'ডিরেক্টর অব কোচিং' হচ্ছেন না কারস্টেন

ঢাকায় আসার আগেই মত পাল্টে ফেললেন গ্যারি কারস্টেন। ফাইল ছবি
ঢাকায় আসার আগেই মত পাল্টে ফেললেন গ্যারি কারস্টেন। ফাইল ছবি

আইপিএল থেকে বিদায় নিয়েছে বেঙ্গালুরু রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স। ভারত থেকে তাই কাল রাতেই ঢাকায় চলে এসেছেন গ্যারি কারস্টেন। তবে ঢাকায় আসার আগে তিনি বদলে ফেলেছেন মত। বিসিবির ‘ডিরেক্টর অব কোচিং’ পদে কাজ করবেন না সাবেক এই দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটার।

কারস্টেন বিসিবির সঙ্গে কাজ করবেন শুধু প্রধান কোচ এবং প্রয়োজনীয় অন্যান্য কোচিং স্টাফ নিয়োগসংক্রান্ত পরামর্শক হিসেবে। ডিরেক্টর অব কোচিং পদে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে শুরুতে রাজি হলেও পরে অন্যান্য ব্যস্ততার কথা বলে তা থেকে সরে আসেন তিনি। বোর্ড সূত্র জানিয়েছে, ঢাকায় তিন দিনের সফরে জাতীয় দলের প্রধান কোচ এবং প্রয়োজনীয় অন্যান্য কোচিং স্টাফ নিয়োগ নিয়েই বোর্ড কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলবেন কারস্টেন। বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন চৌধুরীও মুঠোফোনে তাই জানালেন, ‘প্রধান কোচ এবং অন্যান্য কোচিং স্টাফ নিয়োগের ব্যাপারে পরামর্শক হিসেবে কাজ করবেন কারস্টেন।’

জানা গেছে, গ্যারি কারস্টেনের সঙ্গে বিসিবি কর্মকর্তাদের প্রথম সাক্ষাৎ গত মাসে। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন চৌধুরী মালয়েশিয়ায় এসিসির সভায় যোগ দিতে গেলে সেখানে তাঁদের সঙ্গে দেখা করেন কারস্টেন। সে আলোচনায় আগামী বিশ্বকাপ পর্যন্ত বিসিবির ডিরেক্টর অব কোচিং পদে কাজ করতে সানন্দে রাজি হয়েছিলেন তিনি। জাতীয় দলের কোচ, কোচিং স্টাফ ঠিক করা থেকে শুরু করে বিশেষায়িত ক্যাম্পের জন্য বিশেষজ্ঞ কোচ আনা, একাডেমি ও অন্যান্য পর্যায়ের দলের অনুশীলন চাহিদা—সবকিছু নিয়েই কাজ করার কথা ছিল তাঁর। কোচদের প্রধান হিসেবে বিসিবির কাছে জবাবদিহিও থাকার কথা ছিল তাঁরই।

কিন্তু কিছুদিন আগে কারস্টেন সে অবস্থান থেকে সরে আসেন। বিসিবিকে জানিয়ে দেন, এই মুহূর্তে তাঁর অন্যান্য যে ব্যস্ততা, তাতে বাংলাদেশের হয়ে বিশ্বকাপ পর্যন্ত ডিরেক্টর অব কোচিং পদে কাজ করা সম্ভব নয়। এই পদে কাজ করলে যে পরিমাণ সময় দিতে হবে, সেটি তাঁর হাতে নেই। তিনি বড়জোর প্রধান কোচ নিয়োগ এবং প্রয়োজনে অন্যান্য কোচিং স্টাফ বাছাই ও নিয়োগে পরামর্শকের ভূমিকা নিতে পারেন।

‘ডিরেক্টর অব কোচিং’ থেকে বদলে বিসিবিতে কারস্টেনের পদ তাই হয়ে গেছে ‘হেড অব কোচ অ্যান্ড টিম ম্যানেজমেন্ট সিলেকশন’। সেটাও খুবই স্বল্প সময়ের জন্য। ঢাকায় এই তিন দিনের সফরে কাজ হয়ে গেলে বিসিবির সঙ্গে কারস্টেনের সম্পৃক্ততার আপাতসমাপ্তি হয়তো এখানেই।