আর্জেন্টিনা ফুটবল ফেডারেশন রাশিয়ান মেয়ে পটানোর উপায় শেখাচ্ছে!

এএফএর ওয়েবসাইটে কর্মশালার কথা এভাবেই জানিয়েছে। ছবি: সংগৃহীত
এএফএর ওয়েবসাইটে কর্মশালার কথা এভাবেই জানিয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বকাপ কাভার করতে অন্যান্য দেশের মতো আর্জেন্টিনা থেকেও প্রচুর সাংবাদিক যাবেন রাশিয়ায়। সেখানে নিজেদের দায়িত্ব পালনের সঙ্গে খানিকটা বিনোদনের খোঁজও করবেন। এটা নতুন কিছু নয়। তবে আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এএফএ) এ নিয়ে যে প্রকল্প হাতে নিয়েছে সেটা সম্ভবত শুধু নতুন নয় অভিনবও।

এএফএ দেশটির সাংবাদিকদের জন্য একটি কর্মশালার আয়োজন করেছে। এই কর্মশালায় প্রতিটি পুরুষ সাংবাদিকের হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে একটি করে নির্দেশিকা। ছোট পুস্তিকা বিশেষ এই বইয়ের কয়েকটি অনুচ্ছেদের শিরোনাম—‘রাশিয়ান মেয়েদের সঙ্গ পেতে যা যা করতে হবে’। কিংবা ‘রাশিয়ান মেয়ে পটাবেন যেভাবে’!

নির্দেশিকার একটি পাতা। ছবি: সংগৃহীত
নির্দেশিকার একটি পাতা। ছবি: সংগৃহীত

নির্দেশিকাটির নাম ‘রাশিয়ান ভাষা ও সংস্কৃতি’। তো, এই নির্দেশিকায় আর্জেন্টিনার পুরুষ সাংবাদিকদের প্রতি এএফএ-র পরামর্শ, ‘অন্যান্য মেয়েদের মতো রাশিয়ান মেয়েরাও খেয়াল করে আপনি পরিষ্কার কি না, আপনি কতটা কেতাদুরস্ত এবং শরীরে গন্ধ আছে কি না! প্রাথমিক ধারণা সব সময়ই গুরুত্বপূর্ণ, নিজেকে কীভাবে প্রকাশ করছেন তাতে গুরুত্ব দিন। তাঁরা চায় না কেউ তাঁদের পণ্য হিসেবে দেখুক। শারীরিক সম্পর্ক নিয়ে তাঁদেরও হয়তো আগ্রহ আছে কিন্তু তারাও চায় তাদের অনন্য ভাবা হোক, গুরুত্ব দেওয়া হোক। তাঁদেরও নিজস্ব ভাবনা আছে, ইচ্ছে আছে; তাদের সম্মান দেখাতে হবে। বোকার মতো শারীরিক সম্পর্ক নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলো না। রাশিয়ানদের কাছে এটা একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপার।’

এই নির্দেশিকায় পুরুষ সাংবাদিকদের প্রতি এএফএ-র পরামর্শ, রাশিয়ান মেয়েদের সঙ্গে আলাপের সময় নিজেকে আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে রাখা যাবে না। বলা হয়েছে, ‘একটি সুন্দর মেয়ের সঙ্গে আলাপের সময় অনেক সময়ই ছেলেরা স্নায়ুর চাপে ভোগে। এই মানসিকতা পাল্টাতে হবে। শুধুই একজন মেয়ে, অন্য কিছু না।’

এই কর্মশালায় মোট ৪০জন সাংবাদিক অংশ নেন। এর মধ্যে ৩জন নারী সাংবাদিক। তাঁরা নির্দেশিকার এসব অনুচ্ছেদকে ‘সেকেলে এবং বাজে রুচিকর’ বলে মনে করেছেন।