কারস্টেনের লক্ষ্য জাতীয় দলের স্থিতি

>নিজের কাজের পরিধি বর্ণনা করেছেন গ্যারি কারস্টেন। কোচ খোঁজার পাশাপাশি জাতীয় দলকে স্থিতিশীল করনার লক্ষ্যে কাজ করবেন এই প্রোটিয়া কোচ
গ্যারি কারস্টেন
গ্যারি কারস্টেন

জাতীয় ক্রিকেট দলের জন্য একজন কোচ খুঁজে দেবেন গ্যারি কারস্টেন। সেই সঙ্গে জাতীয় দলকে নিয়ে চালাবেন পর্যালোচনা। ২০১৯ বিশ্বকাপ পর্যন্ত মাশরাফি-সাকিবদের লক্ষ্য কী হবে, সেই লক্ষ্যপূরণের প্রক্রিয়াটা কেমন হবে কারস্টেন আপাতত সেটিরই পথনকশা তৈরি করবেন। তবে সবচেয়ে আগে জাতীয় দলের একজন হেডকোচ খুঁজে বের করবেন তিনি। যাঁর ওপর নির্ভর করেই ২০১৯ বিশ্বকাপের লক্ষ্যপূরণ করবে বাংলাদেশ।

কাজটা কীভাবে করছেন এই প্রোটিয়া ক্রিকেট ব্যক্তিত্ব? আজ দুপুরে হোটেল সোনারগাঁওয়ে সংবাদমাধ্যমকে সে বিষয়ে একটা ধারণা দিয়েছেন কারস্টেন। জানিয়েছেন, ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের আগেই একজন ভালো ও উপযুক্ত কোচ খুঁজে বের করবেন তিনি।

নিজের কাজের পরিধি বর্ণনা করেছেন ২০১১ সালে ভারতকে বিশ্বকাপ জেতানো কারস্টেন, ‘আমার এই দুই দিনে বেশ কয়েকজন ক্রিকেট-সংশ্লিষ্টের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ হয়েছে। আলোচনাগুলো দারুণ হয়েছে। এর মাধ্যমে আমি বাংলাদেশের ক্রিকেটটাকে বুঝছি। আমি খুবই অনুপ্রাণিত সবকিছু দেখে-শুনে। এখানকার ক্রিকেট-সংশ্লিষ্টরা ক্রিকেটের উন্নতির প্রশ্নে বেশ খোলামেলা। আমার কাজ হচ্ছে এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে সহায়তা করা। সেরা একজন কোচ খুঁজে বের করা। একই সঙ্গে নানাভাবে ২০১৯ সালের বিশ্বকাপ পর্যন্ত বাংলাদেশ দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকা।’

বাংলাদেশের জন্য এই মুহূর্তে সবচেয়ে উপযুক্ত কোচ কেমন হবেন—ব্যাপারটা নিয়ে নিশ্চয়ই ভাবছেন কারস্টেন। দ্রুতই তেমন একজনকে খুঁজে বের করার ব্যাপারে আশাবাদই শুনিয়েছেন তিনি, ‘বাংলাদেশ দলের হয়ে অতীতে অনেকেই ভালো কাজ করেছেন। কোচ খুঁজে বের করতে গিয়ে আমাকে ভাবতে হচ্ছে, অতীতে বাংলাদেশ দলের কাজে এসেছে কোন বিষয়গুলো। আমি জানতে চাচ্ছি, অতীতে কোন বিষয়গুলো বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের জন্য বেশি কাজে লেগেছে। সবমিলিয়ে আমি মনে করি এ ব্যাপারে একটা ভালো ধারণা পেয়েছি। এখন আমার কাজ বাংলাদেশ দলের জন্য উপযুক্ত একজনকে খুঁজে বের করা, যিনি দলের কাজে ভালোভাবেই লাগতে পারেন। অনেক দিন ধরেই তো বাংলাদেশের একজন হেডকোচ নেই। আমি আশা করি দুই সপ্তাহের মধ্যে আমি বোর্ডের সামনে কাউকে নিয়ে আসতে পারব।’

বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের পর্যালোচনা কিংবা দলের অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষার বিষয়টিও ব্যাখ্যা করেছেন কারস্টেন, ‘প্রতিটি দলই ভিন্ন। প্রতিটি দলের চ্যালেঞ্জগুলোও ভিন্ন। বাংলাদেশ খুবই সম্ভাবনাময় দল। বাংলাদেশ ক্রিকেট দুনিয়ার বড় বড় দলগুলোর বিপক্ষে সাফল্য পেয়েছে। দলে বেশ কয়েকজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার আছে। তরুণেরা উঠে আসছে। আমি এই দলটার মধ্যেই এক ধরনের স্থিতিশীলতা নিয়ে আসতে চাই। সেই সঙ্গে নিশ্চিত করতে চাই এই দলের জন্য সব ধরনের অবকাঠামোগত সুবিধা ঠিকঠাক আছে।’

ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা বলার অভিজ্ঞতা দুর্দান্ত বলেই জানিয়েছেন কারস্টেন। মাশরাফি-মুশফিকদের ভালো করার খিদেটাই নাকি এ ক্ষেত্রে তাঁর সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে, ‘তাঁরা বিশ্বাস রাখে। তাঁরা জানে ক্রিকেট দুনিয়ার সর্বোচ্চ পর্যায়ে তারা খেলছে। আমি মনে করি, তাদের নির্দিষ্ট লক্ষ্য আছে। সেই লক্ষ্যটা তারা পূরণ করতে চায়। তারা ভালো করতে চায়। আমি মনে করি এই ভালো করতে চাওয়ার খিদেটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’