দারুণ এক ইনিংসেও শ্রেয়াস হারাতে পারেননি গেইলবিহীন পাঞ্জাবকে

দারুণ ইনিংস খেলেও দলকে জেতাতে পারেননি আয়ার। ছবি: এএফপি
দারুণ ইনিংস খেলেও দলকে জেতাতে পারেননি আয়ার। ছবি: এএফপি

ক্রিস গেইলকে না খেলানোটা কি কাল হলো? ম্যাচের প্রথম অংশে এমন প্রশ্ন জেগেছিল। টানা তিন ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়কে আজ বিশ্রাম দিয়েছে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব। আগের তিন ম্যাচেই রানের বন্যা বইয়ে দেওয়া পাঞ্জাব তাই আজ খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে তুলল মাত্র ১৪৩ রান। কিন্তু পাঞ্জাবের বোলিং লাইনআপ এ রানকে জয়ের জন্য যথেষ্ট বানিয়ে দিল। দিল্লি ডেয়ারডেভিলসকে ৪ রানে হারিয়েছে পাঞ্জাব।

গেইলের নেই, তাই অবশেষে ওপেনিংয়ে সুযোগ মিলল অ্যারন ফিঞ্চের। ফর্ম হাতড়ে বেড়ানো অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার করলেন মাত্র ২ রান। ফর্মে থাকা লোকেশ রাহুল যখন মাত্র ২৩ রানে ফিরলেন, তখনই টের পাওয়া যাচ্ছিল আজ আর পাঞ্জাবের রানের পাহাড় গড়া হচ্ছে না। মায়াঙ্ক আগারওয়াল (২১), করুণ নায়ার (৩৪) ও ডেভিড মিলার (২৬)—কেউই ইনিংস বড় করতে পারেননি। মাঝে যুবরাজ সিং তো প্রতিদিনের মতোই দলে তাঁর অন্তর্ভুক্তিকে প্রশ্নবিদ্ধ করে গেলেন। তাঁর ১৭ বলে ১৪ রানটাই ইনিংসের মাঝপথে পাঞ্জাবকে আটকে দিয়েছে। পাওয়ার প্লেতে ৫১ রান করা পাঞ্জাব তাই বাকি ১৪ ওভারে মাত্র ৯২ রান তুলতে পারল। মাত্র ১৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট পেয়েছেন লিয়াম প্লাঙ্কেট।

রান তাড়ার শুরুটা উড়ন্ত ছিল দিল্লির। ফিল্ডিংয়ে মিলারের সহজ এক ক্যাচ ফেলার দায় মেটাচ্ছিলেন পৃথবী শ। মাত্র ১০ বলে ২২ রান তুলে বিদায় নেন শ। দলীয় ২৫ রানে শর বিদায়ের পর ছোটখাটো একটা ধস নামে দিল্লির ইনিংসে। আর ৫১ রান যোগ করতে না করতেই দিল্লি হারাল আরও ৪ উইকেট। দ্বাদশ ওভারের শেষ বলে ক্রিস্টিয়ান যখন ফিরছেন, দিল্লির তখন ৪৮ বলে দরকার ৬৮ রান।

পরের ওভারেই আউট হয়ে গিয়েছিলেন শ্রেয়াস আয়ার। বারিন্দর স্রানের বলে কট বিহাইন্ড যখন দেওয়া হলো আয়ারকে, স্কোরকার্ড তখন রূপ নিয়েছিল ৮৪/৬–তে। রিভিউ নিয়ে সে সিদ্ধান্ত ফেরালেন আয়ার। ম্যাচটাও জমতে শুরু করল আস্তে আস্তে। রাহুল তেবাতিয়াকে নিয়ে ঠান্ডা মাথায় প্রথমে পরিস্থিতি শান্ত করলেন আয়ার।

৪ ওভারে ৪৩ রান দরকার—এমন অবস্থায় ম্যাচটা নিজেদের দিকে হেলিয়ে দিলেন তেবাতিয়া। ১৭তম ওভারের প্রথম বলেই ছক্কা, আরেকটি চারসহ ওই ওভারে এল ১৫ রান। কিন্তু পরের ওভারে এল মাত্র ৭ রান, তেবাতিয়াও ফিরে গেলেন শেষ বলে। ১৯তম ওভারে দিল্লি পিছিয়ে পড়ল আরেকটু। দ্বিতীয় বলে গোল্ডেন ডাক নিয়ে ফিরলেন প্লাঙ্কেট, ওভারে রানও এল মাত্র ৪টি।

শেষ ওভারে ১৭ রান লাগবে—এমন অবস্থায় বোলিংয়ে এলেন মুজিব-উর-রহমান। আগের ৩ ওভারে মাত্র ১৩ রান দেওয়া মুজিব প্রথম বলে কোনো রান দিলেন না। দ্বিতীয় বলে ছক্কা। তৃতীয় বল আবার ডট। চতুর্থ বলে ২। পঞ্চম বলে চার।
শেষ বলে ৫ রান লাগবে। ছক্কা মারলে জয়, চার মারলে টাই! এতক্ষণ পর্যন্ত দলকে আশায় রাখা আয়ার বলটা আকাশে তুললেন ঠিক কিন্তু সীমানা পার করতে পারলেন না। সীমানায় ধরা পড়লেন ৪৫ বলে ৫৭ রান করে। দিল্লিও হারল ৪ রানে।