অনেক বিতর্কের এক 'এল ক্লাসিকো'

বিতর্কে ভরা ছিল গতরাতের ‘এল ক্লাসিকো’
বিতর্কে ভরা ছিল গতরাতের ‘এল ক্লাসিকো’
>

রামোসের দাবি, রেফারির ওপর চাপ প্রয়োগ করেছেন মেসি। রেফারির সিদ্ধান্ত অবশ্য খেপিয়ে তুলেছে বার্সা-রিয়াল দুই পক্ষকেই।

অভিযোগটা গুরুতর। রিয়াল অধিনায়ক সার্জিও রামোস ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে যা বললেন, তা চমকে দিতেই পারে সবাইকে। বিরতির সময় টানেলে রেফারির ওপর নাকি চাপ প্রয়োগ করেছিলেন লিওনেল মেসি!

লা লিগার চ্যাম্পিয়নশিপ নির্ধারণী না হলেও গত রাতের ‘এল ক্লাসিকো’ ছিল বিতর্কে ভরা। ম্যাচের শুরুতে মার্সেলোর পাস থেকে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো বার্সার বক্সে ঢুকে পড়লেও লাইন্সম্যান অফসাইড ডাকেন। টেলিভিশন রিপ্লেতে দেখা গেছে, রোনালদো খুব বেশি এগিয়ে যাননি। বার্সেলোনার দ্বিতীয় গোলটি নিয়েও আছে বিতর্ক। মেসির দুর্দান্ত সেই গোলের উৎসে সুয়ারেজ রাফায়েল ভারানেকে ফাউল করলেও রেফারি তা এড়িয়ে গেছেন। সার্জি রবার্তোর লাল কার্ড নিয়েও কথা আছে। অনেক গুরুতর অপরাধ করেও লাল কার্ডের হাত থেকে যেখানে গ্যারেথ বেল বেঁচে গেছেন, সেখানে মার্সেলোর মুখে আলতো টোকা দিয়ে লাল কার্ড দেখেছেন রবার্তো।

এই বিতর্কগুলোর মধ্যে নতুন করে আগুন দিয়েছেন রামোস, ‘মেসি টানেলে রেফারির ওপর চাপ প্রয়োগ করেছে। আমি জানি না সেখানে ক্যামেরা ছিল কি না! মেসির চাপের মুখেই দ্বিতীয়ার্ধে রেফারি বাজে সিদ্ধান্তগুলো দিয়েছেন কি না, সেটাও আমি বলতে পারব না। তবে এগুলো সবই মাঠের ব্যাপার। মাঠের ব্যাপার-স্যাপার আমি মাঠেই রেখে আসতে চাই।’

টানেলে বার্সেলোনার পিকে আর রিয়ালের নাচো ফার্নান্দেজের মধ্যকার ঝগড়াও গতকালের ‘এল ক্লাসিকো’র একটি কালো অধ্যায়। রামোস অবশ্য ব্যাপারটিকে অন্যভাবে উড়িয়ে দিয়েছেন, ‘দুজনই স্পেন জাতীয় দলে আমার সতীর্থ। আমি জানি, স্পেন জাতীয় দলের সতীর্থদের একে অন্যের প্রতি সম্মানের মাত্রা কতখানি।’