সাবিনার কাছে হার টটেনহাম ফুটবলারের!

বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন। প্রথম আলো ফাইল ছবি
বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন। প্রথম আলো ফাইল ছবি
>
  • ইন্ডিয়ান উইমেন্স লিগে বিদেশি কোটায় তামিল নাড়ুর ক্লাবে খেলছেন সাবিনা ও কৃষ্ণা
  • একই দলে আছেন ইংলিশ ক্লাব টটেনহামে খেলা তানভি হ্যানসন
  • হ্যানসনকে পেছনে ফেলে একাদশে জায়গা করে নিয়েছেন সাবিনা

ইন্ডিয়ান উইমেনস লিগে তামিলনাড়ু সিথু এফসির হয়ে দারুণ করছেন বাংলাদেশের জাতীয় নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন। প্রথম ম্যাচে বদলি হিসেবে মাঠে নেমেছিলেন। পরের দুই ম্যাচেই একাদশে। প্রথম একাদশে নেমে তো টানা গোলই পেলেন। সিথুর প্রথম একাদশে সাবিনা নিজের জায়গা করে নিয়েছেন লড়াই করেই। লড়াইয়ে তিনি পেছনে ফেলেছেন টটেনহামে খেলা খেলোয়াড়কে!

ইংলিশ ক্লাবে খেলা সেই ফুটবলার হলেন তানভি হ্যানসন। তিনি অবশ্য ভারতীয়ই। দিল্লির মেয়ে তানভি ২০১১ সালে ইংল্যান্ডে পাড়ি জমান। টটেনহামের জার্সিতে খেলেন ২০১৩ সালে। টানা দুই মৌসুম ‘স্পার’দের নারী দলে খেলার পর নাম লেখান ফুলহামে। এরই মধ্যে ব্রিটিশ নাগরিকত্বও পেয়ে যান। ইন্ডিয়ান উইমেন্স লিগে তানভি খেলছেন বিদেশি খেলোয়াড়ের কোটাতেই।

টটেনহামের জার্সিতে তানভি হ্যানসন। ছবি: সংগৃহীত
টটেনহামের জার্সিতে তানভি হ্যানসন। ছবি: সংগৃহীত

এই লিগের নিয়ম অনুযায়ী প্রতি ম্যাচে ১৮ সদস্যের দলে থাকতে পারবেন দুজন আর একাদশে খেলতে পারবেন একজন বিদেশি। প্রথম ম্যাচে হ্যানসনের বদলি হিসেবে মাঠে নেমেছিলেন সাবিনা। অল্পক্ষণের সুযোগেই বাজিমাত। কেননা এর পরে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি সাবিনাকে।
সাবিনার কাছে হার মেনে খেলতে না পারলেও মাঠের বাইরে দুজন খুব দোস্তি। তানভি সাবিনাকে দিয়েছেন বড় সার্টিফিকেট, ‘একজন সতীর্থ হিসেবে সাবিনা খুবই ভালো একজন মেয়ে। মাঠের বাইরে তার সঙ্গে আমার সম্পর্কটা চমৎকার। ওর খেলার প্রশংসা তো করতেই হয়। সে খুবই মেধাবী এবং অভিজ্ঞ। নিচে নেমে এসে ভালো আক্রমণ তৈরি করতে পারে।’