টানা তিন চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতার স্বপ্ন দেখছেন ক্রুস

চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালের জন্য জোর প্রস্তুতি চলছে রিয়াল মাদ্রিদের। ছবি: রয়টার্স
চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালের জন্য জোর প্রস্তুতি চলছে রিয়াল মাদ্রিদের। ছবি: রয়টার্স
>টনি ক্রুস এর আগেও চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে খেলেছেন। রিয়ালের হয়ে জিতেছেন টানা দুটি শিরোপা। বায়ার্নের হয়েও আছে একটি শিরোপা। এবার টানা তৃতীয় ফাইনালে চতুর্থ শিরোপার স্বপ্নে বিভোর তিনি।

রিয়াল মাদ্রিদের জার্সিতে তিনটি চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতার উৎসব করেছেন রোনালদো, রামোস, মার্সেলোরা। রিয়ালের হয়ে না হলেও তিনটি চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতার রেকর্ড আছে টনি ক্রুসেরও। রিয়ালের হয়ে টানা দুটি শিরোপা জেতার আগে ২০১৩ সালে বায়ার্ন মিউনিখের জার্সিতেও ইউরোপ সেরার ট্রফি উঁচিয়েছেন ক্রুস। এবার রিয়ালের হয়েও তিনটি চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের দ্বারপ্রান্তে জার্মান মিডফিল্ডার।

চ্যাম্পিয়নস লিগ নামকরণের পর টানা দুটি শিরোপা জিততে পারেনি কেউ। রিয়াল গতবারই সে রেকর্ড গড়েছে। এবার তো হ্যাটট্রিক শিরোপা জয়ের আশা তাদের। শিরোপা জিতলে তো ভালোই, ক্রুসের কাছে টানা তিন ফাইনাল খেলাও কিন্তু কম কিছু নয়, ‘একটি ফাইনাল খেলা কঠিন, দুটি খুবই কঠিন আর তিনটি রীতিমতো পাগলামি। এটা আগে কখনো ঘটেনি। আমি জানি না এমনটা আর কখনো ঘটবে কি না। ঘটুক আর না ঘটুক, আমরা তৃতীয় শিরোপাটি জিততে চাই। আমরা লিভারপুলকে নিয়ে ভাবছি। ম্যাচে আমরা যথেষ্ট উজ্জীবিতই থাকব।’

শিরোপা জেতার কাজটা যে সহজ হবে না, সেটা মানেন ক্রুস। ইয়ুর্গেন ক্লপের অধীনে দুর্দান্ত আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলছে লিভারপুল। প্রেসিং ফুটবল খেলে ম্যানচেস্টার সিটিকে টানা দুই ম্যাচ হারিয়েছে তারা। সিটির মতোই বল পায়ে রাখতে পছন্দ রিয়ালের। তাই ক্রুস লিভারপুলকে যথেষ্ট সমীহ করছেন, ‘ওরা ১১ জন পশুর মতো খেলবে, সবাই পূর্ণশক্তিতে। বল পায়ে আমরা ভালো খেলব কিন্তু ওরা ৯০ মিনিট প্রেস করে খেলবে এবং শতভাগ কিংবা এর বেশিই দেবে। যেহেতু ওদের দ্রুতগতির আক্রমণভাগ আছে, তাই ওদের কাছ থেকে যথেষ্ট চাপই আমরা প্রত্যাশা করি। তবে এটা বলতে পারি, সেই চাপ আমরা কাটিয়ে উঠবই।’

ফাইনালে রিয়ালকে ফেবারিট ধরে নিচ্ছে সবাই। কিন্তু এক যুগের বেশি সময় পর চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতার সুযোগ যে লিভারপুল হাতছাড়া করতে চায় না, ক্রুস সেটা জানেন ভালো করেই, ‘ওরা আমদের চেয়ে ভিন্ন। ওরা বল কম পায়ে রাখে কিন্তু ওরা কঠিন, প্রতিদ্বন্দ্বী মানসিকতার এবং আক্রমণাত্মক। রক্ষণ ও মধ্যমাঠেও বেশ শক্তিশালী। ওদের জন্য এটা একটা সুযোগ, যেহেতু গত ১০ বছরে ওরা ফাইনাল খেলেনি এবং আমার ধারণা, আশাও করেনি এটা, তাই ওরা সর্বস্ব দেবে। আর ফেবারিট (রিয়াল) হলে কিছু আসে–যায় না। কারণ, পিএসজি ও বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে আমরা ফেবারিট ছিলাম না।’