অবিশ্বাস্য এক ক্যাচ নিলেন ডি ভিলিয়ার্স

শূন্যে লাফিয়ে বলটা তালুবন্দী করলেন ডি ভিলিয়ার্স। পেছনে মন্ত্রমুগ্ধ দর্শকেরা। ছবি: টুইটার
শূন্যে লাফিয়ে বলটা তালুবন্দী করলেন ডি ভিলিয়ার্স। পেছনে মন্ত্রমুগ্ধ দর্শকেরা। ছবি: টুইটার
>আইপিএলে কাল সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে অবিশ্বাস্য এক ক্যাচ নিয়েছেন এবি ডি ভিলিয়ার্স। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর অধিনায়ক বিরাট কোহলি তাঁর সতীর্থের এই ক্যাচ প্রসঙ্গে বলেছেন, সাধারণ কোনো মানুষের পক্ষে এটা সম্ভব না।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেরই প্রশ্ন, এটাই কি আইপিএল-ইতিহাসে সেরা ক্যাচ? তা না হলেও অন্তত অন্যতম সেরা তো বটেই?

এবি ডি ভিলিয়ার্সের অতিমানবীয় এক ক্যাচের জন্যই প্রশ্নটা উঠেছে। কাল আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে ত্রাস ছড়িয়েছেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর এই তারকা। পরে ফিল্ডিংয়ে নেমে ধরেছেন অবিশ্বাস্য এক ক্যাচ। ম্যাচ শেষে বেঙ্গালুরুর অধিনায়ক বিরাট কোহলি পর্যন্ত বলতে বাধ্য হয়েছেন, ‘এমন ক্যাচ সাধারণ কোনো মানুষের পক্ষে ধরা সম্ভব নয়।’

৬ উইকেটে বেঙ্গালুরুর করা ২১৮ রান তাড়া করতে নেমে বিপজ্জনক হয়ে উঠেছিলেন সানরাইজার্সের ইংলিশ ওপেনার অ্যালেক্স হেলস। অষ্টম ওভারে মঈন আলীর শেষ বলটি ডিপ মিডউইকেটের ওপর দিয়ে ছক্কা মারার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। টাইমিং ভালো হওয়ায় হেলস ভেবেছিলেন বলটা বাউন্ডারি সীমানা পেরিয়ে গেছে। কিন্তু হেলস ঘুণাক্ষরেও জানতেন না তাঁর জন্য চমক অপেক্ষা করছে।

শুধু হেলস নয়, ডি ভিলিয়ার্স আসলে সবাইকেই চমকে দিয়েছেন। বলটা বাউন্ডারি সীমানা পেরিয়ে যাচ্ছে বুঝতে পেরেই লাফ দিয়েছিলেন এই প্রোটিয়া। কিন্তু বলের নিচে না থাকায় ক্যাচটা সঠিক ‘জাজমেন্ট’ করে লুফে নেওয়ার অসুবিধা ছিল। ডি ভিলিয়ার্স করলেন কি, শূন্যে থাকা অবস্থায়ই ডান হাতটা বাড়িয়ে বলটা বাজপাখির মতো ছোঁ মেরে লুফে নিলেন!

কিন্তু তখনো সব গড়বড় হয়ে যাওয়ার শঙ্কা ছিল। কারণ, ডি ভিলিয়ার্স শূন্যে লাফিয়ে ক্যাচটা নিলেও বাউন্ডারি সীমানার একেবারে পাশেই ছিলেন। অর্থাৎ, শূন্য থেকে মাটিতে নামার সময় বাউন্ডারি সীমানার সঙ্গে পা লেগে যাওয়ার ঝুঁকি ছিল। কিন্তু সেরা ফিল্ডারেরা যে এই ছোটখাটো কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারগুলোও ভীষণ দক্ষতার সঙ্গে সামলে থাকেন সেটা বোঝা যায় ক্যাচটা ধরে তাঁর মাটিতে নামার মুহূর্তটি দেখলে। এতটাই সাবলীল যে তখন অনেকে মনে করতেই পারেন, এত কঠিন ক্যাচ ধরাও কত সহজ!

সেটা সম্ভব হয়েছে ডি ভিলিয়ার্সের জন্যই। এমন ক্যাচ দেখে তাঁর সতীর্থরাও নিজেদের ধরে রাখতে পারেননি। একেকজন যেন ১০০ মিটার স্প্রিন্টের গতিতে ছুটলেন ডি ভিলিয়ার্সের দিকে। ম্যাচ শেষে কোহলি বলেছেন, ‘এবি স্পাইডারম্যানের মতো ক্যাচ নিয়েছে। সাধারণ কোনো মানুষের পক্ষে এটা সম্ভব না।’

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও আলোচনার ঝড় তুলেছে এই ক্যাচ। ‘বিবিসিস্টাম্পড’-এর উপস্থাপিকা অ্যালিসন মিচেলের টুইট, ‘ক্যাচের মতোই কোহলির মুখটা ছিল দেখার মতো। যেন সে অভাবনীয় কিছুই দেখছে।’ ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড ‘সান’-এর কলামিস্ট জেমস ফরসাইথের টুইট, ‘এবির ক্যাচটা অসম্ভবকেও ছাপিয়ে গেছে।’