সবকিছু রুটিন মেনে করতে বলেছেন কোহলি

নেটে অনুশীলনের সময়ও ব্যায়াম করছেন কোহলি। ফাইল ছবি
নেটে অনুশীলনের সময়ও ব্যায়াম করছেন কোহলি। ফাইল ছবি

বিরাট কোহলির ফিটনেস ঈর্ষণীয়। কবজির মোচড়ে দুর্দান্ত সব শট খেলেন বলে হয়তো অনেকেই ভুলে যান দৌড়ে দ্রুত রান তোলায়ও কম যান না ভারত অধিনায়ক। ফিটনেস ধরে রাখাকে সব সময় গুরুত্ব দিয়ে দেখেন কোহলি। আর এ জন্যই নতুন প্রজন্ম নিয়ে আক্ষেপ করছেন, এরা কায়িক শ্রম করতে চায় না। ফেসবুক বা আরও সব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যস্ত তরুণদের তাই কোন বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে, সেটা ভাবতে বলছেন।

ফিট থাকলে সব সম্ভব—এমন স্লোগান কোহলি অনেক আগে থেকেই শোনাচ্ছেন। একজন পেশাদার ক্রিকেটার বলেই নন, সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনের জন্যই মোবাইলের প্রতি আকর্ষণ কমাতে বলেছেন কোহলি, ‘আমি যদি পেশাদার ক্রিকেট নাও খেলতাম, ব্যায়াম না করে থাকার কথা চিন্তাও করতে পারি না। পিউমা কিছুদিন আগে একটি জরিপ করেছে। সেখানে দেখিয়েছে, মানুষ এখন চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা শুধু মোবাইল ফোনে ব্যয় করে। প্রযুক্তি আর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ভালোর চেয়ে খারাপ করছে এখন। মানুষ ভুলে যাচ্ছে কোন জিনিসটি গুরুত্বপূর্ণ। তাদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশে কী করা উচিত, সেটাই ভুলে যাচ্ছে সবাই।’

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের যুগে এখন সবাই সময় কাটান ঘাড় গুজে। মোবাইল কিংবা কম্পিউটারের স্ক্রিনে আটকে থাকায় বাইরের জগতে সময় দেয় না তরুণেরা। এ থেকে বের হওয়া এ কঠিন সেটা মানছেন কোহলি, তবে সবাইকে একটা রুটিনের মধ্যে আসতে বলছেন অধিনায়ক, ‘ওদের (তরুণদের) ঠিক করতে হবে কোন বিষয়টি অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত। একটা রুটিন বানাতে হবে: কখন শারীরিক পরিশ্রম করতে হবে, কতক্ষণ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে থাকা যাবে, কখন ভিডিও গেম খেলব আর কখন বাড়ির কাজ করব।’

জাতীয় দলে আসার আগে কোহলি নিজেও স্থূলকায় ছিলেন। কিন্তু সেই কোহলিই এখন সময়ের বিবর্তনে ক্রিকেটের অন্যতম ফিট খেলোয়াড়। কেন এই পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত? কোহলির দাবি, এখন এ আক্রমণাত্মক, চিন্তাশীল অধিনায়কের দেখা মিলে সেটা নাকি এই ব্যায়াম করারই ফল!

‘পেশাদার খেলার একটি নির্দিষ্ট স্তরে খেলা একটা ভূমিকা রেখেছে। আমি যখন ফিট হতে শুরু করলাম, হঠাৎ বুঝলাম আমি আরও পরিষ্কার করে ভাবতে শুরু করেছি। আমি আরও ভালো বুঝছি, একাগ্রতা বেড়েছে। আমার বাহ্যিক গঠনের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে মানসিকভাবেও পরিবর্তন লক্ষ করেছি। শরীর যত ফিট হবে, তত আত্মবিশ্বাসও বাড়বে। এটা আপনাকে নিজের সম্পর্কে ভালো বোধ করায়। আর ভালো চিন্তা করতে চাইলে ভালো বোধ করাটা গুরুত্বপূর্ণ।’