নতুন সাকিব-তামিমদের স্বপ্ন দেখাচ্ছে বিসিবি

রাজধানীর খুদে ক্রিকেটারদের স্বপ্ন পূরণে সহায়তা করতে চাচ্ছে বিসিবি। ছবি: প্রথম আলো
রাজধানীর খুদে ক্রিকেটারদের স্বপ্ন পূরণে সহায়তা করতে চাচ্ছে বিসিবি। ছবি: প্রথম আলো

মাশরাফি-সাকিবদের সাফল্যে ক্রিকেটের প্রতি দেশের মানুষের আগ্রহ বেড়েছে ক্রমেই। এই সাফল্যে ভর করে রাজধানীতে ব্যক্তি উদ্যোগে বেড়েছে একাডেমির সংখ্যা। ঢাকার পাড়া-মহল্লায় গড়ে ওঠা ক্রিকেট একাডেমির নির্দিষ্ট সংখ্যাটা অবশ্য বলা কঠিন। প্রশ্ন হচ্ছে, মাশরাফি-সাকিব-তামিম-মুশফিক হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে এসব ক্রিকেট একাডেমিতে ভর্তি হওয়া বিপুলসংখ্যক খুদে ক্রিকেটারের ভবিষ্যৎ কী? তাঁদের স্বপ্নপূরণে আদৌ কোনো উদ্যোগ আছে বিসিবির?

বিসিবির নীতিনির্ধারকদের যুক্তি, বিশালসংখ্যক একাডেমির তত্ত্বাবধান কিংবা হাজার হাজার ক্রিকেটারের দেখভাল করা বিসিবির পক্ষে কঠিনই। তবে রাজধানীর খুদে ক্রিকেটারদের সুখবর, একাডেমির ক্রিকেটারদের জন্য বিসিবি একটি উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে এবার। ২০ মে থেকে ৪০ ওভারের একটি টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে যাচ্ছে বিসিবি, যেটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘বিসিবি একাডেমি কাপ’। নকআউট ভিত্তিতে এই টুর্নামেন্টে অংশ নেবে ঢাকা শহরের বাছাই করা ৩২টি একাডেমি।
কী কী পদ্ধতিতে নির্বাচন করা হয়েছে ৩২টি ক্রিকেট একাডেমি, সেটি নিয়ে বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট কমিটির প্রধান খালেদ মাহমুদের ব্যাখ্যা, ‘অনুশীলন সুবিধা কেমন, কোচদের লেভেল-১.২ কোচিংয়ের অভিজ্ঞতা আছে কি না, কয় বছর ধরে তাদের একাডেমি চলছে—আমাদের শর্ত মানতে পারেনি, এমন কোনো একাডেমিকে সুযোগ দিইনি। আমাদের চেষ্টা থাকবে কোনো একাডেমি যেন ব্যবসার কেন্দ্র না হয়। প্রতিষ্ঠানগুলো যেন ক্রিকেটার তৈরির কারখানা হতে পারে।’
বিসিবির বেঁধে দেওয়া শর্ত অনুযায়ী খেলোয়াড়দের বয়সসীমা হতে হবে ১৫ থেকে ১৮। এই বয়সসীমার মধ্যে থাকলেই যে টুর্নামেন্ট খেলতে পারবে, তা নয়। ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিস বা সিসিডিএমের নিবন্ধিত কোনো খেলোয়াড় অংশ নিতে পারবে না। অর্থাৎ ঢাকা লিগ কিংবা প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় বিভাগে খেলা কোনো ক্রিকেটার এই টুর্নামেন্ট খেলতে পারবে না। খেলতে পারবে না বিসিবির বয়সভিত্তিক ক্রিকেট (অনূর্ধ্ব-১৫, ১৭, ১৯) দলে সুযোগ পাওয়া ক্রিকেটাররাও। এ টুর্নামেন্টের মাধ্যমে একেবারে ‘ফ্রেশ ক্রিকেটার’দের সুযোগ দিতে চায় বিসিবি।
মাহমুদ বললেন, তরুণ ক্রিকেটারদের উৎসাহিত করতেই প্রথমবারের মতো এ ধরনের টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে যাচ্ছেন তাঁরা, ‘ঢাকায় অনেক একাডেমি আছে, আমাদের উদ্দেশ্য এখান থেকে ভালো মানের কিছু খেলোয়াড় তুলে এনে তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা। যে চারটি দল সেমিফাইনালে উঠবে, বিসিবি চেষ্টা করবে তাদের গেম ডেভেলপমেন্টের অধীনে নিয়ে আসতে। তরুণ ক্রিকেটারদের উৎসাহিত করতেই আমাদের এ উদ্যোগ।’
এই টুর্নামেন্ট থেকে নির্বাচিত সেরা ১৫-২০ জন খেলোয়াড় নিয়ে বিসিবির একাডেমির অধীনে পাঁচ সপ্তাহের একটি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। টুর্নামেন্টে শীর্ষ চারটি একাডেমিকে অনুশীলনে সহায়তা করবে বিসিবি। পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে আর্থিক পুরস্কারও রাখছে বিসিবি। বিজয়ী দল ১ লাখ ও রানার্সআপ দল পাবে ৫০ হাজার টাকার আর্থিক পুরস্কার।