প্রেরণা হতে পারেন এই কেরানি ও নার্স

দুই বিভাগে দুই জয়ী, তবে ট্রফি একটাই। ছবি: রয়টার্স
দুই বিভাগে দুই জয়ী, তবে ট্রফি একটাই। ছবি: রয়টার্স

৩৩ বছর পর জিতেছেন কোনো মার্কিন নারী। ১৯৯০ সালের পর প্রথমবার আফ্রিকা মহাদেশের বাইরের প্রতিযোগীরা জিতেছেন নারী-পুরুষ দুই বিভাগেই। এবারের বোস্টন ম্যারাথনকে শীর্ষ খবর বানাতে যথেষ্ট ছিল এ দুটি কারণই। তবে জিতেও শিরোনাম হতে পারলেন না নারী বিভাগের সেরা ডিজাইরি লিন্ডেন। প্রচারের সব আলো যে কেড়ে নিয়েছেন তাঁর পেছনে থেকে দ্বিতীয় হওয়া সারা সেলারস।
হইচই তো হবেই। পরশু মাত্র দ্বিতীয়বার ম্যারাথনে অংশ নিলেন পেশায় নার্স এই দৌড়বিদ। আর তাতেই কিনা দ্বিতীয় হয়ে ব্যাংক হিসাবে যোগ করে নিলেন ৭৫ হাজার মার্কিন ডলার। সেটাও কোথায়, বিশ্বের শীর্ষ ছয় ম্যারাথন প্রতিযোগিতার অন্যতম বোস্টনে।
হইচই হচ্ছে পুরুষ বিভাগের নতুন চ্যাম্পিয়ন ইউকি কাওয়াউচিকে নিয়েও। তিনিও যে পেশাদার নন। জাপানি দৌড়বিদ সাইতামার একটি বিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা। তবে সেলারসের সঙ্গে কাওয়াউচিকে মেলালে ভুল হবে। সেলারস যেখানে মাত্র দ্বিতীয়বার ম্যারাথনে দৌড়ালেন, সেখানে এবারের বোস্টন ছিল কাওয়াউচির ৮০তম। তাঁর আক্ষেপ একটাই, বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ ও বিভিন্ন ম্যারাথন প্রতিযোগিতায় নিয়মিত অংশ নিলেও অলিম্পিকে দৌড়ানো হয়নি কখনো। ৩১ বছর বয়সী ম্যারাথনার জাপানের অলিম্পিক দলেই যে সুযোগ করে নিতে পারেননি কখনো।
কাওয়াউচির কোনো কোচ নেই, নেই কোনো স্পনসরও। সেই কাওয়াউচি ১২২তম বোস্টন ম্যারাথন জেতার পর নিজেই বিস্মিত, ‘আমার মনে হয় না বোস্টনে এমন একজনও ছিলেন কিনা, যিনি ভেবেছেন আমি আজ জিততে পারি। (তবে) ম্যারাথনে কী হতে পারে, আপনি তা ধারণাও করতে পারবেন না।’
নারী বিভাগের বিস্ময় সেলারস এর আগে ম্যারাথনে অংশ নিয়েছেন শুধু ইয়ুটায়। সেটাও ছিল বোস্টন ম্যারাথনের বাছাইপর্ব। সেখানে প্রথম হয়েই বোস্টনে নাম লেখানোর সুযোগ পেয়েছেন। মাত্র সাত মাস আগে ম্যারাথনের অনুশীলন শুরু করেন ২৬ বছর বয়সী সেলারস। সেখান থেকে কত দ্রুতই না বিশ্বের সবচেয়ে পুরোনো ম্যারাথন প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় সেরা!
ঘোর যেন কাটছেই না সেলারসের, ‘এখনো মনে হচ্ছে একটু পরই ঘুম ভাঙবে আমার। ভাবব, কী সুন্দর স্বপ্নই না ছিল!’
সেলারসের আর দোষ কী! অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যের টুসনের ব্যানার হেলথ সেন্টারের নার্স অনুশীলনের সময় বের করতেই হিমশিম খান। হঠাৎই খ্যাতি-অর্থ দুটিই যে হঠাৎ ভাসিয়ে নিল তাঁকে!