সাকিব-হায়দরাবাদের বিপরীত চিত্র মোস্তাফিজ-মুম্বাইয়ের

এবারের আইপিএল সাকিবের ভালো গেলেও মোস্তাফিজের হচ্ছে বিপরীত অভিজ্ঞতা। ফাইল ছবি
এবারের আইপিএল সাকিবের ভালো গেলেও মোস্তাফিজের হচ্ছে বিপরীত অভিজ্ঞতা। ফাইল ছবি
>সাকিবের ভালো যাচ্ছে এবারের আইপিএল। ভালো করছে তাঁর দল হায়দরাবাদও। বিপরীত ছবি মোস্তাফিজ ও তাঁর মুম্বাইয়ের। একাদশে সুযোগ পাওয়া নিয়ে যেমন বাংলাদেশ পেসারের অনিশ্চয়তা, মুম্বাই অনিশ্চয়তায় আছে শেষ চারে খেলার ব্যাপারে।

শুরুটা ভালো হয়েছিল দুজনেরই। সাকিব আল হাসান সেই ‘ভালো’টা ধরে রাখতে পারলেও মোস্তাফিজুর রহমানের হলো ভিন্ন অভিজ্ঞতা। দুজনের ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সের সঙ্গে দলের পারফরম্যান্সেরও অদ্ভুত মিল! 

শুরু থেকেই ছন্দ ধরে রেখেছেন সাকিব। একাদশে থাকা নিয়ে তাঁর যেমন অনিশ্চয়তা নেই। সাকিবের দল সানরাইজার্স হায়দরাবাদেরও অনিশ্চয়তা নেই শেষ চারে খেলা। হায়দরাবাদ সবার আগেই নিশ্চিত করেছে প্লে অফ। পাঁচটি দল যেখানে শেষ চারে ওঠা নিয়ে ভীষণ চিন্তায়, সাকিব ও তাঁর হায়দরাবাদের তখন নির্ভার সময় কাটছে। গত দুই আইপিএলে যেভাবে সাইড বেঞ্চে বসে কেটেছে সাকিবের, এবার ঠিক উল্টো ছবি। হায়দরাবাদ দুর্দান্ত খেলছে, সাকিবও ধারাবাহিকতা ধরে রেখে আস্থা অর্জন করেছেন টিম ম্যানেজমেন্টের। যে পাঁচ খেলোয়াড় নিয়মিত হায়দরাবাদের একাদশে সুযোগ পাচ্ছেন, সাকিব তাঁর অন্যতম। ১৩ ম্যাচে ১৬৬ রান ও ১২ উইকেট—আহামরি পরিসংখ্যান মনে না হলেও সাকিব নিজের সেরাটা দিয়েছেন কঠিন সব পরিস্থিতিতে।

বিপরীত অবস্থান মোস্তাফিজ ও তাঁর দল মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের। টানা ছয় ম্যাচ খেলিয়ে আর সুযোগই দেওয়া হয়নি বাংলাদেশ দলের বাঁহাতি পেসারকে। ৬ ম্যাচে ৭ উইকেটে আটকে আছে মোস্তাফিজের বোলিং পরিসংখ্যান। আইপিএলে মুম্বাইয়ের বাকি ম্যাচগুলোতে তিনি আদৌ সুযোগ পাবেন কি না, সেটি যেমন অনিশ্চিত, একইভাবে অনিশ্চয়তার সুতোয় ঝুলছে মুম্বাই ইন্ডিয়ানস প্লে অফ খেলাটাও। মোস্তাফিজের খেলা না–খেলার সঙ্গে মুম্বাইয়ের প্লে অফ খেলার কোনো সম্পর্ক না থাকলেও মোস্তাফিজ ও তাঁর দলের ভাগ্য মিলে যাচ্ছে এক বিন্দুতে। শেষ চারে ওঠার আশায় পরশু দিল্লির বিপক্ষে লিগ পর্বে শেষ ম্যাচটি খেলবে মুম্বাই। এই ম্যাচেও মোস্তাফিজের সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। যদি মুম্বাই প্লে অফ না খেলতে পারে, মোস্তাফিজকে গতবারের মতো এবারও খালি হাতেই হয়তো ফিরতে হবে দেশে।

সাকিবের হয়তো সেটি হবে না। হায়দরাবাদ যদি চ্যাম্পিয়ন না হতে পারে, এমনকি ফাইনালে না–ও উঠতে পারে, ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স বিবেচনায় বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের খুশিই হওয়ার কথা। কত রান করেছেন, কত উইকেট পেয়েছেন, সেটির চেয়ে এই আইপিএল সাকিবের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে ৩০০ উইকেট ও ৪০০০ রান পূর্ণ করায়।