অারামবাগের তরুণদের বাজিমাত

মাথা নিচু করে মাঠ থেকে বের হয়ে আসছেন সাইফের ফুটবলারা। আর তাঁদের সামনে আরামবাগের খেলোয়াড়দের বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস। ছবি: প্রথম আলো
মাথা নিচু করে মাঠ থেকে বের হয়ে আসছেন সাইফের ফুটবলারা। আর তাঁদের সামনে আরামবাগের খেলোয়াড়দের বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস। ছবি: প্রথম আলো
>
  •  আরামবাগের কাছে ২-০ গোলে হেরে অনূর্ধ্ব-১৮ টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছে সাইফ
  •  ভালো যুব দল গঠনের লক্ষ্যে কোটি টাকা ব্যয় করেছে সাইফ
  • আরামবাগের দলটি তৃতীয় বিভাগের খেলোয়াড়দের নিয়ে গঠিত

প্রতি খেলোয়াড়ের মাসিক বেতন ২০ হাজার, মাসপ্রতি দলের খাবার খরচ প্রায় ৫ লাখ ও স্প্যানিশ কোচের বেতন প্রায় ৬ লাখ টাকা। সব মিলিয়ে দলটির পেছনে মাসিক খরচ ১৪ লাখ টাকা। অর্থাৎ আট মাসে দলটির পেছনে খরচ হয়েছে ১ কোটি টাকার বেশি। সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের এই যুব দলটিই কিনা বিদায় নিল আরামবাগের কাছে হেরে। অনূর্ধ্ব–১৮ ফুটবল টুর্নামেন্টের কোয়ার্টার ফাইনালে আজ আরামবাগের বিপক্ষে ২-০ গোলে হেরেছে তারা।

ম্যাচের প্রথমার্ধে সাইফ অবশ্য খেলেছিল দাপটের সঙ্গেই। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের ৬০ মিনিটে মারামারিতে জড়িয়ে সাইফের ফয়সাল হোসেন ফাহিম লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়ায় পুরো ম্যাচের নাটাই চলে আসে আরামবাগের হাতে। তবে ফাহিম লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়ার আগেই ৫৩ মিনিটে আকিবের কর্নার থেকে শাকিলের গোলে এগিয়ে যায় আরামবাগ। ম্যাচের আধা ঘণ্টা বাকি থাকতে ১০ খেলোয়াড়ের দল হয়ে পড়ায় সাইফের আর ম্যাচে ফেরা সম্ভব হয়নি। উল্টো শেষ মিনিটে ব্যবধান ২-০ করেন ফাহিম উদ্দিন সোহেল। সাধারণত তৃতীয় বিভাগের খেলোয়াড়দের নিয়ে দল গঠন করেছে আরামবাগ। যাঁদের বেশির ভাগ খেলোয়াড়ই খেলছেন পেটেভাতে। এই টুর্নামেন্টের জন্য ৫ হাজার টাকা করে পাচ্ছেন এ দলের খেলোয়াড়েরা।

অনূর্ধ্ব–১৮ টুর্নামেন্টে নামকাওয়াস্তে প্রস্তুতি নিয়ে অংশগ্রহণ করছে ক্লাবগুলো। সেখানে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (বিকেএসপি) খেলোয়াড়দের নিয়ে একমাত্র সাইফই ছিল পূর্ণ প্রস্তুতির দল। প্রায় আট মাস বিকেএসপির ছাত্রদের নিয়ে স্প্যানিশ কোচের অধীনে অনুশীলন। বিদেশের মাটিতে টুর্নামেন্ট খেলা। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে একটি যুব দলের দারুণ প্রস্তুতি। সবার চোখেই টুর্নামেন্টের শিরোপার দাবিদার সাইফ। কিন্তু সে দলটিই কিনা বিদায় নিল শেষ আট থেকে।

স্বাভাবিকভাবে বিষয়টি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করলেন সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাসির উদ্দিন চৌধুরী, ‘একটি ভালো যুব দল গঠনের জন্য যা করার, তার সবই আমরা করেছি। স্প্যানিশ কোচের অধীনে আট মাস অনুশীলন করিয়েছি। কোচের চাহিদা অনুযায়ী পুরো বিদেশি ঘরানায় তাদের খাবার সরবরাহ করা হয়েছে। সব মিলিয়ে এই দলটির পেছনে আমাদের খরচ ১ কোটি টাকার বেশি। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আশা নিয়ে খেলে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই বিদায় নিলাম। খুবই হতাশ। তবে হাল ছাড়ছি না।’