নেইমারকে চাইলেই কিনতে পারবে না কেউ

চোটের কারণে মাঠের বাইরে আছেন নেইমার, তবে আলোচনার বাইরে নন। ছবি: রয়টার্স
চোটের কারণে মাঠের বাইরে আছেন নেইমার, তবে আলোচনার বাইরে নন। ছবি: রয়টার্স

এ যেন দিল্লিকা লাড্ডু। না খেলে পস্তাতে হয়, খেয়েও। নেইমারকে কেনার পর থেকেই সেই স্বাদ পাচ্ছে প্যারিস সেইন্ট জার্মেই। মেসি-রোনালদোর যুগে এই দুজনের সঙ্গে এক নিশ্বাসে বলা যায় এমন ফুটবলারকে না কেনাটা বোকামি। আবার এমন ফুটবলার দল থেকে চলে যাবেন, এমন দুশ্চিন্তাও নিজেদের ঘাড়ে টেনে আনা। তবে পিএসজি সমর্থকদের স্বস্তি দিচ্ছেন লিগ ডি ফুটবল প্রফেশনালের (এলএফপি) প্রধান নির্বাহী দিদিয়ের কুইলোত।

ছয় মাস ধরেই শোনা যাচ্ছে নেইমারকে রিয়াল মাদ্রিদে নিতে চান ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ। ৪০০ মিলিয়ন ইউরো দিয়ে হলেও নাকি ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডকে দলে নেবেন রিয়াল সভাপতি। ২০২২ পর্যন্ত চুক্তির মেয়াদ থাকলেও নেইমার নাকি পিএসজিকে উপেক্ষা করেই চলে যাবেন রিয়ালে। তবে কুইলোত জানিয়েছেন, পিএসজির অনিচ্ছায় কোনো দল তাঁকে নিতে পারবে না। কারণ নেইমারের চুক্তি কোনো রিলিজ ক্লজ নেই। অর্থাৎ, বার্সেলোনাকে ২২২ মিলিয়ন ইউরো দিয়ে যেভাবে নেইমারকে ছিনিয়ে এনেছে পিএসজি, রিয়াল কিংবা ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের কোনো দল তেমনটা করতে পারবে না।

ফ্রেঞ্চ ফুটবলের নিয়ন্ত্রণ সংস্থার এই কর্মকর্তা স্পষ্ট বল দিয়েছেন, ‘ওর (নেইমারের) চুক্তি, যেটা লিগ কমিটিতে নিবন্ধন করা হয়েছে, সেটাই অফিশিয়াল চুক্তি। আর সেখানে কোনো বাই-আউট ক্লজ নেই। আর ফ্রেঞ্চ ফুটবলে এ ধরনের কোনো ক্লজ রাখা নিষিদ্ধ।’
কুইলোতের এমন কথা স্বস্তি দেবে পিএসজির সমর্থকদের। তবে ক্লাব কর্মকর্তারা এখনো নিশ্চিত নন নেইমারকে নিয়ে। ফ্রেঞ্চ লিগ নিয়ে নেইমারের অসন্তুষ্টি এবং নেইমারের বাবার ব্যবসায়িক ভাবনা নিয়ে ভয়ে আছে তারা। কারণ খেলোয়াড় যদি থাকতে না চান, তবে তাঁকে এই রিলিজ ক্লজ বা বাই-আউট ক্লজ না থাকলেও আটকে রাখা যায় না। নেইমারের জাতীয় দল সতীর্থ ফিলিপে কুতিনহোই লিভারপুল থেকে বার্সেলোনায় যোগ দিয়ে সেটা দেখিয়ে দিয়েছেন।