ঘুম ভেঙেছে মোস্তাফিজের মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের

উইকেট পাওয়ার এই উল্লাস পরে রূপ নিয়েছে ম্যাচ জয়ে। ছবি: এএফপি
উইকেট পাওয়ার এই উল্লাস পরে রূপ নিয়েছে ম্যাচ জয়ে। ছবি: এএফপি
>
  • প্রথমে ব্যাট করে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৮১ রান করে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স
  • জবাবে কলকাতা ৬ উইকেটে ১৬৮ রানে আটকে যায়
  •  চার ম্যাচে এটি মুম্বাইয়ের তৃতীয় জয়

প্রথম ৬ ম্যাচে জয় মাত্র একটি। সেখানেই কি শেষ দেখে ফেলেছিলেন মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের? ২০১৫ সালে কিন্তু এমন শুরু করেও শেষে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল মুম্বাই। এবারও দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে যখন, দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়াল রোহিত শর্মার দল। আজ কলকাতা নাইট রাইডার্সকে হারাল ১৩ রানে। গত ৪ ম্যাচে এটি তাদের তৃতীয় জয়। মুম্বাইয়ের দেওয়া ১৮২ রানের লক্ষ্যে কলকাতা ৬ উইকেটে তুলতে পারে ১৬৮ রান।

এই জয়ের পরও নিরাপদ চার নিশ্চিত হয়নি। তবে হেরে গেলে বিদায় প্রায় নিশ্চিত হয়ে যেত—এমন ম্যাচে ২ পয়েন্ট তাদের আশা ভালোমতোই বাঁচিয়ে রাখল। যদিও এই ম্যাচটিও দর্শক হয়ে দেখতে হলো মোস্তাফিজুর রহমানকে। মোস্তাফিজের বদলি হিসেবে নিয়মিত সুযোগ পাচ্ছেন যিনি, সেই বেন কাটিং অবশ্য আজও বল হাতে ২ ওভারে ২৩ রান দিয়েছেন। বেশির ভাগ দিনেই কাটিংকে পুরো ব্যবহার করছে না মুম্বাই। আজও যেমন ব্যাটিং পাওয়া হয়নি তাঁর।

মুম্বাইয়ের টপ আর মিডল অর্ডার জ্বলে ওঠায় লোয়ার অর্ডারের ডাক পড়ছে না। আজ তো দুই ওপেনার মিলে ৯.১ ওভারে ৯১ রান তুলে দিয়েছিলেন। সূর্যকুমার যাদব ৩৯ বলে ৫৯ রান করেছেন। এভিন লুইস ২৮ বলে ৪৩। এমন শুরুর পরও রানটা ২০০ হয়নি, সেটাই বিস্ময়ের। মাঝে হার্দিক পান্ডিয়ার ২০ বলে ৩৫ আর রোহিত শর্মা (১১), ক্রুনাল পান্ডিয়া (১৪) ও জেপি ডুমিনির (১৩) ছোট ইনিংসগুলো তবু ভালো সংগ্রহই এনে দেয়।

শুরুটা খুব একটা মন্দ হয়নি নাইটদের। কিন্তু দলীয় ২৮ রানেই ফিরে যান দুই ওপেনার ক্রিস লিন ও শুভমান গিল। তৃতীয় উইকেট জুটিতে রবিন উথাপ্পা ও নীতিশ রানা দারুণভাবে সামলে নেন। দশ ওভার শেষেও ম্যাচের পাল্লা নাইটদের দিকে হেলে। ২ উইকেট হারিয়ে ৯১ রান। এমনকি ১২ ওভার শেষেও বাজি কলকাতার পক্ষেই ছিল বেশি। কাটিংকে টানা চারটি চার মেরে মুম্বাইয়ে বিদায়ের রাস্তাই দেখাচ্ছিলেন উথাপ্পা।

শেষ ৮ ওভারে ৮ উইকেট নিয়ে ৭১ রান চাই। ওভারে তারা রান তুলছে সোয়া নয় করে। আর দরকার ৮.৮৭। এ অবস্থায় ম্যাচ গেল ঘুরে! মাত্র দুই ওভারে: ১২ ও ১৩! এই দুই ওভারেই যে ফিরে যান দুই থিতু ব্যাটসম্যান। দলীয় ১১২ রানের সময় কাটিংয়ের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ব্যক্তিগত ৫৪ রানে ফিরে যান উথাপ্পা। স্কোর বোর্ডে ৩ রান যোগ হতেই পরের ওভারেই হার্দিকের বলে ব্যক্তিগত ৩১ রানে ক্যাচ তুলে ফেরেন রানা।

সুনীল নারাইনকে জমিয়ে রেখে শেষে নামিয়েছিল কলকাতা। তিনিও আর ঝড়টা তুলতে পারেননি। পারেননি আন্দ্রে রাসেলও। নিদাহাস ট্রফির ফাইনালের ইনিংসটাও ফিরিয়ে আনতে পারেননি দীনেশ কার্তিক—করেছেন ২৬ বলে ৩৬।

তাতেই মুম্বাইয়ের জয়। এই ধারা ধরে রাখতে পারলে প্লে অফের আশা করতেই পারে। এখনো বাকি ৪ ম্যাচ।