স্পিনেই বাংলাদেশের সর্বনাশ!

চাহালের চালে সর্বনাশ হয়েছে বাংলাদেশের। ছবি: প্রথম আলো
চাহালের চালে সর্বনাশ হয়েছে বাংলাদেশের। ছবি: প্রথম আলো

পরশু যুজবেন্দ্র চাহালের কাছে জানতে চাওয়া হলো, এখনো দাবা খেলেন? ‘এখন আর খেলি না।’ এমনভাবে বললেন, যেন দাবা ছেড়ে দিয়ে বড় অপরাধ করেছেন! চাহাল এখনো চাল দেন, সেটা ব্যাটসম্যানকে, বোলিংয়ে বৈচিত্র্য এনে। কাল সেই ‘চালে’ই বোর্ড (পড়ুন ২২ গজ) থেকে ঝটপট সরিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশের মন্ত্রী, গজ, নৌকা! টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যান নেই!

চাহাল উদাহরণ মাত্র। পুরো নিদাহাস ট্রফিতেই বাংলাদেশ এভাবে স্পিনারের বিপক্ষে ভুগেছে। পেসারদের মোটামুটি খেলতে পারলেও সর্বনাশ হয়েছে ঘূর্ণিতেই! কন্ডিশন বিবেচনা করলে বাংলাদেশ আর শ্রীলঙ্কার মধ্যে খুব একটা পার্থক্য নেই। তবুও বাংলাদেশ কেন স্পিন খেলতে পারেনি, সেটা একটি রহস্য!

কাল বাংলাদেশ ইনিংসের ১০.১ ওভারে মুশফিকুর রহিম যখন চাহালের গুগলি ঠিকঠাক না পড়তে পেরে ক্যাচ তুলে দিলেন, তাতে নিদাহাস ট্রফিতে স্পিনারদের বিপক্ষে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের দুর্বলতা আরেকবার প্রকাশ পেল। স্পিনারদের বিপক্ষে বাংলাদেশকে রান তুলতে কতটা বেগ পেতে হয়েছে, ৫ ম্যাচে ৬.৮৯ ইকোনমি সেটিই বলছে। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের বিপক্ষে পেসারদের ইকোনমি সেখানে ৯.৫৬।

বাংলাদেশের একটা উইকেট পেতে পেসারদের খরচ করতে হয়েছে ৩৪.৭৩ রান। স্পিনাররা সেটি পেয়ে গেছেন ২২.১৪ রানেই। টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের ২৯ উইকেটের ১৫টি নিয়েছেন পেসাররা, ১৪টি স্পিনাররা। কিন্তু বাংলাদেশকে ভুগিয়েছে ঘূর্ণি বলই। কালও ভারতের তিন পেসার ১২ ওভারে দিলেন ১২৬ রান। কেবল উনাদকাট দুই উইকেট পেয়েছেন, বাকি দুই পেসারের খালি হাত। ১৯তম ওভারের আগে কোনো পেসারই উইকেট পাননি। ইকোনমি ১০.৫।

অন্যদিকে স্পিনাররা ৮ ওভারে ৩৮ রান দিয়ে নিয়েছেন ৪ উইকেট। ইকোনমি ৪.৭৫। তার চেয়েও বড় কথা, চার উইকেটের প্রতিটি বাংলাদেশের রানের চাকা শ্লথ করেছে।

বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা গতির বলের তুলনায় স্পিন বেশ ভালো খেলেন, এটাই এত দিন জেনে এসেছে সবাই। নিদাহাস ট্রফিতে স্পিন বোলিংয়ে বাংলাদেশ যেভাবে খুঁড়িয়ে এগিয়েছে, তাতে মনে হতে পারে, নতুন করে ‘ঘূর্ণি-রোগে’ পেয়ে বসেছে ব্যাটসম্যানদের!