স্লেজিং কমিয়ে আনবেন অস্ট্রেলীয়রা!

স্লেজিং করা কমিয়ে দেবে অস্ট্রেলিয়া দল! ফাইল ছবি
স্লেজিং করা কমিয়ে দেবে অস্ট্রেলিয়া দল! ফাইল ছবি

ডেভিড বুন থেকে ইয়ান হিলি, শেন ওয়ার্ন থেকে গ্লেন ম্যাকগ্রা—অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট মানেই তো এমন সব দুর্দান্ত ক্রিকেটার। যাঁরা ব্যাটে-বলে শুধু নিজেদের কাজ করেই ক্ষান্ত হতেন না, অনবরত মুখ চালিয়ে প্রতিপক্ষের কান ঝালাপালা করে দিতেন। স্লেজিং দিয়ে প্রতিপক্ষকে দুর্বল করে দেওয়াকে এমনই মোক্ষম অস্ত্র বানিয়ে ফেলেছিল অস্ট্রেলিয়া। সে অস্ত্র কিনা স্বেচ্ছায় ছুড়ে ফেলে দেবে দলটি! নতুন অধিনায়ক টিম পেইন তো এমনটাই বলছেন।

দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে তৃতীয় টেস্টে বল বিকৃতির ঘটনা ঘটায় অস্ট্রেলিয়া। তাৎক্ষণিক কোনো সিদ্ধান্ত নয়, ভেবেচিন্তেই এমন কাজ করায় এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ ও সহ–অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার। আর দুই নেতার কথায় বল বিকৃতি করায় ক্যামেরন ব্যানক্রফটকে পেতে হয়েছে ৯ মাসের শাস্তি। এমন রদবদলেই থামেনি ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া, দলের অতি আক্রমণাত্মক খেলার সংস্কৃতি থেকে বের হওয়ার কথাও ভাবছে তারা। সে চেষ্টার পথে প্রথম ধাপে স্লেজিং কমানোই গুরুত্ব পাচ্ছে।

আগামী অক্টোবরের আগে কোনো টেস্ট খেলবে না অস্ট্রেলিয়া। জুনে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অবশ্য ওয়ানডে সিরিজ খেলবে বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। এর মধ্যেই দলের সংস্কৃতিতে পরিবর্তন আনতে চান পেইন। অস্ট্রেলিয়া দলের কৌশলে স্লেজিং স্থান পাবে কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে নতুন অধিনায়ক জানিয়েছেন, ‘না, আমার মনে হয় না। অন্তত অতটা প্রবলভাবে থাকবে না। মাঠে অবশ্যই কিছু সময় আসবে, কিছু মুহূর্ত সৃষ্টি হবে, যখন প্রতিপক্ষের সঙ্গে কথা চালাচালি হবে কিন্তু এখন থেকে কী বলা হবে এবং সেটা কীভাবে বলা হবে, এতে অনেক পরিবর্তন হবে।’

তবে দলে যে পরিবর্তনই আসুক, সেটি স্মিথের সঙ্গে কথা বলেই করবেন পেইন। দল নিয়ে স্মিথের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করবেন বলে জানিয়েছেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। এর কারণ, অস্ট্রেলীয় দলের বেশ কিছু সংস্কৃতির পরিবর্তন নাকি স্মিথের সময়ই ভাবা হচ্ছিল, ‘আমরা এখন যা করতে যাচ্ছি, এসব নিয়ে কথাবার্তা স্টিভের অধীনেই শুরু হয়েছিল।’