তাসকিনের জন্য কেবল দুঃসংবাদ আর দুঃসংবাদ

কেবল দুঃসংবাদই পাচ্ছেন তাসকিন আহমেদ। ফাইল ছবি
কেবল দুঃসংবাদই পাচ্ছেন তাসকিন আহমেদ। ফাইল ছবি
>তাসকিনের খারাপ সময় কাটছেই না। বাজে পারফরম্যান্স অনেকদিন ধরেই। চোটও ভালোই ভোগাচ্ছে তাঁকে


একের পর এক দুঃসংবাদই পাচ্ছেন তাসকিন আহমেদ। গত মাসে বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ পড়েছেন। এবার বাদ পড়লেন জাতীয় দল থেকে। অবশ্য এটা ঠিক যে তাসকিন যে আফগানিস্তান সিরিজে সুযোগ পাচ্ছেন না—এটা অনুমিতই ছিল।
পিঠের চোটে পড়া তাসকিন নিজেই জানিয়েছিলেন, তিনি শতভাগ ফিট নন। আপাতত তাঁর সব মনোযোগ পুনর্বাসন-প্রক্রিয়াতেই। তবে বাদ পড়ার পেছনে শুধু চোটই নয়, প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীনের চোখে তাসকিনের পারফরম্যান্স হীনতাও একটা বড় কারণ। নিদাহাস ট্রফিতে দুটি ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়ে ১১.৩৩ ইকোনমিতে উইকেট পেয়েছিলেন মাত্র দুটি। মেহেদী হাসান মিরাজ পুরোপুরি ফিট না হওয়ার পরও নির্বাচকেরা তাঁকে দলে রাখার সাহস পেয়েছেন। তাসকিনের ক্ষেত্রে সেটি পাননি। আজ মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে দল ঘোষণার সংবাদ সম্মেলনে মিনহাজুল তাই বললেন, ‘চোট, পারফরম্যান্স দুইই তাসকিনকে বাদ দেওয়ার পেছনের কারণ। সে নিদাহাস ট্রফিতে গিয়েই চোটে পড়েছিল। তবে চোটটা বেশ আগের। চোট থেকে সেরে ওঠার চেষ্টা করছে তাসকিন। আমাদের বিশ্বাস হয়তো ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের আগে সেরে উঠবে।’
ভালো পারফরম্যান্সকে যেহেতু অগ্রাধিকার দিচ্ছেন নির্বাচকেরা, সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন উঠেছে সৌম্য সরকারের অন্তর্ভুক্তি নিয়েও। জানুয়ারিতে ত্রিদেশীয় সিরিজ ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে বাদ পড়ার পর নিদাহাস ট্রফিতে সৌম্য ৫ ম্যাচে করেছেন মাত্র ৫০ রান।
মিনহাজুলের দৃষ্টিতে একটা সিরিজ খারাপ গেলেও টি-টোয়েন্টিতে সৌম্যকে তাঁদের লাগবেই, ‘টি-টোয়েন্টিতে আমরা যত খেলোয়াড় নিয়ে চিন্তা করি, ওর কথাটা সবার আগে চলে আসে। বিষয়টি নিয়ে আমরা অধিনায়ক ও কোচের সঙ্গেও আলোচনা করেছি। ওরা সৌম্যর ব্যাপারে ইতিবাচক। কোর্টনি ওয়ালশের সঙ্গে তো আমাদের কথা হয় সব সময়ই। যেহেতু ও নিদাহাস ট্রফিতে ছিল, তার পরামর্শও আমরা নিয়েছি।’
আফগানিস্তান সিরিজে বাংলাদেশ যে পরীক্ষা-নিরীক্ষায় যাবে না, সেটি প্রধান নির্বাচক দল ঘোষণার আগেই জানিয়েছেন। কেন করবে না, আজ সেটির ব্যাখ্যা দিয়েছেন মিনহাজুল, ‘প্রতিটি সিরিজ আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। টি-টোয়েন্টি সিরিজে কিন্তু র‌্যাঙ্কিংয়ে আমার অনেকটা পিছিয়ে আছি। আমাদের সেরা দলটা তাই পাঠানোর চিন্তা করেছি। সামনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরও আছে। ওখানেও টি-টোয়েন্টি আছে। চেষ্টা করেছি আমাদের সম্ভাব্য সেরা দলটা গঠন করতে। নিদাহাস ট্রফির পর টি-টোয়েন্টি দল আমরা অনেকটা পেয়ে গেছি। কিছুদিন আগেও এ সংস্করণে অনেক পিছিয়ে ছিলাম। এখন বুঝতে পেরেছি আমাদের শক্তির জায়গাগুলো কোথায়। এ কারণে খুব বেশি পরিবর্তনে যাইনি।’