ট্রফিটাকে তারা বানিয়ে ফেলেছিল 'পৈতৃক সম্পত্তি'

মাঠেই শিরোপা উৎসব জুভেন্টাসের। ছবি: রয়টার্স
মাঠেই শিরোপা উৎসব জুভেন্টাসের। ছবি: রয়টার্স
>
  • রোমার সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে টানা সপ্তম শিরোপা নিশ্চিত করেছে জুভেন্টাস
  • ইউরোপে স্থানীয় লিগে আধিপত্যের রেকর্ডের ধারেকাছেও নেই তারা

‘ওল্ড লেডি’ বা ‘তুরিনের বুড়ি’ নামটা ভালোবাসায় পাওয়া। ইতালির ঐতিহ্যবাহী এই দলটিতে কত মানুষেরই তো নাড়ি পোঁতা। ম্যাচ পাতানো কেলেঙ্কারিতে একবার নেমেও গিয়েছিল দ্বিতীয় বিভাগে। সমর্থকদের ভালোবাসায় সে দল এমনভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে যে এখন ইতালিয়ান ফুটবল মানেই জুভেন্টাস। সিরি ‘আ’তে টানা সাত শিরোপা জয় করেছে তারা।

সিরি ‘আ’কে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের মতো প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক বলা যাবে না। কিন্তু এখানে এসি মিলান, ইন্টার মিলান ও এএস রোমার মতো ঐতিহ্যবাহী সব দল আছে, ম্যারাডোনার আশীর্বাদপুষ্ট নাপোলিও ফিরে পাচ্ছে পুরোনো রূপ। এদের পেছনে ফেলে টানা সাত শিরোপা জয় করা বিশ্ব ফুটবলের দৃষ্টি কেড়ে নেওয়ার জন্য যথেষ্ট। তবে এমন কিছু ক্লাব আছে, যারা জুভেন্টাসের চেয়েও আধিপত্য দেখিয়েছে যার যার লিগে।

সে পরিসংখ্যান দেখে কপালে উঠে যেতে পারে চোখ। জিব্রলটার দল লিঙ্কন এফসির রেকর্ড আছে টানা ১৪ বারের শিরোপা জয়ের। একই রেকর্ড আছে লাটভিয়ার দল স্কোন্টোরও। টানা ১৩ বার লিগ জিতেছে নরওয়ের ক্লাব রোজেনবর্গে। ক্রোয়েশিয়ার ক্লাব ডায়নামো জাগরেব টানা শিরোপা জিতেছে ১১ বার। ২০০৬ সাল থেকে বেলারুশে অন্য কাউকে শিরোপা জিততে দিচ্ছে না বাতে বরিসভ।

লিঙ্কন ২০০২-০৩ মৌসুম থেকে শুরু করে একক দাপট দেখিয়েছে ২০১৫-১৬ পর্যন্ত। লাটভিয়ায় ১৯৯১ থেকে ২০০৪ পর্যন্ত আধিপত্য ছিল স্কোন্টোর। নরওয়ের ক্লাব রোজেনবর্গের আধিপত্য ছিল ১৯৯২ থেকে ২০০৪ পর্যন্ত। জাগরেবের রাজত্ব চলেছে ২০০৬ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত।

টানা সাত শিরোপা? রেকর্ড গড়তে জুভেন্টাসকে আরও অনেক দূর যেতে হবে!

টানা শিরোপা

দল

দেশ

সময়সীমা

১৪

লিঙ্কন

জিব্রাল্টার

২০০৩-১৬

১৪

স্কোন্টো

লাটভিয়া

১৯৯১-২০০৪

১৩

রোজেনবর্গ

নরওয়ে

১৯৯২-২০০৪

১২

বাতে বরিসভ

বেলারুশ

২০০৬-চলছে

১১

ডায়নামো জাগরেব

ক্রোয়েশিয়া

২০০৬-১৬