চলে গেলেন 'মোহামেডানের মনু'

১৯৮৬ সালে মোহামেডানের জার্সিতে মনু। সেই বছর দুর্দান্ত খেলে সবার মন জয় করেছিলেন এই দ্রুতগতি সম্পন্ন ফুটবলার
১৯৮৬ সালে মোহামেডানের জার্সিতে মনু। সেই বছর দুর্দান্ত খেলে সবার মন জয় করেছিলেন এই দ্রুতগতি সম্পন্ন ফুটবলার
>আবাহনীর বিপক্ষে সেই দূরপাল্লার শটের গোল। চীনের গোয়াংডং ক্লাবের গোলরক্ষককে বোকা বানিয়ে বাঁকানো শটে করা গোল। মোহামেডানের সাবেক ফুটবলার মনির হোসেন মনু আজ চলে গেলেন অন্যলোকে


তাঁর আসল নাম মনির হোসেন। কিন্তু আশির দশকের শেষ দিকে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে যাদের নিয়মিত যাতায়াত ছিল, তাদের কাছে তিনি ‘মনু’ নামেই বেশি পরিচিত। মোহামেডানের সমর্থকদের কাছে ‘কালো চিতা’ সেই মনু মারা গেছেন আজ দুপুর ১২টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ)। লিভার সিরোসিসে ভুগে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি।
বাংলাদেশের ফুটবলে মনু বিস্মৃতপ্রায় এক নাম; সেটি এ প্রজন্মের ফুটবলপ্রেমীদের কাছে। কিন্তু একটা প্রজন্মের মোহামেডান সমর্থকদের কাছে মনু তো অবিস্মরণীয় এক স্মৃতি। তীব্রগতিতে প্রতিপক্ষকে ছিটকে গোলমুখে ঢুকে পড়া কিংবা চকিত শটের গোল—মোহামেডানের সমর্থকেরা মনুকে মনে রেখেছেন এভাবেই।
আশির দশকের মাঝামাঝি ঢাকার ফুটবলে ধূমকেতুর মতোই আবির্ভাব এই উইঙ্গারের। প্রচণ্ড গতিসম্পন্ন মনু ১৯৮৬ সালের লিগে আবাহনীর বিপক্ষে প্রায় মাঝমাঠ থেকে দুর্দান্ত এক গোল করেছিলেন। তাঁর সেই গোলেই আবাহনীকে হারিয়ে টানা তিন মৌসুম পর লিগ শিরোপা ঘরে তুলেছিল মোহামেডান। ১৯৮৭ সালে প্রেসিডেন্ট গোল্ডকাপ আন্তর্জাতিক ফুটবল প্রতিযোগিতায় চীনের গোয়াংডং ক্লাবের বিপক্ষে বাংলাদেশ সাদা দলের হয়ে তাঁর আছে আরও একটি দুর্দান্ত গোল। ডি বক্সের বাইরে থেকে তাঁর নেওয়া শটটি হঠাৎ বাঁক খেয়ে হতভম্ব করে দিয়েছিল চীনের গোলরক্ষককে। ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত মোহামেডানে খেলেন তিনি। ১৯৮৮ সালে চলে যান ইয়ংমেন্স ফকিরেরপুল ক্লাবে। চোট সমস্যা বড় হতে দেয়নি তাঁর ফুটবল ক্যারিয়ার।