টেস্টে মাশরাফির ভূমিকা কী হবে, প্রশ্ন বিসিবি সভাপতির

বড় পরিসরের ক্রিকেটের প্রতি মাশরাফির ভীষণ টান। ছবি: সাদ্দাম হোসেন
বড় পরিসরের ক্রিকেটের প্রতি মাশরাফির ভীষণ টান। ছবি: সাদ্দাম হোসেন

খুলনায় বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) শেষ রাউন্ড খেলার সময় মাশরাফি বিন মুর্তজা জানিয়েছেন, বয়স ৩৪-৩৫ হয়ে গেলেও এখনো যে ফিটনেস, তাতে আরও দুই বছর টেস্ট খেলার সামর্থ্য তাঁর রয়েছে। ক্রিকেটের অভিজাত সংস্করণে ফিরতে মাশরাফি আগ্রহী হলেও বিসিবি কী ভাবছে এ নিয়ে? মাশরাফিকে নিয়ে অবশ্য বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসানের সংশয় আছে।

২০০৯ সালের জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে হাঁটুর চোটে পড়ে টেস্টের সঙ্গে একপ্রকার দূরত্বই তৈরি হয়েছে মাশরাফির। মাঝেমধ্যে যদিও ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলেন। তবে সেটি বেশির ভাগ সময়ই ফিটনেস ও অনুশীলনের উদ্দেশ্যে। তবে টেস্টের প্রতি তাঁর ভালোবাসা এতটুকু কমেনি। দুদিন আগে সেই ভালোবাসা থেকেই বলেছেন, টেস্টে ফেরার ইচ্ছে তাঁর আছে।

কিন্তু বিসিবি সভাপতির প্রশ্ন, মাশরাফি আদৌ টেস্টের জন্য ফিট? আজ মিরপুর শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়াম বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক ভলিবলের ফাইনাল শেষে নাজমুল বললেন, ‘জানি না, সে টেস্টে ফিট কি না। কোথায় কোন দেশে টেস্ট খেলবে সে? দেশের বাইরে? তাহলে প্রতিদিন ওকে অন্তত ২০ থেকে ২৫ ওভার বোলিং করতে হবে। ও বলছে, পারবে? তাহলে তো আমাদের কিছু বলার নেই। ফিজিও যদি অনুমতি দেয় আর সে যদি পারে তাহলে অবশ্যই স্বাগত জানাব। তবে আমাদের এ নিয়ে ধারণা নেই। যদি মনে করেন আমাদের দেশে খেলা, তাকে দিয়ে মাত্র ২ বা ৩ ওভার করাব, সেটা ভিন্ন বিষয়।’

ফিরতে চাইলে টেস্টে মাশরাফির ভূমিকা কী হবে, সেটি নিয়েও প্রশ্ন আছে নাজমুলের, ‘সে কী হিসেবে আসতে চায়, ব্যাটসম্যান না বোলার? এটা বড় প্রশ্ন। আমি মনে করি, সে যদি ফিট থাকে, যেকোনো সংস্করণেই তার খেলা উচিত। তার মতো খেলোয়াড় পাওয়া কঠিন। বড় দৈর্ঘ্যের ক্রিকেটে খেলাটা তার এবং ফিজিওর ওপর নির্ভর করছে। আমাদের ধারণা, সে যদি ওয়ানডে খেলতে পারে, টি-টোয়েন্টিও খেলা উচিত। ১০ ওভার যদি করতে পারে, ৪ ওভারও তার করা উচিত। এ কারণে তাকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল (আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলতে)। তখন সে আগ্রহ দেখায়নি। আমরা ধরে নিচ্ছি তার আগ্রহ নেই (টি-টোয়েন্টি খেলা)।’