রোনালদোর 'সিক্স প্যাক' গড়া হবে না বাংলাদেশের ফুটবলারদের?

এমন সুঠাম দেহধারীরা সবাই জাতীয় দলের তরুণ ফুটবলার। বাঁ থেকে বিপলু, রহিম, স্বাধীন, আবদুল্লাহ ও জাফর। ছবি: সংগৃহীত
এমন সুঠাম দেহধারীরা সবাই জাতীয় দলের তরুণ ফুটবলার। বাঁ থেকে বিপলু, রহিম, স্বাধীন, আবদুল্লাহ ও জাফর। ছবি: সংগৃহীত
>
  • বাংলাদেশের ফুটবলারদের ফিটনেস নিয়ে অসন্তোষ সাম্প্রতিক সময়ে কিছুটা কমেছে
  • মূলত ট্রেনার মারিও লেমোস দুর্দান্তভাবে গড়ে তুলেছিলেন ফুটবলারদের
  • অথচ বাংলাদেশ থেকে বিদায় নিতে হলো তাঁকেও

‘রোনালদোর “সিক্স প্যাকে”র অনুসারী বাংলাদেশের ফুটবলাররা’ শিরোনামে একটি লেখা প্রকাশিত হয়েছিল প্রথম আলোতে। এক মাস আগের সে সংবাদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ সাড়া ফেলে দিয়েছিল। দেশের ফুটবলারদের এমন পেটানো শরীর দেখে অনেকেই অবাক হয়ে প্রশ্ন করেছিলেন, বাংলাদেশের ফুটবলারদের এমন ফিটনেস কীভাবে সম্ভব?

এর পেছনে ছিলেন একজন ট্রেনার, পর্তুগিজ মারিও লেমোস। যাঁর তত্ত্বাবধানে প্রায় দুই মাসের কঠোর পরিশ্রমে এমন পেটানো শরীর বানিয়েছিলেন তরুণ ফুটবলাররা। শুধু তা-ই নয়, প্রায় ১৭ মাস পরে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মাঠে নেমে লাওসের বিপক্ষে প্রথমে ২ গোল হজম করেও বাংলাদেশ ২ গোল পরিশোধ করেছিল ভালো ফিটনেসের জোরেই। অথচ সে মারিওকেই বিদায় করে দিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। তিন মাসের চুক্তিতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল তাকে। পরে চুক্তি বাড়ানোর আশ্বাস দেওয়া হলেও আর চুক্তি নবায়ন করা হয়নি। গত বুধবার দেশে ফিরে গিয়েছেন মারিও।

বাংলাদেশের সঙ্গে যে তাঁর আর থাকা হচ্ছে না, বিষয়টি কোরিয়া থেকে জানিয়েছেন মারিও, ‘আমার সঙ্গে বাফুফে আর চুক্তি বাড়ায়নি। ফলে আমার আর বাংলাদেশে ফেরা হচ্ছে না।’ পর্তুগিজ হলেও দক্ষিণ কোরিয়ায় বিয়ে করে এখন আবাস গড়েছেন সেখানেই।

অথচ সাবেক প্রধান কোচ অ্যান্ড্রু ওর্ড ও গোলরক্ষক কোচ জেসন ব্রাউনের সঙ্গে থাইল্যান্ডে যাওয়ার প্রস্তাব এসেছিল মারিওর সামনেও। কিন্তু বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তির প্রতি সম্মান দেখিয়ে থাইল্যান্ডে যাননি তিনি। এ কষ্টটাই এখন বেশি পোড়াচ্ছে মারিওকে, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তির প্রতি সম্মান দেখিয়ে আমি ওর্ডদের সঙ্গে থাইল্যান্ডে গেলাম না। পরে বাফুফে বলেছিল সাফ পর্যন্ত থাকতে হবে। অথচ আমার সঙ্গে চুক্তি বাড়ানো হলো না।’

যদিও মারিওর বিদায়টি আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করতে চাইলেন না জাতীয় দল ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান কাজী নাবিল আহমেদ, ‘মারিওর সঙ্গে কথা বার্তা চলছে। তবে নতুন কোচের সঙ্গে নতুন ট্রেনারও আসতে পারে।’

নাবিলের ভাষ্য অনুযায়ী, চলতি মাসের ১৯-২০ তারিখ থেকেই স্থানীয় কোচের অধীনে শুরু হয়ে যেতে পারে জাতীয় ফুটবল দলের ক্যাম্প। তবে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়নি কোচের নাম। শোনা যাচ্ছে ৩৮ বছর বয়সী ব্রিটিশ জেমি ডে হতে পারে জাতীয় ফুটবল দলের নতুন কোচ। তবে যিনিই দায়িত্ব পান, তিনি বাংলাদেশে আসবেন জুনের শুরুতে।