ধোনিদের হারিয়ে দিল্লির সান্ত্বনা

উইকেট শিকারের পর সতীর্থদের নিয়ে দিল্লির অমিত মিশ্রর উদ্‌যাপন। ছবি: এএফপি
উইকেট শিকারের পর সতীর্থদের নিয়ে দিল্লির অমিত মিশ্রর উদ্‌যাপন। ছবি: এএফপি

‘এ কেমন ফিনিশ করলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি?’ এমন একটি প্রশ্ন তোলার কাজ প্রায় করেই ফেলেছিলেন চেন্নাই অধিনায়ক। সেটি না হলেও এটা তো বলাই যায়, ‘দিল্লির বিপক্ষে আজ এ কেমন ব্যাটিং করলেন ধোনি!’ ফিরোজ শাহ কোটলায় দিল্লির কাছে চেন্নাই যে ৩৪ রানে হারল, তাতে তাদের সমর্থকেরা কাঠগড়ায় সবার আগে তুলবেন ধোনিকেই।

চেন্নাইয়ের বোলাররা দিল্লিকে আটকে ফেলে ১৬২ রানে। এই রানটাও দিল্লির হয় না যদি অবিচ্ছিন্ন ষষ্ঠ উইকেটে হার্শাল প্যাটেল-বিজয় শঙ্কর ৩২ বলে ৬৫ রানের জুটি না গড়তে পারতেন। পয়েন্ট তালিকায় দুইয়ে থাকা চেন্নাইয়ের ১৬৩ রানের লক্ষ্যটা কঠিন হওয়ার কথা নয়, দলে যেখানে দুর্দান্ত ছন্দে থাকা আম্বাতি রাইডু আছেন। আছেন ধোনির মতো প্রতিষ্ঠিত ‘ফিনিশার’। ২৯ বলে ৫০ রান করে রাইডু তাঁর কাজটা ঠিকঠাক করে গেছেন। কিন্তু ধোনি?

রাইডু যখন প্যাটেলের অফ কাটারে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের দারুণ এক ক্যাচ হলেন, চেন্নাইয়ের দরকার ৬০ বলে ৯৩ রান। উইকেটে এলেন ধোনি। এর চেয়ে কঠিন সমীকরণ ঠান্ডা মাথায় মিলিয়েছেন ‘ক্যাপ্টেন কুল’। আজ সেটি হয়নি। ধোনির ব্যাটিং দেখে বরং মনে হচ্ছিল মাথা নয়, আজ তাঁর ব্যাটই ঠান্ডা হয়ে গেছে। ওখান থেকে বারুদ বের হবে না! দিল্লির বোলাররা এমন চেপে ধরলেন; ধোনি এবং তৃতীয় উইকেটে তাঁর সঙ্গী সুরেশ রায়না, দুজনের স্ট্রাইকরেট ১০০—এর কাটাও স্পর্শ করল না। নেপালি লেগস্পিনার সন্দীপ লামিচানের গুগলি উড়িয়ে মারতে গিয়ে রায়না আউট ১৮ বলে ১৫ রান করে। ধুঁকতে থাকা ধোনি কবজির মোচড়ে বোল্টের নিচু হয়ে আসা ফুলটস উড়িয়ে মারতে গিয়ে ১৭ রানে ধরা পড়লেন লং অনে শ্রেয়াস আয়ারের হাতে। ২৩ বল খেলে মাত্র একটা বাউন্ডারি মারতে পেরেছেন চেন্নাই অধিনায়ক, স্ট্রাইকরেট ৭৩.৯১।

চেন্নাইয়ের ব্যাটসম্যানরা স্ট্রোক খেলার অবারিত সুযোগ না পাওয়ায় অবশ্যই কৃতিত্ব পাবে দিল্লির বোলাররা। শুরু থেকেই তাঁরা নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেছেন, ডটই দিয়েছেন ৫৩টি। দিল্লির আফসোস হতে পারে, তাদের দুর্দান্ত এই পারফরম্যান্স কেন ধারাবাহিক দেখা যায়নি এবার আইপিএলে! এই জয়েও যে শেষ চারের আশা নেই দিল্লির। তাদের সান্ত্বনা, শিরোপা–প্রত্যাশী চেন্নাইকে বড় ব্যবধানে হারানো গেছে!