বিশ্বকাপ জিততে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ নেইমার

পিএসজির অনুশীলনে নেইমার। চোখে বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন। ছবি: এএফপি
পিএসজির অনুশীলনে নেইমার। চোখে বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন। ছবি: এএফপি
>চোট থেকে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন নেইমার। বল নিয়ে অনুশীলনও শুরু করেছেন। ব্রাজিলিয়ান এই ফরোয়ার্ড এক সাক্ষাৎকারে বিশ্বকাপ জয়ে মরিয়া মনোভাব প্রকাশ করেছেন।

বিশ্বকাপে ব্রাজিলিয়ানদের কাছে শিরোপা জয়ই শেষ কথা। দ্বিতীয় হওয়াও এই দলটির কাছে ব্যর্থতা। ২০১৪ বিশ্বকাপে নেইমারের ওপর ভরসা রেখে ‘হেক্সা’ জয়ের স্বপ্ন দেখেছিল ব্রাজিল। সেই স্বপ্নের করুণ অপমৃত্যু ঘটেছিল সেমিফাইনালেই। এবার রাশিয়া বিশ্বকাপে সমর্থকদের প্রত্যাশার চাপটা ভালোই টের পাচ্ছেন নেইমার। পিএসজি তারকা কিছুদিন আগে এ নিয়ে নিজের ‘ভীতি’র কথাও জানিয়েছিলেন। কিন্তু জাত খেলোয়াড়েরা যেমন হয়ে থাকেন—বিশ্বকাপ এগিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গেই নেইমারের চোয়ালও শক্ত হয়ে উঠছে। প্রতিজ্ঞাবদ্ধ কণ্ঠেই জানালেন, এই বিশ্বকাপটা আমার হতেই হবে।
গত বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে নেইমারের কান্না মনে আছে? কলম্বিয়ার বিপক্ষে সেই ম্যাচে নেইমারের মারাত্মক চোট কাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল ব্রাজিলের জন্য। অনেকের মতেই, জার্মানির বিপক্ষে বিপর্যয়ের বড় কারণ ওটা। এবারও নেইমারের চোট নিয়ে শঙ্কা ছিল। ফ্রেঞ্চ লিগে পায়ের পাতার হাড় ভেঙে অনিশ্চয়তায় ফেলেছিলেন বিশ্বকাপে খেলা। অস্ত্রোপচারের পর নেইমার অবশ্য এখন সুস্থ হয়ে বিশ্বকাপের অপেক্ষাতেই আছেন। তবে প্রশ্ন উঠছেই, চোট থেকে সেরে উঠে নেইমার কি পারবেন আপন ছন্দে খেলতে!
সময় হলেই এ প্রশ্নের জবাব মিলবে। তার আগে ব্রাজিল ভক্তদের নেইমার কিন্তু সুখবরই দিয়েছেন। ফেসবুকে এক সাক্ষাৎকারে নেইমার বলেছেন, ‘ইতিমধ্যেই বল নিয়ে অনুশীলন শুরু করেছি। বেশ ভালো লাগছে। হ্যাঁ, কিছুটা ভীতি তো থাকবেই। তবে ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছি।’
নেইমারের দ্রুত ছন্দে ফেরাই এখন ব্রাজিলিয়ান ফুটবলপ্রেমীদের প্রতিদিনের প্রার্থনা। বিশ্বের সবচেয়ে দামি এই ফুটবলার তাঁর মনের ভেতরের ডাকও শুনতে পাচ্ছেন। সেটি যে যেকোনো মূল্যে বিশ্বকাপ জয়। নেইমার ঠিক এ কথাটাই বললেন, ‘ফুটবল খেলাই আমাকে সবচেয়ে বেশি প্রেরণা জোগায়। মাঠের ভেতর থাকাটাই সবচেয়ে আনন্দের। বিশ্বকাপ এই বিশ্বের সবচেয়ে বড় চ্যাম্পিয়নশিপ। আমি এখানে খেলে চ্যাম্পিয়ন হতে চাই। এই কাপটা আমার হতেই হবে।’