখন রওনক, তখন আলাদা গুরুত্ব দিতেই হচ্ছে।

সাবরিনা সুলতানা ও সাইফুল আলম চৌধুরী রিংকি দেশের নামকরা শুটার। ১৯৯৭ সালে কমনওয়েলথ শুটিংয়ে সোনা জয় করেছিলেন সাবরিনা। আর রিংকি ১৯৯৩ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত সাফ গেমসে এয়ার রাইফেলের ব্যক্তিগত ও দলগত—দুই ইভেন্টেই দেশকে উপহার দিয়েছিলেন সোনার পদক। পরের সাফ গেমসে দুটি সোনা অক্ষুণ্ন রাখার সঙ্গে আরও একটি ইভেন্টে সোনা জিতেছিলেন তিনি। রওনক তাঁদের বড় সন্তান।

এমন দম্পতির ঘরে তো সোনার ছেলেই আসার কথা! এখনই অবশ্য সোনা জিততে পারেনি রওনক। যুব গেমস শুটিংয়ের এয়ার পিস্তল ইভেন্টে রুপা জয় করেছে রওনক। ১৪ বছরের ছেলেটির কাছে রুপাই বা কম কী! এরপর তো সোনার হাতছানি থাকছেই।

এ ইভেন্টে ২৭০ স্কোর করে সোনা জয় করেছে নেত্রকোনা রাইফেল ক্লাবের শেখ শাহজালাল সাদমান। তার চেয়ে আট স্কোর কম করে রোপা জিতেছে রওনক। আর ব্রোঞ্জজয়ী চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন শুটিং ক্লাবের শাকের আহমেদের স্কোর ২৫৩।

গতকাল উদ্বোধন হয়েছে যুব গেমসের চূড়ান্ত পর্বের। ২০ কোটি টাকা ব্যয়ের এই প্রতিযোগিতায় প্রথম সোনা এসেছে শুটিং থেকেই। ওপেন সিক্রেট এয়ার রাইফেলে ২৪৭ স্কোর করে প্রথম সোনাটি জয় করেছে পাবনার মো. মেহেদী হাসান লিমন। ২৩৯ স্কোর করে রোপা জিতেছে গুলশান শুটিং ক্লাবের ফজলে রাব্বি ও ব্রোঞ্জজয়ী নেত্রকোনা রাইফেল ক্লাবের অর্ণবের স্কোর ২৩৬।