লম্বা হচ্ছে বিশ্বকাপ দলে ডাক না পেয়ে অবসরের লাইন

বেলজিয়ামের জার্সিতে আর দেখা যাবে না নাইনগোলানকে। ছবি: রয়টার্স
বেলজিয়ামের জার্সিতে আর দেখা যাবে না নাইনগোলানকে। ছবি: রয়টার্স

এ মৌসুমে এএস রোমার হয়ে মধ্যমাঠ মাতিয়েছেন রাজা নাইনগোলান। দলের আক্রমণের সুযোগ সৃষ্টিতে ছিলেন সেরা আবার প্রতিপক্ষের খেলা নষ্ট করাতেও সেরা। বেলজিয়াম সমর্থকদের প্রিয়পাত্র নাইনগোলানকে ঘিরেই হয়তো অনেক দল একাদশ সাজাত। কিন্তু কোচ রবার্তো মার্টিনেজ যে সবাইকে চমকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন! ২৮ জনের প্রাথমিক দলেও সুযোগ মেলেনি নাইনগোলানের। রাগে-ক্ষোভে অবসর নিয়ে নিয়েছেন ৩০ বছর বয়সী মিডফিল্ডার।

এক বছরের মধ্যে এ নিয়ে দুবার অবসর নিলেন নাইনগোলান। গত সেপ্টেম্বরে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ,ম্যাচে দলে না ডাকায় রাগ করে অবসর নিয়েছিলেন এই মিডফিল্ডার। পরে নভেম্বরে আবার ডাক পাওয়ায় অভিমান ভেঙে ফিরেছিলেন। কিন্তু এবার বিশ্বকাপের দলে ডাক না পাওয়ায় পুরোনো ক্ষোভ ফিরে এসেছে তাঁর, ‘খুবই অনিচ্ছার সঙ্গে আমার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ইতি ঘটল। দেশের পক্ষে খেলার জন্য আমি সব সময় সর্বোচ্চ দিয়েছি। নিজের মতো হওয়া মাঝে মাঝে বিপদে ফেলে দেয়। আজ থেকে আমি দলের এক নম্বর সমর্থক।’

দল থেকে নাইনগোলানের বাদ পড়াকে কৌশলগত কারণ বলছেন মার্টিনেজ। তবে অনেকের ধারণা, নাইনগোলানের সঙ্গে ব্যক্তিত্বের সংঘাতই এ সিদ্ধান্ত নিতে প্ররোচিত করেছে মার্টিনেজকে। বিশেষ করে লোকচক্ষুর আড়ালে চলে যাওয়া আদনান ইয়ানুজাই ও ফর্ম হারিয়ে ফেলা ফেলাইনিরও দলে ডাক পাওয়াটা সে সন্দেহ সৃষ্টিতে ভূমিকা রেখেছে। মার্টিনেজ তবু আত্মপক্ষ সমর্থন করেছেন এভাবে, ‘প্রথমত, আমরা সবাই জানি রাজা শীর্ষ পর্যায়ের খেলোয়াড়, এ নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোনো সুযোগ নেই। এটা কৌশলগত কারণ। গত দুই বছরে দল একটি বিশেষ আক্রমণাত্মক পদ্ধতিতে খেলেছে। রাজার ক্ষেত্রে আমি জানি সে ক্লাবে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আমার মনে হয় না জাতীয় দলে সে ভূমিকা আমরা দিতে পারব।’

বিশ্বকাপ দলে ডাক না পেয়ে অবসর নেওয়ার ঘটনা অবশ্য এটাই প্রথম নয়। জার্মানির সান্ড্রো ভাগনার সেটা শুক্রবারই করে দেখিয়েছেন।
অারও পড়ুন 
বিশ্বকাপ দলে সুযোগ মেলেনি, তাই বিদায় বলে দিলেন ভাগনার