ব্যানক্রফটের জায়গায় থাকলে ল্যাঙ্গারও বল টেম্পারিং করতেন

সংবাদ সম্মেলনে অস্ট্রেলিয়া কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গার। ছবি: এএফপি
সংবাদ সম্মেলনে অস্ট্রেলিয়া কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গার। ছবি: এএফপি
>

ল্যাঙ্গারের টেস্ট অভিষেক ১৯৯৩ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। সেই যুগের সঙ্গে এই যুগের পার্থক্য বলতে ল্যাঙ্গার মনে করেন, তাঁর সময়ে এই ব্যাপারটা (বল টেম্পারিং) অধিনায়ক অ্যালান বোর্ডার কিংবা কোচ ববি সিম্পসন কোনো অবস্থাতেই অনুমোদন করতেন না। তবে অস্ট্রেলীয় এই কোচের ভাষ্য, ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে দলের সিনিয়র খেলোয়াড়দের নির্দেশ পেলে তিনিও টেম্পারিং করতেন।

বল টেম্পারিং-কাণ্ডের ছায়া ঢাকতে জাস্টিন ল্যাঙ্গারের ওপর ভরসা রেখেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)। ৪৭ বছর বয়সী সাবেক এ ব্যাটসম্যানের কাঁধে তুলে দেওয়া হয়েছে অস্ট্রেলিয়া জাতীয় দলের কোচের দায়িত্ব। ক্যামেরন ব্যানক্রফটের বল টেম্পারিং করার পেছনের কারণটা কিন্তু ভালোই বুঝতে পারছেন ল্যাঙ্গার।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে গত মার্চে কেপ টাউন টেস্টে বল টেম্পারিং করে ধরা পড়েন ব্যানক্রফট। তাঁকে এই কাজে সায় দিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার তখনকার অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ। আর সিএ তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, গোটা ব্যাপারে ‘নাটের গুরু’ ছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার। দলের দুই সিনিয়র খেলোয়াড়ের নির্দেশে সিরিশ কাগজ দিয়ে বল টেম্পারিং করেছিলেন ব্যানক্রফট।

তিন খেলোয়াড়ের কেউই শাস্তি এড়াতে পারেননি। ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১২ মাস করে নিষিদ্ধ হয়েছেন স্মিথ ও ওয়ার্নার। ব্যানক্রফটকে ৯ মাসের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ল্যাঙ্গার কিন্তু ব্যানক্রফটের প্রতি সহমর্মী। অস্ট্রেলিয়া কোচের ভাষ্য, ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে দলের সিনিয়র খেলোয়াড়দের নির্দেশ পেলে তিনিও টেম্পারিং করতেন।

৪৭ বছর বয়সী ল্যাঙ্গারের টেস্ট অভিষেক ঘটেছিল ১৯৯৩ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। সেই যুগের সঙ্গে এই যুগের পার্থক্য বলতে ল্যাঙ্গার মনে করেন, তাঁর সময়ে এই ব্যাপারটা (বল টেম্পারিং) অধিনায়ক অ্যালান বোর্ডার কিংবা কোচ ববি সিম্পসন কোনো অবস্থাতেই অনুমোদন করতেন না।

অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যম চ্যানেল নাইনকে ল্যাঙ্গার বলেন, ‘বোর্ডার আমাকে টেম্পারিং করতে বললে আমি করতাম। কারণ এটা না করার ব্যাপারে আমার (যেহেতু দলে নতুন) মধ্যেও ভীতি কাজ করত। পার্থক্যটা হলো, বোর্ডার আমাকে কখনো এটা করতে বলতেন না আর সিম্পসন আমাকে মেরেই ফেলতেন। খেলাটায় কলঙ্ক ছিটানো যে কাউকে তিনি খুন করতে পারেন।’

কেপ টাউনে ক্যারিয়ারের অষ্টম টেস্ট খেলতে নেমেছিলেন ব্যানক্রফট। তাঁর একটি ব্যাপার অবিশ্বাস্য লেগেছে ল্যাঙ্গারের কাছে, ‘যেটা বিশ্বাস হচ্ছে না, ব্যানক্রফট অস্ট্রেলিয়া দলে ঢুকেই ওই রকম সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো অবস্থানে পৌঁছে গেল!’ ল্যাঙ্গারের মতে, একটি টেস্ট দলের আচরণ কেমন হওয়া উচিত, তা সব খেলোয়াড়ের ওপর নির্ভর করে। নিজের সময়ের উদাহরণ টেনে ল্যাঙ্গার বলেন, ‘অ্যালান বোর্ডার, স্টিভ ওয়াহ, ডেভিড বুন, ইয়ান হিলিদের সঙ্গে আমি ড্রেসিং রুমে ঢুকেছি। শুধু সতীর্থদের জন্যই আপনি আরও ভালো মানুষ কিংবা আরও ভালো ক্রিকেটার হয়ে উঠতে পারবেন।’

ল্যাঙ্গার কিন্তু নিষিদ্ধ হওয়া এই তিন ক্রিকেটারের জাতীয় দলে ফেরার পক্ষে। তবে সে জন্য কিছু বিষয় মানতে হবে স্মিথ, ওয়ার্নার ও ব্যানক্রফটকে। অস্ট্রেলিয়া দলের এই কোচ বলেন, ‘আমরা তাঁদের দিকনির্দেশনা দিতে পারলে এবং তাঁরাও যদি আত্ম-উন্নয়ন করতে চায় আর অস্ট্রেলিয়া দলে ঢোকার অনুমিতিগুলো পূরণ করতে পারে, তবে অবশ্যই তাঁদের বরণ করে নেওয়া হবে।’